০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েটে বেতন-ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

####

খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ অবিলম্বে প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ, বেতন ভাতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান অচলাবস্থা নিরসনে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতি যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। রবিবার (১ জুন) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা পাদদেশে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মঈনুল হক। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী বাদশা মো. হারুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াত, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান হাবিব, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদ মো. হাসিব সরদার প্রমুখ।

মানববন্ধনে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৎ যোগ্য, দক্ষ ও কুয়েট বান্ধব একজন উপাচার্য নিয়োগ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বন্ধ থাকা বেতন ও ঈদের বোনাস দ্রুত প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত সচল করার ৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এক গভীর সংকট ও চরম হতাশার মধ্যে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। কুয়েটের মত একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য নিয়োগ না দেওয়ায় অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রশাসনিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং সর্বোপরি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। কুয়েটের ইতিহাসে এটি প্রথম পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে অথচ প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা না দেওয়ায় আমাদের পরিবারগুলো হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।

বক্তারা বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি আর্থিক সংকট নয়, এটি আমাদের মর্যাদা, আমাদের সম্মান, আমাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করার এক নির্মম উদাহরণ। মানববন্ধনের মাধ্যমে বক্তারা শিক্ষার পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে এনে সৃষ্ট সংকটের সুষ্টু সমাধানে মহামান্য চ্যান্সেলর মহোদয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশিন(ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রাণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট দাবি জানান।

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

কেসিসির জোড়াগেট কোরবানির পশুরহাটের উদ্বোধন

কুয়েটে বেতন-ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

####

খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ অবিলম্বে প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ, বেতন ভাতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান অচলাবস্থা নিরসনে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতি যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। রবিবার (১ জুন) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা পাদদেশে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মঈনুল হক। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী বাদশা মো. হারুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াত, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান হাবিব, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদ মো. হাসিব সরদার প্রমুখ।

মানববন্ধনে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৎ যোগ্য, দক্ষ ও কুয়েট বান্ধব একজন উপাচার্য নিয়োগ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বন্ধ থাকা বেতন ও ঈদের বোনাস দ্রুত প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত সচল করার ৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এক গভীর সংকট ও চরম হতাশার মধ্যে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। কুয়েটের মত একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য নিয়োগ না দেওয়ায় অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রশাসনিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং সর্বোপরি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। কুয়েটের ইতিহাসে এটি প্রথম পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে অথচ প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা না দেওয়ায় আমাদের পরিবারগুলো হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।

বক্তারা বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি আর্থিক সংকট নয়, এটি আমাদের মর্যাদা, আমাদের সম্মান, আমাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করার এক নির্মম উদাহরণ। মানববন্ধনের মাধ্যমে বক্তারা শিক্ষার পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে এনে সৃষ্ট সংকটের সুষ্টু সমাধানে মহামান্য চ্যান্সেলর মহোদয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশিন(ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রাণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট দাবি জানান।