০২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কয়রায় একযুগ পর জামায়াত কর্মী হত্যায় সাবেক এমপি ও সাংবাদিকসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

####

খুলনার কয়রায় দীর্ঘ এক যুগ পর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী জাহিদুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ছবিরন নেছা বাদী হয়ে কয়রা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানায় এফআইআর করতে আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলায় খুলনা-৬ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য ও সাংবদিকসহ ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের কেন্দ্রিয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কয়রায় জামায়াতের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার জালালের মোড়ে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত ও কমপক্ষে ২৯ জন আহত হয়।

এ মামলায় ৫২ নম্বর আসা‌মি কয়রা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, ‘মামলায় উল্লিখিত ঘটনার সময় ‌আমি খুলনা জেলা শহরের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছি‌লাম। ঘটনার বিষ‌য়ে আমি কিছুই জা‌নি না। মামলায় আমার নাম থাকাটা বিব্রতকর।’

মামলার বাদী ছবিরন নেছা জানান, তাঁর স্বামী জাহিদুল ইসলাম দিন মজুরি কাজ করতেন। তিনি স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে মামলাটি করেছেন। তবে মামলার আসামি তালিকাকায় সাংবাদিকদের নাম থাকার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না।এমনকি ওই সাংবাদিককেও তিনি চেনেন না।

কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার দিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় বহু নেতাকর্মী আহত ও ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এখন ভুক্তভোগীর পরিবার হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন। তবে আমরা বারবার বলছি মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো নাম যেন জড়ানো না হয়। কেউ যদি অপরাধে জড়িত থাকে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু কাউকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা হয়রানি করতে মামলায় আসামি করা উচিত নয়। এতে সুবিচার করার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তিনিও মামলায় সাংবাদিকের নাম থাকা বিষয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হননি। ##

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

দেবহাটায় মনগড়া অভিযোগ তুলে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুলকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা

কয়রায় একযুগ পর জামায়াত কর্মী হত্যায় সাবেক এমপি ও সাংবাদিকসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০৭:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

####

খুলনার কয়রায় দীর্ঘ এক যুগ পর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী জাহিদুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ছবিরন নেছা বাদী হয়ে কয়রা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানায় এফআইআর করতে আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলায় খুলনা-৬ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য ও সাংবদিকসহ ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের কেন্দ্রিয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কয়রায় জামায়াতের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার জালালের মোড়ে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত ও কমপক্ষে ২৯ জন আহত হয়।

এ মামলায় ৫২ নম্বর আসা‌মি কয়রা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, ‘মামলায় উল্লিখিত ঘটনার সময় ‌আমি খুলনা জেলা শহরের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছি‌লাম। ঘটনার বিষ‌য়ে আমি কিছুই জা‌নি না। মামলায় আমার নাম থাকাটা বিব্রতকর।’

মামলার বাদী ছবিরন নেছা জানান, তাঁর স্বামী জাহিদুল ইসলাম দিন মজুরি কাজ করতেন। তিনি স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে মামলাটি করেছেন। তবে মামলার আসামি তালিকাকায় সাংবাদিকদের নাম থাকার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না।এমনকি ওই সাংবাদিককেও তিনি চেনেন না।

কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার দিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় বহু নেতাকর্মী আহত ও ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এখন ভুক্তভোগীর পরিবার হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন। তবে আমরা বারবার বলছি মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো নাম যেন জড়ানো না হয়। কেউ যদি অপরাধে জড়িত থাকে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু কাউকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা হয়রানি করতে মামলায় আসামি করা উচিত নয়। এতে সুবিচার করার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তিনিও মামলায় সাংবাদিকের নাম থাকা বিষয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হননি। ##