
####
খুলনায় তিন দিনব্যাপী মৎস্যজীবীদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিপনন মেলা শুরু হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে খুলনার জাতিসংঘ শিশু পার্কে মঙ্গলবার বিকেলে এ মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।এ সময় তিনি বলেন, এ মেলা মৎস্যজীবীদের উৎপাদিত পণ্যেও প্রচার, প্রসার, মার্কেট লিংকেজ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং মাঠ পর্যায়ের সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এ ধরণের উদ্যোগ উপকূলীয় এলাকার জনগণের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা মৎস্যজীবীদের জীবিকায়ন এবং ভবিষ্যতের জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
এসডিএফের এসসিএমএফপি কম্পোজ-৩ এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ সামিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী এম.আই.এম জুলফিকারসহ প্রতিনিধিবৃন্দ।
আয়োজকরা জানান, মূলত: বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প, কম্পোনেন্ট-৩, এর আওতায় এই পণ্য প্রদর্শন ও বিপনন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মেলায় খুলনার বিভিন্ন গ্রামের জেলেদের উৎপাদিত বাহারী পণ্য ২৬টি স্টলে শোভা পাচ্ছে। মেলায় মৎস্যজীবীরা তাদের তৈরি চামড়াজাত পণ্য, মধু, মৎস্যসহ রকমারী পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। এখানে থাকছে সরাসরি উৎপাদনকারীদের সাথে মতবিনিময়ের অবারিত সুযোগ। মেলা ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। মেলা সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত। তিনদিনব্যাপী এই মেলায় প্রতিদিনই থাকছে দর্শকদের জন্য মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মেলায় অংশগ্রহনকারী মরনিদ্রা নকশীকাথা উৎপাদনমূখী সমবায় সমিতির কর্মী আয়শা বেগম জানান, তাদের স্টলে নিজেদের বুনানো কাথা, বেডসীট, পাখা, ব্যাগ, টুপি ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। এসব পণ্য খুবই সস্তা।
নাপিতের হাট শীতল পাটি উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতির কর্মী অবিনাশ পার্টিক জানান, তাদের স্টলে বাশেঁর তৈরী সাজবক্স, কলমদানী, টিস্যুবক্স, পাখা, ট্রে, শীতল পাটি দিয়ে সাজানা হয়েছে।
রাজেশ্বও মৎস্যজীবি সমিতির কর্মী মাহমুদা জানান, তারা পুতি দিয়ে তৈরী বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছেন। এছাড়া মেলায় জেলেদের হাতে তৈরী বিভিন্ন পণ্যদিয়ে সাজানো হয়েছে স্টল। ##