নিজস্ব প্রতিবেদক ।। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও শিবির একপ্রকার অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে ছাত্রলীগ। আর এক্ষেত্রে পুরো কৃতিত্বের দাবিদার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছাত্রলীগ নেতা শিফাত ও রুম্মান। মূলত শিফাত ও রুম্মানের নেতৃত্ব গুন, রাজপথ ও কলেজ ক্যাম্পাসে কঠোর ভূমিকার ফলেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদল-শিবির উৎখাত হয়েছে। এরফলে ক্যাম্পাসে নেই কোন হানাহানি, মারামারি, নেই সিট দখল এবং নেই কোন অপ্রীতিকর ঘটনা।
ছাত্রলীগ নেতা সিফাত জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও শিবির কর্মীরা স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রম করে আসছিল। এছাড়া বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার সাথেও জড়িত ছিল তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একনিষ্ঠ ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল এসব বিষয়ে জানতে পেরে আমাকে ও রুম্মানকে অবহিত করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কঠোর ভূমিকায় তারা ক্যাম্পাস থেকে উৎখাত হয়ে গেছে। তাদের কোন কার্যক্রমই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলমান নেই। তাদেরকে প্রতিহত করতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
সিফাত আরো জানান, আমি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজপথের কর্মী। বরিশালের যুবরাজনীতির অহংকার, বরিশালের মেয়র ও মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র একনিষ্ঠ কর্মি আমি। এছাড়াও সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে চলার চেষ্টা করি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর ছাত্রলীগ নেতা রুম্মান জানান, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আমরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা একাট্টা রয়েছি। ক্যাম্পাসে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সর্বদা তৎপর রয়েছি। এক্ষেত্রে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মি সোহেল বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। জাতির জনকের স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে থেকে স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রম করছে জামাত শিবির ও ছাত্রদল। বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধী ছাত্রশিবির জঙ্গিবাদ ছাত্রদলের কোনো ঠাই নাই। আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে শিফাত ভাইয়ের নেতৃত্বে একট্টা আছি।