১০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কেসিসি নির্বাচন :

জাপার মেয়র প্রার্থী মধুর প্রচারনায় বাধার অভিযোগ, ভিত্তিহীন বলে সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি খালেকের

###    খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর প্রচার-প্রচারনায় বাধা দিয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। রবিবার বিকেলে নগরীর দৌলতপুরের ০৬নং ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টির নেতার্মীরা লাঙ্গল প্রতিকের প্রচার-প্রচারনার সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের কিছু ‍উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা তাদেরকে বাধা দেয়। সোমবার বিকেলে নগরী ০৯নং ওয়ার্ডের বাস্তহারা এলাকায় লাঙ্গলের প্রচারনা ও গনসংযোগের সময় সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু।  তিনি বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারকেও অবহিত করেছেন বলে জানান। তবে প্রচার-প্রচারনায় বাধা প্রদানের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবী করে মেয়রসহ সকল প্রার্থীর সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে প্রচার-প্রচারনায় সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন সাবেক মেয়র ও আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।

খুলনা সিটি করপোরেশনের আগামী ১২জুনের নির্বাচনের জন্য মেয়র, সাধারন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর র্থীদের প্রচার-প্রচারনায় এখন সরগরম পুরো মহানগরী। নগরীর অলিতে-গলিতে, রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের পোষ্টার, লিফলেট ও গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। বিশেষ করে চার মেয়র প্রার্থীর দিকে সবার নজর রয়েছে। মেয়র র্থীরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি তাদের প্রচার-প্রচারনা ও ঘরে ঘরে গিয়ে কুশল বিনিময় করে ভোটারদের সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করছেন। নির্বাচন কমিশন দেয়া বিধিমালা মেনে সকল প্রার্থী প্রচার মাইকসহ সভা-সমাবেশও করছেন। রবিবার সকালে নগরীর দৌলতপুর থানার ০৬নং ওয়ার্ডের দেয়ানা, দৌলতপুর বাজার, ষ্টেশন বাজার, কুলিবাগান, বিএল কলেজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে থানা জাতীয় পার্টির সাদারন সম্পাদক মো: রাশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের মেয়র পার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর লাঙ্গল প্রতিকের সমর্থনে প্রচারনায় নামে দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় কাউন্সিলর অফিস ও বাজার এলাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মী লাঙ্গল প্রতিকের প্রচারকারীদের বাধা দেয়। এ সময় তারা লাঙ্গলের সমর্থনে প্রচার করতে নিষেধ করে তাদেরকে হুমকি ও গালিগালাজ করে।এ সময় প্রতিবাদ করলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। পরে লাঙ্গর প্রতিকের প্রচারকারীরা সেকান থেকে চলে যায়। এ ঘটনা তাৎক্ষনিকভাবে মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুকে জানায় দলের নেতাকর্মীরা। দৌলতপুর থানা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মো: রাশিদুল ইসলাম জানান, নেতাকর্মীদের নিয়ে লাঙ্গল প্রতিকের সমর্থনে ০৬নং ওয়ার্ডে প্রচারনার সময় স্তানীয় আওয়ামীলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকিসহ বাধা দেয়। বাধা দেয়ার কারন জানতে চাইলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে হাঙ্গামা এড়াতে সেখানে থেকে প্রচারনা বন্ধ করে তারা চলে যায়। এ ঘটনা মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুকে জানালে তিনি বাধা দেয়ার প্রতিবাদ করে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদেরকে অবহিত করেন। তিনি(মধু) এ ঘটনার নিন্দা জানান। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু বলেন,  অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য এটি খুবই দু:খজনক ঘটনা। তিনি প্রচারনার কাজে বাধা দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাবী জানান। তিনি আরও বলেন, সোমবার নগরীর একটি হোটেলে মেয়র প্রার্থীদের মুখোমুখি অনুষ্টানে প্রচারনায় বাধা দেয়ার বিষয় ‍তুলে ধরে প্রতিকার দাবী করেছেন। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য  নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা গ্রহনেরও আহবান জানান।

এদিকে, অন্য দুই মেয়র প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের মো: আ: আউয়াল ও জাকের পার্টির মো: সাব্বির হোসেন তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় কোন ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি হয়নি বলে জানিয়েছেন। তাদের নেতাকর্মীরা কমিশনের বিধি মেনেই প্রচারনা চালাতে পারছেন বলে জানান।

তবে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক প্রচার-প্রচারনায় বাধা দেয়ার বিষয় অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী বিধি মেনে সাবই প্রচার-প্রচারনা চালাবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেখানে কাউকেই বাধা দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ ধরনের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক প্রার্থী তাদের সুবিধা মত এবং সময় মত নিজেদের মত করেই প্রচারনা চালাবেন সেখানে কোন বাধা নেই। আমি সবাইকে আশ্বাস দিতে চাই , যে কোন প্রার্থী তাদের প্রচারনায় সহযোগীতার প্রয়োজন হলে আমি তাদেরকে সম্পূর্ণ সহযোগীতা দিবো। নির্বাচনের প্রচারের কাজে কেউ বাধা দিলে বা বাদা সৃষ্টি করলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানান তিনি।

আগামী ১২জুন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ০৫জন মেয়র, ১৩৬জন সাধারন কাউন্সিলর ও ৩৯জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারে কেসিসি নির্বাচনে মোট ভোটার ৫লাখ ৩৫হাজার ৫২৯জন। এরম্যেধ পুরুষ ভোটার ২লাখ ৬৮হাজার ৮৩৩ ও নারী ভোটার ২লাখ ৬৬হাজার ৬৯৬জন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

কেসিসি নির্বাচন :

