০৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোল্লাহাট টোলপ্লাজা থেকে চারটি পিস্তলসহ ১১ জন আটক : বড় অপরাধের পরিকল্পনায় এসেছিল তারা

####

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মধুমতি নদীর আবুল খায়ের সেতুর টোলপ্লাজা থেকে চারটি বিদেশি পিস্তলসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে একটি মাইক্রোবাসসহ তাদের আটক করে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও মোল্লাহাট থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে চারটি পিস্তল ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা কোনো বড় ধরনের অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ থেকে মোল্লাহাটে এসেছিল। আটককৃতরা হলো ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার কানাইডাঙ্গা গ্রামের কদম আলী মোল্লা ছেলে কাউসার আলী, আব্দুল মবিনের ছেলে আতাউর রহমান, ধান্যহরিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইমদাদুল হক, নুর আলমের ছেলে মাসুম পারভেজ, গয়েশপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জনি মিয়া, হরিণাকুন্ডু থানার বাসুদেবপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মো: মেহেদী হাসান, সাবেক বিন্দু গ্রামের ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের ছেলে মোঃ খোকন বিশ্বাস, আনিসুর রহমান শাহের ছেলে সেলিম শাহ, সড়াবাড়ি গ্রামের আবুল বাসার মন্ডলের ছেলে খোকন মিয়া ও ঝিনাইদহ সদরের  হামদো মোড় এলাকার অধীর চন্দ্র দাসের ছেলে প্রসেনজিৎ চন্দ্র দাশ।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, একটি মাইক্রোবাসে করে ১০ জন অপরাধী ও চালক মোল্লাহাটে আসছে। তারা বড় কোনো অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা করছিল। এরপরই মোল্লাহাট টোলপ্লাজায় অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।” ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা হইতে আসা একটি হাইএস মাইক্রোবাস থামিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে মাইক্রোবাসে আগত ব্যক্তিদের তল্লাশী করে ০৪টি বিদেশী পিস্তল, ০৪টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, ০১টি সেভেন গিয়ার চাকু, একটি ক্ষুর ও ০১টি দা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তদন্ত শেষে মামলা দায়ের করা হবে এবং বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

পুলিশের এ ধরনের তৎপরতা এবং গোয়েন্দা নজরদারি এলাকায় বড় ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু সহ স্থানীয়রা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ##

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এর প্রয়াণ দিবসে পরম শ্রদ্ধাঞ্জলী ” রেখো মা দাসেরে মনে এ মিনতি করি পদে”

মোল্লাহাট টোলপ্লাজা থেকে চারটি পিস্তলসহ ১১ জন আটক : বড় অপরাধের পরিকল্পনায় এসেছিল তারা

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

####

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মধুমতি নদীর আবুল খায়ের সেতুর টোলপ্লাজা থেকে চারটি বিদেশি পিস্তলসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে একটি মাইক্রোবাসসহ তাদের আটক করে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও মোল্লাহাট থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে চারটি পিস্তল ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা কোনো বড় ধরনের অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ থেকে মোল্লাহাটে এসেছিল। আটককৃতরা হলো ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার কানাইডাঙ্গা গ্রামের কদম আলী মোল্লা ছেলে কাউসার আলী, আব্দুল মবিনের ছেলে আতাউর রহমান, ধান্যহরিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইমদাদুল হক, নুর আলমের ছেলে মাসুম পারভেজ, গয়েশপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জনি মিয়া, হরিণাকুন্ডু থানার বাসুদেবপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মো: মেহেদী হাসান, সাবেক বিন্দু গ্রামের ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের ছেলে মোঃ খোকন বিশ্বাস, আনিসুর রহমান শাহের ছেলে সেলিম শাহ, সড়াবাড়ি গ্রামের আবুল বাসার মন্ডলের ছেলে খোকন মিয়া ও ঝিনাইদহ সদরের  হামদো মোড় এলাকার অধীর চন্দ্র দাসের ছেলে প্রসেনজিৎ চন্দ্র দাশ।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, একটি মাইক্রোবাসে করে ১০ জন অপরাধী ও চালক মোল্লাহাটে আসছে। তারা বড় কোনো অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা করছিল। এরপরই মোল্লাহাট টোলপ্লাজায় অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।” ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা হইতে আসা একটি হাইএস মাইক্রোবাস থামিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে মাইক্রোবাসে আগত ব্যক্তিদের তল্লাশী করে ০৪টি বিদেশী পিস্তল, ০৪টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, ০১টি সেভেন গিয়ার চাকু, একটি ক্ষুর ও ০১টি দা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তদন্ত শেষে মামলা দায়ের করা হবে এবং বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

পুলিশের এ ধরনের তৎপরতা এবং গোয়েন্দা নজরদারি এলাকায় বড় ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু সহ স্থানীয়রা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ##