১০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ

###    মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে(৬৫) অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ২৯ এপ্রিল শনিবার সকালে মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অপহৃতের বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ’র প্লানিং এন্ড মনিটরিং কর্মকর্তা সোহেল রানা এই অভিযোগ করেন। এ সময় তার বাবাকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজও দেখান। তার দাবি এই ফুটেজ এবং অপহরণের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত মোংলা থানায় দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বাবা হত্যার বিচার না পেয়ে তাই সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন। অপহৃত মাহে আলম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আততায়ীর গুলিতে নিহত মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ আব্দুল বাতেনের ছোট ভাই ও মোংলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী। সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা অবিযোগ করে বলেন, গত ১০এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তার বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মোংলা থানায় জিডি করা হয়। এরপর ২০এপ্রিলে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরার ১০এপ্রিলের সংরক্ষিত ফুটেজে দেখা যায় তার বাবা মাহে আলমকে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হোসেন বানিশান্তা ট্রলার ঘাটে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ফুটেজের সুত্র ধরে ঘাটের অন্যান্য মাঝি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাহে আলমকে। লিখিত বক্তব্যে সুমন ৩৬২ ও ৩৬৪ ধারায় তার বাবা মাহে আলমকে অপহরণ করার জন্য মোংলা থানায় মামলা গ্রহণের জোর দাবী জানান। সুমন রানা আরও বলেন, গত ১৩এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল থেকে পুলিশ অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশটি তার বাবার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটির পরনে প্যান্ট শার্ট তার বাবার অপহরণের প্রাক্কালে পরিহিত প্যান্ট শার্টের সাথে মিল রয়েছে। আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এসময় বাবার অপহরণের বিচার চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের তিন ভাই জসিম উদ্দিন, ছরোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জামাই মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ নূর আলম শেখসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সিসি টিভির ফুটেজ ও অপহরণের সব রকমের তথ্য উপাত্ত নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, অপহরণের যে প্রমাণ তারা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহনযোগ্য না এবং যে লাশটির কথা বলা হচ্ছে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেষ্টের রিপোর্ট ছাড়া মামলা নেয়া সম্ভব নয়। #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ১০:২৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

###    মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে(৬৫) অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ২৯ এপ্রিল শনিবার সকালে মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অপহৃতের বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ’র প্লানিং এন্ড মনিটরিং কর্মকর্তা সোহেল রানা এই অভিযোগ করেন। এ সময় তার বাবাকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজও দেখান। তার দাবি এই ফুটেজ এবং অপহরণের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত মোংলা থানায় দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বাবা হত্যার বিচার না পেয়ে তাই সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন। অপহৃত মাহে আলম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আততায়ীর গুলিতে নিহত মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ আব্দুল বাতেনের ছোট ভাই ও মোংলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী। সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা অবিযোগ করে বলেন, গত ১০এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তার বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মোংলা থানায় জিডি করা হয়। এরপর ২০এপ্রিলে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরার ১০এপ্রিলের সংরক্ষিত ফুটেজে দেখা যায় তার বাবা মাহে আলমকে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হোসেন বানিশান্তা ট্রলার ঘাটে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ফুটেজের সুত্র ধরে ঘাটের অন্যান্য মাঝি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাহে আলমকে। লিখিত বক্তব্যে সুমন ৩৬২ ও ৩৬৪ ধারায় তার বাবা মাহে আলমকে অপহরণ করার জন্য মোংলা থানায় মামলা গ্রহণের জোর দাবী জানান। সুমন রানা আরও বলেন, গত ১৩এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল থেকে পুলিশ অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশটি তার বাবার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটির পরনে প্যান্ট শার্ট তার বাবার অপহরণের প্রাক্কালে পরিহিত প্যান্ট শার্টের সাথে মিল রয়েছে। আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এসময় বাবার অপহরণের বিচার চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের তিন ভাই জসিম উদ্দিন, ছরোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জামাই মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ নূর আলম শেখসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সিসি টিভির ফুটেজ ও অপহরণের সব রকমের তথ্য উপাত্ত নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, অপহরণের যে প্রমাণ তারা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহনযোগ্য না এবং যে লাশটির কথা বলা হচ্ছে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেষ্টের রিপোর্ট ছাড়া মামলা নেয়া সম্ভব নয়। #