০৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় পৃথক ঘটনায় ৩জনকে গুলি ও জবাই করে হত্যা

####

খুলনার রূপসা ও মহানগরীর হরিণটানা থানা এলাকায় গুলি ও জবাই করে তিনজনকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।বৃহস্পতিবার রাতে রূপসার রাজাপুর ও মহানগরীর হরিনটানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় এ হত্যাকান্ড ঘটে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাব্বির  ও সাদ্দাম নামের দুই যুবক ও  বাবলু দত্ত একজন বালু ব্যবসায়ী।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে সাব্বির,  মিরাজ ওরফে কাউয়া মিরাজ ও সাদ্দাম অবস্থান নেয়। সেখানে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাব্বির নামের একজন নিহত হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় কাউয়া মিরাজ ও সাদ্দাম নামে আরো দুজন। আহতদের মধ্যে সাদ্দামকে স্থানীয়রা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গুলিটি মাথার পেছনের অংশে লাগায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ। অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায় সাদ্দাম। এদিকে, আহত মিরাজের  কোমরের পেছনে, নিচের অংশে গুলি লাগায় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে যায়। অপর একটি সূত্র জানায়, খুলনা নগরীর চানমারি ও লবণচরা এলাকার সন্ত্রাসী আশিক গ্রুপের অন্যতম প্রধান সদস্য সাজ্জাদ হোসে সহ ১০-১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। মাদক সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ ক্রন্দল সৃষ্টি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদ গ্রুপের সহায়তা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।

রূপসা থানার ঘটনায় রূপসা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, মিরাজ ও সাব্বির দুজনেই গ্রেনেড বাবুর প্রধান সহযোগী। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় অভ্যন্তরীণ ঝামেলা হওয়ায় সাব্বির, মিরাজ ও সাদ্দামকে গুলি করা হয়। সাব্বির ঘটনাস্থলে মারা যায়। সাদ্দামকে এম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। এছাড়া মিরাজ খুলনার একটি বেসরকারী হাসপাতাল থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় আশিক ও সাজ্জাদ গ্রুপ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর হরিনটানা থানা এলাকায় বাবলু দত্ত নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাবলু দত্ত মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফেরার পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত গতিরোধ করে ধরে নিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে চলে যায়। নিহত বাবলু দত্ত হরিনটানার দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমূল্য দত্তের ছেলে। হরিণটানা থানার ওসি শেখ খায়রুল শেখ খায়রুল বাসার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ##

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এর প্রয়াণ দিবসে পরম শ্রদ্ধাঞ্জলী ” রেখো মা দাসেরে মনে এ মিনতি করি পদে”

খুলনায় পৃথক ঘটনায় ৩জনকে গুলি ও জবাই করে হত্যা

আপডেট সময় : ১২:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

####

খুলনার রূপসা ও মহানগরীর হরিণটানা থানা এলাকায় গুলি ও জবাই করে তিনজনকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।বৃহস্পতিবার রাতে রূপসার রাজাপুর ও মহানগরীর হরিনটানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় এ হত্যাকান্ড ঘটে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাব্বির  ও সাদ্দাম নামের দুই যুবক ও  বাবলু দত্ত একজন বালু ব্যবসায়ী।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে সাব্বির,  মিরাজ ওরফে কাউয়া মিরাজ ও সাদ্দাম অবস্থান নেয়। সেখানে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাব্বির নামের একজন নিহত হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় কাউয়া মিরাজ ও সাদ্দাম নামে আরো দুজন। আহতদের মধ্যে সাদ্দামকে স্থানীয়রা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গুলিটি মাথার পেছনের অংশে লাগায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ। অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায় সাদ্দাম। এদিকে, আহত মিরাজের  কোমরের পেছনে, নিচের অংশে গুলি লাগায় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে যায়। অপর একটি সূত্র জানায়, খুলনা নগরীর চানমারি ও লবণচরা এলাকার সন্ত্রাসী আশিক গ্রুপের অন্যতম প্রধান সদস্য সাজ্জাদ হোসে সহ ১০-১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। মাদক সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ ক্রন্দল সৃষ্টি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদ গ্রুপের সহায়তা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।

রূপসা থানার ঘটনায় রূপসা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, মিরাজ ও সাব্বির দুজনেই গ্রেনেড বাবুর প্রধান সহযোগী। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় অভ্যন্তরীণ ঝামেলা হওয়ায় সাব্বির, মিরাজ ও সাদ্দামকে গুলি করা হয়। সাব্বির ঘটনাস্থলে মারা যায়। সাদ্দামকে এম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। এছাড়া মিরাজ খুলনার একটি বেসরকারী হাসপাতাল থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় আশিক ও সাজ্জাদ গ্রুপ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর হরিনটানা থানা এলাকায় বাবলু দত্ত নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাবলু দত্ত মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফেরার পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত গতিরোধ করে ধরে নিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে চলে যায়। নিহত বাবলু দত্ত হরিনটানার দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমূল্য দত্তের ছেলে। হরিণটানা থানার ওসি শেখ খায়রুল শেখ খায়রুল বাসার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ##