####
খুলনা নগরী এখন হত্যা ও খুনের উপত্যকায় পরিনত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক আন্দোলন খুলনার নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, নগরীতে একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সক্রিয় নয় বা জন-জীবনে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম নয়। বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন ঘটনায় এ নগরীতে ১২ জন খুন হয়েছে। নগরীব্যাপী ডাকাতি, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের মত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে যা খুলনার শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের আতঙ্কিত করে তুলছে। মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারি) দুপুরে হত্যা, ডাকাতি ও সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বৃদ্ধি, প্রশাসনের নিরবতা, ভ্যাট বৃদ্ধি ও অসহনীর ট্রাফিকিং ব্যবস্থার প্রতিবাদে খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এসব মতামত তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক ডা. শেখ বাহারুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে রাষ্ট্রের উদাসিনতা বা নিঃক্রিয়তার প্রতিবাদে এরআগে বহুবার সরকারের কাছে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও বিভিন্ন সংকটের কথা বলেছি। নগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা বিক্ষোভ প্রদর্শন, মনববন্ধন ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং সংবাদ সম্মেলন করেছি বহুবার। কিন্তু নাগরিকরা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। এই ভয়াবহ ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভপ্রকাশ করে সরকারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোযোগ আকর্ষণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই আতঙ্কিত জনপদে এক সময় বিস্ফোরন ঘটবে যেটি নাগরিক ও সরকার কারও পক্ষে সুখকর হবে না। কাজেই রাষ্ট্রের দৃশ্যমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও গোয়েন্দা অনেক বাহিনী আছে যারা খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিষয়ে পূর্বাহ্নেই অবগত থাকেন। জনগনের হাজার হাজার কোটি টাকা কোষাগার থেকে গ্রহন করলেও জনগনের কাঙ্খিত সেবা দিতে তারা উদাসিন। তাই মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে সুনামির মত হয়ে উঠবে যা জাতির জন্য অনাকাঙ্খিত। দ্রুত খুলনা নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অর্থ বছরের মধ্যবর্তি সময়ে ভ্যাট বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বলেন, এর ফলে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ দিনাতিপাত করতে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়বে। খুলনা নগরির প্রবেশ মুখ গল্লামারি ব্রিজের কাজ দ্রুত সম্পূর্ন করা এবং সোনাডাঙ্গা বাসষ্টান্ড সংলগ্ন মূয়র বিদ্রের উপরদিয়ে সংযোগ সড়কটি কেডিএ ও কেসিসির সমন্বয়ে ব্যবহার উপযোগী করার মাধ্যমে নগরীর যানজট অনেকটা নিরাসন সম্ভব এছাড়া নগরীর সর্বত্র বিদ্যমান ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা যা জন-জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে তা দূরকরার জোর দাবীও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক ডা. শেখ বাহারুল আলম, এফএম মহসীনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ##
<p style="text-align: center;">উপদেষ্টা : এস এম নুর মোহাম্মদ টুলু,<strong> প্রকাশক-সম্পাদক : সুনীল দাস</strong>, চিফ রিপোর্টার : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ।</p><p style="text-align: center;">অফিস : ৬৯/৭০ কেসিসি সুপার মার্কেট ( ২য় তলা ) খুলনা সদর, খুলনা-৯১০০।</p><p style="text-align: center;">যোগাযোগ : dainikmadhumati@gmail.com newsdainikmadhumoti@gmail.com Office No : 01871330235 Editor : 01712680702</p><p style="text-align: center;"><br></p>
Copyright © 2025 দৈনিক মধুমতি. All rights reserved.