০৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনা মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল

####

গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসনলামীর উদ্যোগে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় সভাপতিত্ব করেন  খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, ইসলামীর ছাত্রশিবিরের মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মিম মিরাজ হোসাইন, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান ও সেক্রেটারি মো. আব্দুস সালাম, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মাওলানা জাহিদুর রহমান নাঈম, হরিণটানা থানা আমীর আব্দুল গফুর, দৌলতপুর থানা আমীর মাওলানা মুশাররফ আনসারী, এডভোকেট আওসাফুর রহমান, এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন কবীরসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে নেতানিয়াহু বাহিনীর বর্বর হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬৯৫ জন এবং এক লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে পূর্ব-আলোচনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি এখনো শুরু হয়নি। হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে হয়নি কোনো ঐক্যমত্য। যার ফলে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজার বিভিন্ন অংশে হামলার মাত্রা বড় আকারে বাড়িয়েছে ইসরায়েল, যার বড় একটি অংশ দক্ষিণ গাজার রাফা শহরকে লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে। কার্যত নিশ্চিহ্নের পথে রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি। কার্যত দক্ষিণ গাজার রাফা অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় ‘পরিপূর্ণ মানবিক বিপর্যয় ও বড় আকারে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা দিয়েছে, যা জীবনযাপনের সব ধরনের প্রক্রিয়াকে স্থিমিত করেছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী রাফা গভার্নোরেটের ৯০ শতাংশ বাড়ি, রাফার ২৪টি সুপেয় পানির কুপের মধ্যে ২২টিই ধ্বংস, পয়নিষ্কাশন নেটওয়ার্কের ৮৫ শতাংশ অকেজো, আটটি স্কুল ও শিক্ষাভবন ধ্বংস, ১২টি মেডিকেল সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ এবং ম্যাটারনিটি হাসপাতাল ও ইন্দোনেশীয় হাসপাতালও ধ্বংস করা হয়েছে। এই বর্বরোচিত হামলা কোন মুসলমান মেনে নিতে পারে না। সাধারণ মুসলমানদের যার যার অবস্থান থেকে এই জালেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ফরয হয়ে গেছে। জাতিসংঘ ও ওআইসি সহ সবাইকে জালেম ইসরাইলকে কঠোর হস্তে দমনের আহ্বান জানান।

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এর প্রয়াণ দিবসে পরম শ্রদ্ধাঞ্জলী ” রেখো মা দাসেরে মনে এ মিনতি করি পদে”

খুলনা মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট সময় : ০৩:০৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

####

গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসনলামীর উদ্যোগে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় সভাপতিত্ব করেন  খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, ইসলামীর ছাত্রশিবিরের মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মিম মিরাজ হোসাইন, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান ও সেক্রেটারি মো. আব্দুস সালাম, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মাওলানা জাহিদুর রহমান নাঈম, হরিণটানা থানা আমীর আব্দুল গফুর, দৌলতপুর থানা আমীর মাওলানা মুশাররফ আনসারী, এডভোকেট আওসাফুর রহমান, এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন কবীরসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে নেতানিয়াহু বাহিনীর বর্বর হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬৯৫ জন এবং এক লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে পূর্ব-আলোচনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি এখনো শুরু হয়নি। হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে হয়নি কোনো ঐক্যমত্য। যার ফলে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজার বিভিন্ন অংশে হামলার মাত্রা বড় আকারে বাড়িয়েছে ইসরায়েল, যার বড় একটি অংশ দক্ষিণ গাজার রাফা শহরকে লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে। কার্যত নিশ্চিহ্নের পথে রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি। কার্যত দক্ষিণ গাজার রাফা অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় ‘পরিপূর্ণ মানবিক বিপর্যয় ও বড় আকারে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা দিয়েছে, যা জীবনযাপনের সব ধরনের প্রক্রিয়াকে স্থিমিত করেছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী রাফা গভার্নোরেটের ৯০ শতাংশ বাড়ি, রাফার ২৪টি সুপেয় পানির কুপের মধ্যে ২২টিই ধ্বংস, পয়নিষ্কাশন নেটওয়ার্কের ৮৫ শতাংশ অকেজো, আটটি স্কুল ও শিক্ষাভবন ধ্বংস, ১২টি মেডিকেল সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ এবং ম্যাটারনিটি হাসপাতাল ও ইন্দোনেশীয় হাসপাতালও ধ্বংস করা হয়েছে। এই বর্বরোচিত হামলা কোন মুসলমান মেনে নিতে পারে না। সাধারণ মুসলমানদের যার যার অবস্থান থেকে এই জালেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ফরয হয়ে গেছে। জাতিসংঘ ও ওআইসি সহ সবাইকে জালেম ইসরাইলকে কঠোর হস্তে দমনের আহ্বান জানান।