
####
পাইকগাছায় হামলা ও পাল্টা হামলা ও মারপিটে মিজানুর সরদার (৬০) ও আনারুল গাজী( ৪৪) নামে দু’ব্যক্তি রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি একাধিক মামলার আসামী কৃষ্ণনগরের সফি গাজীসহ তার ভাই ও আশ্রয়-প্রশ্রয়কারিদের বাড়ি-দোকান ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছেন। ঈদুল আযহার দিন শনিবার রাতের এ হামলা ও মারপিটের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় মিজানুর ও আনারুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার সকালে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। আহত মিজানুর সরদার রাড়ুলীর শ্রীকন্ঠপুরের হারু সরদারের ছেলে ও আনারুল গাজী চাঁদখালীর কৃষ্ণ নগরের আনছার গাজীর ছেলে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন,সম্প্রতি এলাকার সচেতন মহল ও কাটাখালী বাজারের ব্যবসায়ীরা যে কোন ধরনের হুমকি,সন্ত্রাসী ও চাঁদাদাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটলো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ একাধিক মামলার আসামী সফি গাজী ও তার লোকেরা ঈদের দিন রাতে শ্রীকন্ঠপুরের মিজানুর সরদারকে কুপিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করে পালিয়ে যায় । এ খবরটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা রাত দেড়টার দিকে সফির বাড়ি ঘর ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় সে বাড়িতে ছিলনা। তবে তার বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন জনতা। তাছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা সফি’র আশ্রয় ও সহযোগীতা করার অভিযোগে আনারুল গাজীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার মাথায় মারাত্মক ভাবে আঘাত করে জখম করেন। বর্তমানে সে খুলনার চিকিৎসাধীন আছে।
এদিকে মারমুখি জনতা রবিবার দুপুরে সফির ভাই রফিক গাজী বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। একই সাথে কাটাখালী বাজারের এক ঔষধের দোকান ঘর থেকে চাইনিজ কুঁড়াল উদ্ধার করে দোকান ভাংচুর করে আগুন দেয়।
সুত্র বলছেন, গত ৩১ মে রাতে সফি মৎস্য ঘেরে অবস্থানকালে কে বা কারা পিছন থেকে তার পাঁজরে স্বজোরে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। সে ঈদের পুর্বের দিন খুলনা থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে পৌছায়। স্থানীয়দের অভিযোগ সে সর্বশেষ মিজানুরের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এলাকা শান্ত থাকার কথা বলে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি ( তদন্ত) ইদ্রিসুর রহমান জানান, রবিবার ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করে এলাকায় পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ##