০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৩তম বিসিএস বঞ্চিত ক্যাডারদের গেজেট প্রকাশে সচিবের প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন

  • মধুমতি ডেক্স :
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • ৭১ টাইম ভিউ

####

অবিলম্বে ৪৩তম বিসিএসের ২য় গেজেট বঞ্চিত নিরপরাধ ক্যাডার অফিসারবৃন্দকে গেজেটভূক্ত করে যোগদান নিশ্চিত করণে সচিবের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ৪৩তম বিসিএস গেজেট বঞ্চিত ক্যাডার অফিসাদের উদ্যোগে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অফিসারবৃন্দ বলেন, ‘‘দাবি মোদের একটাই অবিলম্বে গেজেট চাই, সচিব স্যারের প্রতিশ্রম্নতি আলোর মুখ দেখবে কবে?’’ ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ৩০ ডিসেম্বর। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ প্রার্থী। এরআগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন মোট ২৬৭ জন। এরমধ্যে ৪০জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপস্থিত হননি। তাই তারা পুনর্বিবেচনার জন্য বিবেচিত হবেন না। ফলে ২২৭ জনের তথ্য পুনর্বিবেচনা হবে।  তারা আরও বলেন, তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ নেই, তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন আশা করি। তিনি সচিবালয়ে দুইটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত  জানিয়েছিলেন। ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জনের গোয়েন্দা তথ্য পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমন ঘোষণার পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলে ও তাদের যোগদানের বিষয়ে এখনো ধোয়াশা কাটেনি। চরম হতাশা ও দু:খ কষ্ট বঞ্চনা ও দু:চিন্তার মধ্যে দিন পার করছে ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ক্যাডারবৃন্দ।

মানব বন্ধনে তারা বলেন, জুলাই আন্দোলন পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আমরা কেনো আবার বৈষ্যমের স্বীকার হচ্ছি?  যেখানে পুরো দেশ এবং দেশের সিষ্টেম ঢেলে সাজানো হচ্ছে সেখানে এবং সেই মুহুর্তে আমরা কেনো আমাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অফিসারবৃন্দ আরও বলেন, ২৬/২৭/২৮ বছর ধরে ছাত্রজীবন শেষ করে কঠোর অধ্যাবসায় শেষে আমার সফলতার স্বপ্ন দেখছিলাম। ঠিক তখনই বিনা অপরাধে এভাবে যদি আমরা আমাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় । তাহলে আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে । এতবড় ধাক্কা খেলে বা এতবড় বৈষম্যের স্বীকার হলে আমরা আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো না। ঈদের আগেই আমরা আমাদের নায্য দাবি ও অধিকার ফিরে পেতে চাই।  আমরা অনেক কষ্ট করে পরিশ্রম করে সাধনা করে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে আজকে যোগ্যতা অর্জন করে আমরা যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। আমাদের সাথে কোন প্রকার বৈষম্য করা হলে আমরা তা সহজে মেনে নেব না ঈদের আগে যদি আমরা আমাদের নায্য দাবি বুঝে না পায় তাহলে ঈদের পরে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিচ্ছি। আমরা বিসিএস ক্যাডার আমরা অফিসার, আমাদের কে রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা করতে বাধ্য করবেন না। আমরা আশা করব সচিবের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করে আমাদের যোগ্যস্থানে যোগদান করতে সহযোগিতা করবেন।

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

খুলনায় বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষে বিভাগীয় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

৪৩তম বিসিএস বঞ্চিত ক্যাডারদের গেজেট প্রকাশে সচিবের প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

####

অবিলম্বে ৪৩তম বিসিএসের ২য় গেজেট বঞ্চিত নিরপরাধ ক্যাডার অফিসারবৃন্দকে গেজেটভূক্ত করে যোগদান নিশ্চিত করণে সচিবের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ৪৩তম বিসিএস গেজেট বঞ্চিত ক্যাডার অফিসাদের উদ্যোগে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অফিসারবৃন্দ বলেন, ‘‘দাবি মোদের একটাই অবিলম্বে গেজেট চাই, সচিব স্যারের প্রতিশ্রম্নতি আলোর মুখ দেখবে কবে?’’ ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ৩০ ডিসেম্বর। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ প্রার্থী। এরআগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন মোট ২৬৭ জন। এরমধ্যে ৪০জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপস্থিত হননি। তাই তারা পুনর্বিবেচনার জন্য বিবেচিত হবেন না। ফলে ২২৭ জনের তথ্য পুনর্বিবেচনা হবে।  তারা আরও বলেন, তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ নেই, তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন আশা করি। তিনি সচিবালয়ে দুইটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত  জানিয়েছিলেন। ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জনের গোয়েন্দা তথ্য পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমন ঘোষণার পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলে ও তাদের যোগদানের বিষয়ে এখনো ধোয়াশা কাটেনি। চরম হতাশা ও দু:খ কষ্ট বঞ্চনা ও দু:চিন্তার মধ্যে দিন পার করছে ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ক্যাডারবৃন্দ।

মানব বন্ধনে তারা বলেন, জুলাই আন্দোলন পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আমরা কেনো আবার বৈষ্যমের স্বীকার হচ্ছি?  যেখানে পুরো দেশ এবং দেশের সিষ্টেম ঢেলে সাজানো হচ্ছে সেখানে এবং সেই মুহুর্তে আমরা কেনো আমাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অফিসারবৃন্দ আরও বলেন, ২৬/২৭/২৮ বছর ধরে ছাত্রজীবন শেষ করে কঠোর অধ্যাবসায় শেষে আমার সফলতার স্বপ্ন দেখছিলাম। ঠিক তখনই বিনা অপরাধে এভাবে যদি আমরা আমাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় । তাহলে আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে । এতবড় ধাক্কা খেলে বা এতবড় বৈষম্যের স্বীকার হলে আমরা আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো না। ঈদের আগেই আমরা আমাদের নায্য দাবি ও অধিকার ফিরে পেতে চাই।  আমরা অনেক কষ্ট করে পরিশ্রম করে সাধনা করে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে আজকে যোগ্যতা অর্জন করে আমরা যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। আমাদের সাথে কোন প্রকার বৈষম্য করা হলে আমরা তা সহজে মেনে নেব না ঈদের আগে যদি আমরা আমাদের নায্য দাবি বুঝে না পায় তাহলে ঈদের পরে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিচ্ছি। আমরা বিসিএস ক্যাডার আমরা অফিসার, আমাদের কে রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা করতে বাধ্য করবেন না। আমরা আশা করব সচিবের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করে আমাদের যোগ্যস্থানে যোগদান করতে সহযোগিতা করবেন।