####
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট) অব্যাহত সংকট সমাধানে আগামী ২৯ জুনের মধ্যে ভিসি নিয়োগ দিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এই সময়ের মধ্যে কুয়েটে চলমান সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো শিক্ষক সমিতির গত ২৩জুন অনুষ্ঠিত সবার বরাতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ র্কমসূচীর কথা জানানো হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো কুয়েট শিক্ষক সমিতির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ০৩মে চুয়েটের প্রফেসর ডঃ মোঃ হযরত আলীকে অন্তবর্তীকালীন ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অন্তবর্তী কালীন ভাইস চ্যান্সেলরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকবৃন্দ, অনুষদের ডীন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট এবং অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংবিধি ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে চলমান সংকট নিরসনের পরামর্শ দেন। কিন্তু সংকট নিরসনে ভিসির দীর্ঘ সূত্রিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি সমূহ সঠিকভাবে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে অনিহা পরিলক্ষিত হওয়ায় সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবি করে ০৪মে হতে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভীর সংকটকালীন সময়ে ভিসি দাপ্তরিক প্রয়োজন দেখিয়ে ১৯মে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে ভিসির ক্যাম্পাস ত্যাগের বিষয়টি দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করা হয়নি। তারপর থেকে অদ্যাবধি অভিভাবকহীন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। একই সাথে ক্যাম্পাসে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধসহ ক্যাম্পাসের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
পরবর্তীতে ২৫মে উদ্ভূত সংকট নিরসনে সিনিয়র প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠান। কিন্তু এখনও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে গত ২৯মে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ ও নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি প্রদান করলেও নির্দেশনার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের পূর্বে বেতন-বোনাস দিতে পারেনি।
ঈদ পরবর্তী অফিস খোলার পরে মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ভিসি নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি ৪ জুন প্রকাশিত হলে শিক্ষকবৃন্দ বিস্মিত হন। যোগ্যতার মাপকাঠিতে ক্যাম্পাসে ৬০ জনেরও বেশি প্রফেসর বিদ্যমান থাকলেও মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি দীর্ঘসূত্রিতার পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে তারা মনে করছেন।
তারা বলেন, গত ২৩ জুন সাধারণ সভায় শিক্ষকরা অভিমত দেন অভিভাবক(ভিসি) ছাড়া যেহেতু ক্লাস পরীক্ষাসহ কোন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নযয়। সেজণ্য সভা থেকে শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অতি দ্রুত একজন যোগ্য ভিসি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান। এছাড়া ২৯ জুনের মধ্যে ভিসি নিয়োগ করে চলমান সংকট নিরসনে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে শিক্ষক সমিতি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, চলমান সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ০৬সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন এবং হতাশ হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরাও। ##
<p style="text-align: center;">উপদেষ্টা : এস এম নুর মোহাম্মদ টুলু,<strong> প্রকাশক-সম্পাদক : সুনীল দাস</strong>, চিফ রিপোর্টার : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ।</p><p style="text-align: center;">অফিস : ৬৯/৭০ কেসিসি সুপার মার্কেট ( ২য় তলা ) খুলনা সদর, খুলনা-৯১০০।</p><p style="text-align: center;">যোগাযোগ : dainikmadhumati@gmail.com newsdainikmadhumoti@gmail.com Office No : 01871330235 Editor : 01712680702</p><p style="text-align: center;"><br></p>
Copyright © 2025 দৈনিক মধুমতি. All rights reserved.