০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় আচরণবিধি মানছেন না কাউন্সিলর প্রার্থীরা, রিটার্নিং অফিসারের ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস

###    খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি মানছেন না অধিকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থীরা।আচরণবিধিতে প্রতিক বরাদ্ধের আগে পোষ্টার, লিফলেট বিতরন ও উন্নয়ণ মূলক কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না। নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ড এলাকায় ঘুরে প্রার্থীদের লিফলেট বিলি, নির্বাচনী রঙীন পোষ্টার ও প্যানাও দেখা গেছে। এমনকি বেশ কয়েকজন বর্তমান কাউন্সিলর তার এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগ ২৬মে কেসিসি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্ধ দেয়ার আগেই এভাবে প্রচারপত্র বিলি এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা হলে তা সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। যা আচরনবিধির সুষ্পষ্ট লংঘন। তারা এসব প্রার্থীদের বিুরদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানিয়েছেন। তবে রিটার্নিং অফিসার বলছেন, প্রতিক বরাদ্ধের আগেই প্রচারপত্র বিলিসহ প্রচারনা এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা নিষেধ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রমান পাওয়া গেলে প্রার্থীদের বিুরদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

রিটার্নিং অফিসার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২জুন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাচাই শেষে ৪জন মেয়র ও সাধারন কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ২৬মে প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্ধ দেয়া হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতিক বরাদ্ধের আগে কোন প্রার্থী লিফলেট, প্রচারপত্র বিতরন, পোষ্টার ও প্যানা টাঙ্গানোসহ কোন ধরনের প্রচার কাজ চালাতে পারবেন না। এছাড়া সিটি করপোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে।

সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরনবিধি না মানার চিত্র পাওয়া গেছে। নগরীর ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মীর মো: লিটন ও মো: বাদশা হাওলাদার মসজিদসহ এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন। তারা দুজনেই নগরীর ফেরীঘাট মোড়ের মসজিদে, দেবেন বাবু রোডসহ ২০নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ছাপানো লিফলেট বিতরন করেছেন। এছাড়া ওয়ার্ডের একাধিক স্থানে কাউন্সিলর প্রার্থী মীর মো: লিটনের রঙীন পোষ্টার দেয়ালে দেয়ালে দেখা গেছে। অন্যদিকে, সংরক্ষিত-১০নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মাজেদা বেগমের নির্বাচনী পোষ্টার ইকবাল নগর, হাজী মেহের আলী রোড, রায়পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় শোভা পাচ্ছে। এটা শুধুমাত্র এই দুই ওয়ার্ডেই নয়-নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের বেশীরভাগ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রচার-প্রচারনার কাজ করছেন। ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মীর মো: লিটন বলেন, তিনি নতুন করে কোন প্রচারপত্র বিলি করেননি। তবে আগের প্রচারনার কিছু থেকে যেতে পারে। যতদ্রুত সম্ভব সেগুলো সরিয়ে ফেলবেন। অন্য প্রার্থী মো: বাদশা হাওলাদার বলেন, প্রচারপত্র কারা লাগিয়েছে সেটা তিনি জানেন না। খোজ নিয়ে দ্রততার সাথে সেগুলো অপসারন করবেন বলে জানান। প্রচারপত্র লাগানো বিষয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মো: গাউসুল আজম বলেন, প্রতিক বরাদ্ধের আগেই প্রচারপত্র, পোষ্টার লাগানো আচরনবিধি লংঘন হলে অবশ্যই তারা অপরাধ করেছেন। এ বিষয়ে কমিশনরে আইনানুযায়ী ব্যবস্তা নেয়া উচিত।

