০৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনাকে নিরাপদ নগরী গড়তে আইন-শৃংখলা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে : কেএমপি কমিশনার

####

খুলনাকে নিরাপদ নগরী গড়ার প্রত্যয়ে আইন-শৃংখলার উন্নয়ন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মাদক-জুয়া বন্ধসহ কঠোর পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন  খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে কেএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।

প্রেস ব্রিফিং-এ কেএমপি কমিশনার আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে চলমান অভিযানের সফলতা তুলে ধরা হয়। এ সময় তিনি অপরাধ কমাতে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টিতে সকল পেশার মানুষদের সাথে মত-বিনিময়, বিভিন্ন মোড়ে যৌথ চেকপোস্ট স্থাপন, ক্রাইম স্পটগুলোতে বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান, ১২জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহনের উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, নিরাপদ শহর গঠনে চ্যালেঞ্জসমূহের মধ্যে রয়েছে-পুলিশ সদস্যদের সক্রিয়তা ও পেশাদারিত্বে ঘাটতি, নাগরিকদের আইন মান্যতায় ঘাটতি, মহানগরীর বেশ কিছু রাস্তার বেহাল দশা, শহর জুড়ে ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রমের কারণে রাস্তা কাটাকাটি ও ব্যবহারযোগ্য রাস্তা সরু হয়ে যাওয়া, ইন্ডাস্ট্রি কম থাকায় বেকার মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, মাদকাসক্তি ও মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা, মাদক কারবারি ও অবৈধ দখলদারিত্ব নিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, সন্তান মানুষ করার বিষয়ে পিতা-মাতাদের গাফিলতি ও স্পোর্টস এবং অন্যান্য ইতিবাচক কর্মকান্ড কম থাকা। একই সাথে তিনি পুলিশ সদস্যদের মনোবল ও কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে থানা, ফাঁড়ি এবং ক্যাম্প ভিজিট করে পুলিশ সদস্যদের সাথে মতবিনিময়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন। কেএমপি’র সকল ইউনিটে পিঠা উৎসবের আয়োজন। পুলিশ লাইন্সের পুকুর হতে মৎস্য আহরণ করে অর্ধেক মূল্যে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ এবং পেশাগত কাজে উৎকর্ষতা প্রদর্শনের জন্য নগদ অর্থ পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদানের ব্যবস্তার কথাও তুলে ধরেন।

কেএমপি কমিশনার জানান, খুলনাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যত পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-‘এ্যাওয়ারনেস কার্ড’ বিতরণ। এ কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিক নিজের থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ থাকবে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে নাগরিকদের উৎসাহিত করা, ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, স্থাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে মিনি ম্যারাথন রেস ও দ্রুত হাটা প্রতিযোগিতা এবং শিশু কিশোরদের সাথে পুলিশের সম্পর্ক উন্নয়নে ২১ ফেব্রুয়ারি হাতের লেখা প্রতিযোগীতা আয়োজন করার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরে নগরবাসী সকলের সহযোগীতা চান তিনি।

প্রেস ব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু সালেহ মো. রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. কুতুবউদ্দিন ও ডিসি সাউথ মো. মনিরুজ্জামান মিঠু প্রমুখ। ##

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

খুলনাকে নিরাপদ নগরী গড়তে আইন-শৃংখলা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে : কেএমপি কমিশনার

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

####

খুলনাকে নিরাপদ নগরী গড়ার প্রত্যয়ে আইন-শৃংখলার উন্নয়ন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মাদক-জুয়া বন্ধসহ কঠোর পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন  খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে কেএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।

প্রেস ব্রিফিং-এ কেএমপি কমিশনার আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে চলমান অভিযানের সফলতা তুলে ধরা হয়। এ সময় তিনি অপরাধ কমাতে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টিতে সকল পেশার মানুষদের সাথে মত-বিনিময়, বিভিন্ন মোড়ে যৌথ চেকপোস্ট স্থাপন, ক্রাইম স্পটগুলোতে বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান, ১২জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহনের উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, নিরাপদ শহর গঠনে চ্যালেঞ্জসমূহের মধ্যে রয়েছে-পুলিশ সদস্যদের সক্রিয়তা ও পেশাদারিত্বে ঘাটতি, নাগরিকদের আইন মান্যতায় ঘাটতি, মহানগরীর বেশ কিছু রাস্তার বেহাল দশা, শহর জুড়ে ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রমের কারণে রাস্তা কাটাকাটি ও ব্যবহারযোগ্য রাস্তা সরু হয়ে যাওয়া, ইন্ডাস্ট্রি কম থাকায় বেকার মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, মাদকাসক্তি ও মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা, মাদক কারবারি ও অবৈধ দখলদারিত্ব নিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, সন্তান মানুষ করার বিষয়ে পিতা-মাতাদের গাফিলতি ও স্পোর্টস এবং অন্যান্য ইতিবাচক কর্মকান্ড কম থাকা। একই সাথে তিনি পুলিশ সদস্যদের মনোবল ও কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে থানা, ফাঁড়ি এবং ক্যাম্প ভিজিট করে পুলিশ সদস্যদের সাথে মতবিনিময়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন। কেএমপি’র সকল ইউনিটে পিঠা উৎসবের আয়োজন। পুলিশ লাইন্সের পুকুর হতে মৎস্য আহরণ করে অর্ধেক মূল্যে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ এবং পেশাগত কাজে উৎকর্ষতা প্রদর্শনের জন্য নগদ অর্থ পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদানের ব্যবস্তার কথাও তুলে ধরেন।

কেএমপি কমিশনার জানান, খুলনাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যত পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-‘এ্যাওয়ারনেস কার্ড’ বিতরণ। এ কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিক নিজের থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ থাকবে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে নাগরিকদের উৎসাহিত করা, ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, স্থাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে মিনি ম্যারাথন রেস ও দ্রুত হাটা প্রতিযোগিতা এবং শিশু কিশোরদের সাথে পুলিশের সম্পর্ক উন্নয়নে ২১ ফেব্রুয়ারি হাতের লেখা প্রতিযোগীতা আয়োজন করার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরে নগরবাসী সকলের সহযোগীতা চান তিনি।

প্রেস ব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু সালেহ মো. রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. কুতুবউদ্দিন ও ডিসি সাউথ মো. মনিরুজ্জামান মিঠু প্রমুখ। ##