০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় ধুপ ও কয়েল জ্বালিয়ে এবং মশারী নিয়ে বিক্ষোভ

####

খুলনায় মশা নিধন এবং মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষার দাবীতে ধুপ ও কয়েল জ্বালিয়ে এবং মশারী নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ আ ফ ম মহসীনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডঃ মোঃ বাবুল হাওলাদার, এস এম দেলোয়ার হোসেন, নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, নাগরিক নেতা মিজানুর রহমান বাবু, শেখ মফিদুল ইসলাম, মুনীর চৌধুরী সোহেল, ডাঃ নাসির উদ্দিন, সরদার আবু তাহের, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, আব্দুস সালাম শিমুল, এইচ এম আলাউদ্দীন, রোটাঃ কামরুল করিম বাবু, আবু আসলাম বাবু, মাহবুবুর রহমান মুন্না, এফ এম মনিরুজ্জামান, ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, খ.ম শাহীন হোসেন, অ্যাড. মেহেদী হাসান, প্রফেসর রোটাঃ উত্তম দাস, সাঈদা পারভীন, সাইফুর রহমান মিনা, জাহানারা আক্তারী, প্রমি আক্তার লিজা, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, মীর কবির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ, নাজমুল হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারসহ সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। মশার প্রজনন মৌসুমে প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, উপযোগী কীটনাশক ব্যবহার, লার্ভা ধ্বংসের জন্য উপযোগী ঔষধ ছিটানো, ড্রেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সর্বোপরি সঠিকভাবে বর্জ্যব্যাবস্থাপনা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। ঔষধ ক্রয়, সংরক্ষণ, ব্যবহারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ঔষধ ছিটানো কাজে নিয়োজিত জনবলকে মনিটরিং এর আওতায় আনতে হবে। ড্রেনসহ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে নগরবাসীকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক কর্মসূচী, প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করতে হবে। সিঙ্গেল ইউজড পলিথিন বন্ধ করতে হবে। পলিথিন ড্রেন, নর্দমা, জলাশয়ে ময়লার স্তুপ তৈরী করে মশার বংশ বিস্তার করে, পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় মশার প্রজনন ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পায়। নগরবাসীকে সুপরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার নিরিখে বর্জ্যব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। নগরীর পাশ্ববর্তী ময়ূর নদ এবং এর শাখা-প্রশাখা-খাল সচল কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে নাগরিক সমাজ, শিক্ষার্থী, সমাজ হিতৈষী নগরবাসীকে এ কাজের সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করার দাভী জানানো হয়।

তারা আরও বলেন, মশার কারণে ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, ধর্মীয় উপাসনা সর্বোপরী নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নগরবাসী। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে না পারলে মশাবাহিত রোগের কারণে বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। ##

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

দশমিনায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ উদ্ধোধন

খুলনায় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় ধুপ ও কয়েল জ্বালিয়ে এবং মশারী নিয়ে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৪:২০:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

####

খুলনায় মশা নিধন এবং মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষার দাবীতে ধুপ ও কয়েল জ্বালিয়ে এবং মশারী নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ আ ফ ম মহসীনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডঃ মোঃ বাবুল হাওলাদার, এস এম দেলোয়ার হোসেন, নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, নাগরিক নেতা মিজানুর রহমান বাবু, শেখ মফিদুল ইসলাম, মুনীর চৌধুরী সোহেল, ডাঃ নাসির উদ্দিন, সরদার আবু তাহের, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, আব্দুস সালাম শিমুল, এইচ এম আলাউদ্দীন, রোটাঃ কামরুল করিম বাবু, আবু আসলাম বাবু, মাহবুবুর রহমান মুন্না, এফ এম মনিরুজ্জামান, ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, খ.ম শাহীন হোসেন, অ্যাড. মেহেদী হাসান, প্রফেসর রোটাঃ উত্তম দাস, সাঈদা পারভীন, সাইফুর রহমান মিনা, জাহানারা আক্তারী, প্রমি আক্তার লিজা, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, মীর কবির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ, নাজমুল হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারসহ সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। মশার প্রজনন মৌসুমে প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, উপযোগী কীটনাশক ব্যবহার, লার্ভা ধ্বংসের জন্য উপযোগী ঔষধ ছিটানো, ড্রেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সর্বোপরি সঠিকভাবে বর্জ্যব্যাবস্থাপনা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। ঔষধ ক্রয়, সংরক্ষণ, ব্যবহারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ঔষধ ছিটানো কাজে নিয়োজিত জনবলকে মনিটরিং এর আওতায় আনতে হবে। ড্রেনসহ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে নগরবাসীকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক কর্মসূচী, প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করতে হবে। সিঙ্গেল ইউজড পলিথিন বন্ধ করতে হবে। পলিথিন ড্রেন, নর্দমা, জলাশয়ে ময়লার স্তুপ তৈরী করে মশার বংশ বিস্তার করে, পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় মশার প্রজনন ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পায়। নগরবাসীকে সুপরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার নিরিখে বর্জ্যব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। নগরীর পাশ্ববর্তী ময়ূর নদ এবং এর শাখা-প্রশাখা-খাল সচল কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে নাগরিক সমাজ, শিক্ষার্থী, সমাজ হিতৈষী নগরবাসীকে এ কাজের সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করার দাভী জানানো হয়।

তারা আরও বলেন, মশার কারণে ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, ধর্মীয় উপাসনা সর্বোপরী নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নগরবাসী। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে না পারলে মশাবাহিত রোগের কারণে বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। ##