সরেজমিন আরও দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর যারা এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন তারা এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ উন্নয়ণ কাজ করছেন। যদিও নির্বাচনী আচরনবিধিতে তফশীল ঘোষনা ও মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোন উন্নয়নমূলক কাজ করা থেকে বিরত থাকার কথা বরা রয়েছে। কিন্তু নগরীর খালিশপুর এলাকার ০৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী সুলতান মাহমুদ পিন্টু বিআইডিসি রোডের বর্মাশেল কবরস্থান গলি থেকে নতুন রাস্তার রেল লাইন পর্যন্ত সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছেন। গত ১৯মে থেকে সপ্তাহব্যাপী এ কাজ করেন। তিনি এ কাজের জন্য সিটি করপোরেশনের তিনটি ট্রাক, একটি ডাম্প ট্রাক, একটি ভেকু মেশিন ও রোডারসহ পয়:নিষ্কাশনের নানান উপকরণ ব্যবহার করেছেন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতান মাহমুদ পিন্টু সাংবাদিকদের জানান, বৃষ্টির ফলে রাস্তায় উন্নয়ন কাজের মালামাল থাকায় চরাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি নিজের টাকায় রাস্তা পরিষ্কার করে চরাচলের উপযোগী করেছেন। তবে উন্নয়ণমূলক কাজ ও সিটি করপোরেশনের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিষয়ে তিনি সদুত্তোর দেননি। তবে আচরনবিধি লংঘন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য নয়-জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার মানুষের কল্যানে এ কাজ করেছেন বলেও জানান তিনি।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো: আলাউদ্দিন বলেন, প্রতিক বরাদ্ধের আগেই প্রচারপত্র বিলিসহ প্রচারনা এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা নিষেধ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রমান পাওয়া গেলে প্রার্থীদের বিুরদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে কেসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহী লষ্কর তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ করা নিষেধ নয়। তবে প্রার্থীরা এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। ০৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ‍সুলতান মাহমুদ পিন্টু কোন উন্নয়ণমূলক কাজ করেছেন কিনা সেটি জানা নেই। কেসিসির কোন উন্নয়নমূলক কাজের সাথে ডকুমেন্টারীলি কাউন্সিলর পিন্টুর কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাই তার কোন কাজ করারও সুযোগ নেই। তবে জনপ্রতিনিধি বা এলাকার মানুষ হিসেবে তিনি কাজের তদারকি ও সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কিনা সেটি দেখতে পারেন বলেও তিনি জানান। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনায় আচরণবিধি মানছেন না কাউন্সিলর প্রার্থীরা, রিটার্নিং অফিসারের ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস

প্রকাশিত সময় : ০৭:৫৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

###    খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি মানছেন না অধিকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থীরা।আচরণবিধিতে প্রতিক বরাদ্ধের আগে পোষ্টার, লিফলেট বিতরন ও উন্নয়ণ মূলক কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না। নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ড এলাকায় ঘুরে প্রার্থীদের লিফলেট বিলি, নির্বাচনী রঙীন পোষ্টার ও প্যানাও দেখা গেছে। এমনকি বেশ কয়েকজন বর্তমান কাউন্সিলর তার এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগ ২৬মে কেসিসি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্ধ দেয়ার আগেই এভাবে প্রচারপত্র বিলি এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা হলে তা সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। যা আচরনবিধির সুষ্পষ্ট লংঘন। তারা এসব প্রার্থীদের বিুরদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানিয়েছেন। তবে রিটার্নিং অফিসার বলছেন, প্রতিক বরাদ্ধের আগেই প্রচারপত্র বিলিসহ প্রচারনা এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা নিষেধ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রমান পাওয়া গেলে প্রার্থীদের বিুরদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

রিটার্নিং অফিসার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২জুন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাচাই শেষে ৪জন মেয়র ও সাধারন কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ২৬মে প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্ধ দেয়া হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতিক বরাদ্ধের আগে কোন প্রার্থী লিফলেট, প্রচারপত্র বিতরন, পোষ্টার ও প্যানা টাঙ্গানোসহ কোন ধরনের প্রচার কাজ চালাতে পারবেন না। এছাড়া সিটি করপোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে।

সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরনবিধি না মানার চিত্র পাওয়া গেছে। নগরীর ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মীর মো: লিটন ও মো: বাদশা হাওলাদার মসজিদসহ এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন। তারা দুজনেই নগরীর ফেরীঘাট মোড়ের মসজিদে, দেবেন বাবু রোডসহ ২০নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ছাপানো লিফলেট বিতরন করেছেন। এছাড়া ওয়ার্ডের একাধিক স্থানে কাউন্সিলর প্রার্থী মীর মো: লিটনের রঙীন পোষ্টার দেয়ালে দেয়ালে দেখা গেছে। অন্যদিকে, সংরক্ষিত-১০নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মাজেদা বেগমের নির্বাচনী পোষ্টার ইকবাল নগর, হাজী মেহের আলী রোড, রায়পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় শোভা পাচ্ছে। এটা শুধুমাত্র এই দুই ওয়ার্ডেই নয়-নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের বেশীরভাগ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রচার-প্রচারনার কাজ করছেন। ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মীর মো: লিটন বলেন, তিনি নতুন করে কোন প্রচারপত্র বিলি করেননি। তবে আগের প্রচারনার কিছু থেকে যেতে পারে। যতদ্রুত সম্ভব সেগুলো সরিয়ে ফেলবেন। অন্য প্রার্থী মো: বাদশা হাওলাদার বলেন, প্রচারপত্র কারা লাগিয়েছে সেটা তিনি জানেন না। খোজ নিয়ে দ্রততার সাথে সেগুলো অপসারন করবেন বলে জানান। প্রচারপত্র লাগানো বিষয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মো: গাউসুল আজম বলেন, প্রতিক বরাদ্ধের আগেই প্রচারপত্র, পোষ্টার লাগানো আচরনবিধি লংঘন হলে অবশ্যই তারা অপরাধ করেছেন। এ বিষয়ে কমিশনরে আইনানুযায়ী ব্যবস্তা নেয়া উচিত।

সরেজমিন আরও দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর যারা এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন তারা এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ উন্নয়ণ কাজ করছেন। যদিও নির্বাচনী আচরনবিধিতে তফশীল ঘোষনা ও মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোন উন্নয়নমূলক কাজ করা থেকে বিরত থাকার কথা বরা রয়েছে। কিন্তু নগরীর খালিশপুর এলাকার ০৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী সুলতান মাহমুদ পিন্টু বিআইডিসি রোডের বর্মাশেল কবরস্থান গলি থেকে নতুন রাস্তার রেল লাইন পর্যন্ত সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছেন। গত ১৯মে থেকে সপ্তাহব্যাপী এ কাজ করেন। তিনি এ কাজের জন্য সিটি করপোরেশনের তিনটি ট্রাক, একটি ডাম্প ট্রাক, একটি ভেকু মেশিন ও রোডারসহ পয়:নিষ্কাশনের নানান উপকরণ ব্যবহার করেছেন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতান মাহমুদ পিন্টু সাংবাদিকদের জানান, বৃষ্টির ফলে রাস্তায় উন্নয়ন কাজের মালামাল থাকায় চরাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি নিজের টাকায় রাস্তা পরিষ্কার করে চরাচলের উপযোগী করেছেন। তবে উন্নয়ণমূলক কাজ ও সিটি করপোরেশনের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিষয়ে তিনি সদুত্তোর দেননি। তবে আচরনবিধি লংঘন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য নয়-জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার মানুষের কল্যানে এ কাজ করেছেন বলেও জানান তিনি।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো: আলাউদ্দিন বলেন, প্রতিক বরাদ্ধের আগেই প্রচারপত্র বিলিসহ প্রচারনা এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা নিষেধ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রমান পাওয়া গেলে প্রার্থীদের বিুরদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে কেসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহী লষ্কর তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ করা নিষেধ নয়। তবে প্রার্থীরা এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। ০৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ‍সুলতান মাহমুদ পিন্টু কোন উন্নয়ণমূলক কাজ করেছেন কিনা সেটি জানা নেই। কেসিসির কোন উন্নয়নমূলক কাজের সাথে ডকুমেন্টারীলি কাউন্সিলর পিন্টুর কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাই তার কোন কাজ করারও সুযোগ নেই। তবে জনপ্রতিনিধি বা এলাকার মানুষ হিসেবে তিনি কাজের তদারকি ও সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কিনা সেটি দেখতে পারেন বলেও তিনি জানান। ##