বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম কোনারপাড়া নো মেনস ল্যান্ডের (শূন্যরেখা) শিবিরে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। জাতিসংঘের কাছে ইমেইলে পাঠানো চিঠিতে শিবিরটির সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার বাহিনীর মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণের ঘটনায় চরম আতঙ্ক এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া সংলগ্ন শূন্যরেখার ক্যাম্পে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা নেতা দীল মোহাম্মদ জানিয়েছেন, তার সই করা চিঠিটি ইমেইলের মাধ্যমে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। একই দাবিতে রোহিঙ্গারা গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিবিরে এক মানববন্ধন কর্মসুচিও পালন করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি মিয়ানমার সামরিক জান্তা বাহিনী যে কোনো মুহূর্তে শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে। ’
এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে চিঠিতে শূন্যরেখার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবি জানানো হয়েছে বলেও যোগ করেন দীল মোহাম্মদ।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে ঘুমধুমে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে তাড়ানোর জন্য নানা পাঁয়তারা করে আসছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এখনো হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার রোহিঙ্গাদের। এমনকি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শূন্যরেখায় মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু ও পাঁচজন আহত হয়েছে।
এদিকে সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টারশেল হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে মিয়ানমারের মর্টারশেলে রোহিঙ্গা যুবক মো. ইকবাল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান দীল মোহাম্মদ।