####

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জুলাই-আগস্টের খুনি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য অন্তত: জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আগেই খুনিদের বিচার কাজ শুরু করা। সেই লক্ষ্যে বতর্মান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। রবিবার (০৯ মার্চ) বিকেল ৩টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।জুলাই-২০২৪ আন্দোলনে শহীদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ নামফলক উন্মোচন করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শহিদ মীর মুগ্ধদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। তরুণরা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন দেশের প্রয়োজনে তারা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। এই বীর শহিদদের স্মৃতি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।

উপদেষ্টা বলেন, রাজনীতিমুক্ত একটি ক্যাম্পাসে মীর মুগ্ধ’র মতো রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠছে। মীর মুগ্ধকে আমরা হারিয়েছি ঠিকই, কিন্তু তার মতো অনেকেই এই ক্যাম্পাসে এখনো আছে। আন্দোলনের মধ্যে ‘ভাই, পানি লাগবে পানি’ বলে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আজ তাঁর স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ আমি এবং মুগ্ধ’র ভাই স্নিগ্ধ উদ্বোধন করতে পেরেছি- এটা আমাদের জন্য গর্বের।

তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণের জন্য শিক্ষার্থীরা দাবির বিষয়ে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার-দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। উভয় প্রতিষ্ঠানের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে বলে আশা করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মজিদ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ও অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক আইরিন আজহার ঊর্মি।

সভার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পেশাজীবী ও নাগরিক নেতৃবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।