
মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :
১৫ বছর পর উৎসবমুখর ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সস্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সস্মেলনের শুরু হয়।
প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে সস্মেলন মাঠে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। দীর্ঘ দিন পর এ সস্মেললনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিলো অন্যরকমের উৎসাহ ও উদ্দিপনা। উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করায় ছিলো তাদের মধ্যে আনন্দ।
বিকেল ৪ ঘটিকায় উপজেলা কৃষক দলের নতুন কমিটি ঘোষনার আগে আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করেন জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম ইভান। আহবায় কমিটি বিলুপ্ত করার দশ মিনিট পর বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক মনিরুজ্জাম মনিরকে সভাপতি ও হারুন-আর-রশিদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করা হয়।
উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মনিরুজ্জাম মনির এর সভাপতিত্বে সস্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাসান মামুন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিন খান মিলন, কৃষক দলের কেন্দ্রয়ি কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন সেন্টু, বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলার কৃষক দলের সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম ইভান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল আলীম তালুকদার, সহ-সভাপতি ওহাব চৌধুরি , সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল, যুবদলের আহবায়ক এনামুল হক রতন, সদস্য সচিব শামীম খান, ছাত্র দলের সভাপতি কাজী তানজিল আহমেদ রিডেন, সাধারণ সম্পাদক শালাহউদ্দিন সহ কেন্দ্রীয়, বিভাগ, জেলা উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল বলেন, আওয়ামীলীগের তথা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অবৈধভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তার বাস ভবন থেকে বের করে দিয়ে ছিলো। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে রেখে মানসিক নির্যাতন করেছে। উন্নত চিকিৎসা ও করতে দেয়া হয়নি। শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেই নাই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থ, গনতন্ত্র, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। নির্বিচারে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীকে ঘুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরকে বছর জেল খাটিয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করায় দেশের জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ এদের আর চায়না। এরা দেশের মানুষের ক্ষতি করার জন্য ভারতে বসে আবার নীলনকশা প্রনয়ন করতে চায়। বিএনপি জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে সবসময় জনগনের পাশে থেকে কাজ করেছে। আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া ও রাস্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবো আল্লাহর রহমাতে। সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ব হয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন কৃষক দলে কোন ভাবেই খুনি হাসিনার লোক প্রবেশ করতে না সে দিকে শতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলার কৃষক দলের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্য শেষে নামাজ ও খাবারের বিরোতির পর পূনরায় দুপুর তিনটায় দ্ধিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। দ্ধিতীয় অধিবেশনের শুরুতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ একধিক পদের নাম আহবান করা হয়। সভাপতি পদে মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক পদে হারুন-আর-রশিদ ছাড়া একাধিক কোন প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদন্দিতায় কাউন্সিলারদের মতামতের ভিত্তিতে সস্মেলন মঞ্চে মনিরুজ্জামান মনিরকে সভাপতি ও হারুন-আর-রশিদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে নাম ঘোষনা করা হয়।