জাপার মেয়র প্রার্থী মধুর প্রচারনায় বাধার অভিযোগ, ভিত্তিহীন বলে সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি খালেকের

প্রকাশিত সময় : ০৮:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

###    খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর প্রচার-প্রচারনায় বাধা দিয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। রবিবার বিকেলে নগরীর দৌলতপুরের ০৬নং ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টির নেতার্মীরা লাঙ্গল প্রতিকের প্রচার-প্রচারনার সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের কিছু ‍উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা তাদেরকে বাধা দেয়। সোমবার বিকেলে নগরী ০৯নং ওয়ার্ডের বাস্তহারা এলাকায় লাঙ্গলের প্রচারনা ও গনসংযোগের সময় সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু।  তিনি বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারকেও অবহিত করেছেন বলে জানান। তবে প্রচার-প্রচারনায় বাধা প্রদানের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবী করে মেয়রসহ সকল প্রার্থীর সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে প্রচার-প্রচারনায় সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন সাবেক মেয়র ও আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।

খুলনা সিটি করপোরেশনের আগামী ১২জুনের নির্বাচনের জন্য মেয়র, সাধারন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর র্থীদের প্রচার-প্রচারনায় এখন সরগরম পুরো মহানগরী। নগরীর অলিতে-গলিতে, রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের পোষ্টার, লিফলেট ও গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। বিশেষ করে চার মেয়র প্রার্থীর দিকে সবার নজর রয়েছে। মেয়র র্থীরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি তাদের প্রচার-প্রচারনা ও ঘরে ঘরে গিয়ে কুশল বিনিময় করে ভোটারদের সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করছেন। নির্বাচন কমিশন দেয়া বিধিমালা মেনে সকল প্রার্থী প্রচার মাইকসহ সভা-সমাবেশও করছেন। রবিবার সকালে নগরীর দৌলতপুর থানার ০৬নং ওয়ার্ডের দেয়ানা, দৌলতপুর বাজার, ষ্টেশন বাজার, কুলিবাগান, বিএল কলেজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে থানা জাতীয় পার্টির সাদারন সম্পাদক মো: রাশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের মেয়র পার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর লাঙ্গল প্রতিকের সমর্থনে প্রচারনায় নামে দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় কাউন্সিলর অফিস ও বাজার এলাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মী লাঙ্গল প্রতিকের প্রচারকারীদের বাধা দেয়। এ সময় তারা লাঙ্গলের সমর্থনে প্রচার করতে নিষেধ করে তাদেরকে হুমকি ও গালিগালাজ করে।এ সময় প্রতিবাদ করলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। পরে লাঙ্গর প্রতিকের প্রচারকারীরা সেকান থেকে চলে যায়। এ ঘটনা তাৎক্ষনিকভাবে মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুকে জানায় দলের নেতাকর্মীরা। দৌলতপুর থানা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মো: রাশিদুল ইসলাম জানান, নেতাকর্মীদের নিয়ে লাঙ্গল প্রতিকের সমর্থনে ০৬নং ওয়ার্ডে প্রচারনার সময় স্তানীয় আওয়ামীলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকিসহ বাধা দেয়। বাধা দেয়ার কারন জানতে চাইলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে হাঙ্গামা এড়াতে সেখানে থেকে প্রচারনা বন্ধ করে তারা চলে যায়। এ ঘটনা মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুকে জানালে তিনি বাধা দেয়ার প্রতিবাদ করে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদেরকে অবহিত করেন। তিনি(মধু) এ ঘটনার নিন্দা জানান। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু বলেন,  অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য এটি খুবই দু:খজনক ঘটনা। তিনি প্রচারনার কাজে বাধা দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাবী জানান। তিনি আরও বলেন, সোমবার নগরীর একটি হোটেলে মেয়র প্রার্থীদের মুখোমুখি অনুষ্টানে প্রচারনায় বাধা দেয়ার বিষয় ‍তুলে ধরে প্রতিকার দাবী করেছেন। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য  নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা গ্রহনেরও আহবান জানান।

এদিকে, অন্য দুই মেয়র প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের মো: আ: আউয়াল ও জাকের পার্টির মো: সাব্বির হোসেন তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় কোন ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি হয়নি বলে জানিয়েছেন। তাদের নেতাকর্মীরা কমিশনের বিধি মেনেই প্রচারনা চালাতে পারছেন বলে জানান।

তবে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক প্রচার-প্রচারনায় বাধা দেয়ার বিষয় অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী বিধি মেনে সাবই প্রচার-প্রচারনা চালাবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেখানে কাউকেই বাধা দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ ধরনের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক প্রার্থী তাদের সুবিধা মত এবং সময় মত নিজেদের মত করেই প্রচারনা চালাবেন সেখানে কোন বাধা নেই। আমি সবাইকে আশ্বাস দিতে চাই , যে কোন প্রার্থী তাদের প্রচারনায় সহযোগীতার প্রয়োজন হলে আমি তাদেরকে সম্পূর্ণ সহযোগীতা দিবো। নির্বাচনের প্রচারের কাজে কেউ বাধা দিলে বা বাদা সৃষ্টি করলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানান তিনি।

আগামী ১২জুন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ০৫জন মেয়র, ১৩৬জন সাধারন কাউন্সিলর ও ৩৯জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারে কেসিসি নির্বাচনে মোট ভোটার ৫লাখ ৩৫হাজার ৫২৯জন। এরম্যেধ পুরুষ ভোটার ২লাখ ৬৮হাজার ৮৩৩ ও নারী ভোটার ২লাখ ৬৬হাজার ৬৯৬জন। ##