
####
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা ভিসি প্রফেসার ড. মোহাম্মদ মাছুদ, প্রো ভিসি প্রফেসার ড. শেখ শরীফুল আলম ও ছাত্র-কল্যাণ বিষয়ক পরিচালককে অপসারনসহ ৬দফা দাবীতে অনড় রয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়েল সিন্ডিকেট সভায় ভিসিসহ তিনজনের পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সকল দাবী মেনে নেয়ার ঘোষনা দেয়া হলেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয়। বৃহসপতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা সামনে বিক্ষোভ ও সন্ত্রাসীদের লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করছে। বেলা সাড়ে ১১টায় স্ব স্ব হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে ক্যাম্পাসের দূর্বার বাংলা চত্বরে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এ সময় তারা ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ সব রাজনৈতিক দল এবং কুয়েট প্রশাসনকে লালকার্ড প্রদর্শন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ হামলা কারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা এই কুয়েটে হবে না’, ‘নো ছাত্রদল, নো ছাত্রশিবির, নো বৈবিছাআ, অনলি ছাত্র’; ‘রক্ত যখন ঝরছিল প্রশাসন তখন কই ছিল?, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘উই ওয়ান্ট নলেজ নো পলিটিকাল ড্যামেজ’, ‘শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরে প্রশাসন তামাশা করে’, ‘ছাত্র রাজনীতি রেড কার্ড’, ‘বহিষ্কার বহিষ্কার জড়িতদের বহিষ্কার’, ‘দালালি না রাজপথ রাজপথ রাজপথ’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দড়ি ধরে মারো টান ভিসি হবে খান খান’ শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডের সঙ্গে স্লোগান দেন।
লালকার্ড দেখানোর সময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের যারা জড়িত তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে সেটাকে পরিবর্তন করে অর্ডিন্যান্স করতে হবে। যাতে কেউ আদালতে গিয়েও ছাত্র রাজনীতি করার অধিকার ফিরে না পায়।
এদিকে, দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খানজাহানআলী থানায় মামলা দায়ের করেছে। বুধবার রাতে নিরাপত্তা পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান লিটন বাদীয় হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন। হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা ৪শ থেকে ৫শ জনকে আসামী করা হয়। কুয়েটের পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে কুয়েটের হল ছেড়ে চলে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। তবে গেল রাতে মাইকিং করে ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার আহবান জানিয়েছেন আন্দোলনরতরা।
উল্লেখ্য, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিসি, প্রো ভিসিসহ তিন কর্র্মতার পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবীতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ##