
####
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য দ্রুত ভিসি নিয়োগ ও কুয়েটে হামলা এবং শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনার বিচার না হওয়া র্পযন্ত ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষক সমিতি। সোমবার(২৩ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভা কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সবায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সাহিদুল ইসলাম। গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের অচলাবস্থা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের(ইউজিসি) চেয়ারম্যান কুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে ফোন করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনুরোধ করেন। তার প্রেক্ষিতে সোমবার শিক্ষক সমিতির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সমিতির সভায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষক সমিতি তাদের পূর্বের অবস্থানেই অটল রয়েছেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষক সমিতির সভা শেষে সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন জানান, ‘কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য দ্রুত ভিসি নিয়োগ দিতে আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষকদের পূর্বের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। সভায় শিক্ষকরা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভাইস চ্যান্সেলার দরকার। তার অবর্তমানে অনেক সিদ্ধান্ত এবং সংকট নিরসন দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে শিক্ষক সমিতি সরকারের কাছে অবিলম্বে একজন ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। সুতরাং ক্লাস আপাতত চালু হচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. নুরুন্নবী মোল্লা জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমাদের সংসদ থেকে পাশ করা যে আইন রয়েছে, সেই আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক দায়ভার ভিসির উপর। আমরা কিন্তু একাডেমিক র্কাযক্রম শুরু করতে চাই, বাট উই নিড এ লিডার। আমরা করতে গেলে কে আপ্রুভাল দিবে? একটা একাডেমিক ক্যালেন্ডার লাগবে। কে দিবে? প্রথম বর্ষের ক্লাস কখন শুরু হবে একাডেমিক কাউন্সিলে পাস হতে হবে। এই মেসেজটা আমরা বুঝাতে পারছি না। ভিসি আসা মানে ক্লাসে যাওয়ার রাস্তা তৈরি হওয়া। এজন্য সরকারকে দ্রুত ভিসি নিয়োগ দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছাত্র কল্যাণ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত চালুর আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়,বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার যে সিদ্ধান্ত ছিল সেটি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষার্থীরা সেশন জটে পড়েছে। সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তারা দাবি জানান। আবেদনে শিক্ষার্থীরা আরও উল্লেখ করেন, ভিসি না থাকায় আপনি (রেজিস্ট্রার) আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবকের দায়িত্বে আছেন। কাজেই সিন্ডিকেটের ওই সাভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র একাডেমিক কার্যক্রম টানা চার মাস বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একইভাবে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন এবং হতাশ অভিভাবকরাও।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অচলাবস্থা নিরসনে ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদিসহ অন্যান্য আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে বিকল্প নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর ২২জুন চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ। ##