০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও কর্মসংস্থানের জন্য পিঠা মেলার আয়োজন করা প্রয়োজন : বিভাগীয় কমিশনার

####

খুলনায় ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি খুলনা জেলা কার্যালয়ের চত্বরে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার। এ সময় তিনি বলেন, পিঠা বাঙ্গালির চিরায়ত ঐতিহ্য। আমরা গ্রামে-গঞ্জে পিঠা খাওয়ার বিষয়টি প্রায় ভুলেই গিয়েছি। ছোট বেলায় অনেক সময় শীতের পিঠা খাওয়ার জন্য গ্রামে যেতাম। এখন আর গ্রামে যেতে হয় না কারণ শহরেই এই পিঠা উৎসব বেশি হচ্ছে। গ্রামের পিঠার স্বাদ এখন শহরেই পাওয়া যায়। গ্রামের অনেক লোকজন এখন শহরমুখী হচ্ছে। এজন্য গ্রামের কৃষ্টি-কালচার অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের ঐতিহ্য এখন শহরেই বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। প্রধান অতিথি নারী উদ্যোক্তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, উদ্যোক্তা যেকোন বিষয়ে হতে পারে। তার অন্যতম উদাহরণ হলো পিঠা উৎসব। ঘরে বসেই একজন উদ্যোক্তা পিঠা তৈরি করে আইসিটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে। কষ্ট করে পিঠা তৈরি না করে ঘরে বসেই বিভিন্ন লিংকের মাধ্যমে অর্ডার দিলেই কয়েক মিনেটের মধ্যে বাসায় পিঠা চলে আসে। তাই এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও কর্মসংস্থানের জন্য পিঠা মেলার আয়োজন করা প্রয়োজন।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ##

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

দশমিনায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ উদ্ধোধন

ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও কর্মসংস্থানের জন্য পিঠা মেলার আয়োজন করা প্রয়োজন : বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট সময় : ০১:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

####

খুলনায় ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি খুলনা জেলা কার্যালয়ের চত্বরে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার। এ সময় তিনি বলেন, পিঠা বাঙ্গালির চিরায়ত ঐতিহ্য। আমরা গ্রামে-গঞ্জে পিঠা খাওয়ার বিষয়টি প্রায় ভুলেই গিয়েছি। ছোট বেলায় অনেক সময় শীতের পিঠা খাওয়ার জন্য গ্রামে যেতাম। এখন আর গ্রামে যেতে হয় না কারণ শহরেই এই পিঠা উৎসব বেশি হচ্ছে। গ্রামের পিঠার স্বাদ এখন শহরেই পাওয়া যায়। গ্রামের অনেক লোকজন এখন শহরমুখী হচ্ছে। এজন্য গ্রামের কৃষ্টি-কালচার অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের ঐতিহ্য এখন শহরেই বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। প্রধান অতিথি নারী উদ্যোক্তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, উদ্যোক্তা যেকোন বিষয়ে হতে পারে। তার অন্যতম উদাহরণ হলো পিঠা উৎসব। ঘরে বসেই একজন উদ্যোক্তা পিঠা তৈরি করে আইসিটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে। কষ্ট করে পিঠা তৈরি না করে ঘরে বসেই বিভিন্ন লিংকের মাধ্যমে অর্ডার দিলেই কয়েক মিনেটের মধ্যে বাসায় পিঠা চলে আসে। তাই এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও কর্মসংস্থানের জন্য পিঠা মেলার আয়োজন করা প্রয়োজন।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ##