১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তফসিলে দুই মাস সময় রাখতে চায় ইসি

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০১:১৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১১২ পড়েছেন

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।

নির্বাচনের তফসিলে সাধারণত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটগ্রহণের তারিখ উল্লেখ থাকে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে যদি কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়, তাহলে তিনি চাইলে আপিল করতে পারেন। এই আপিল নিষ্পত্তির জন্যও সাধারণত তিন-চার দিন সময় রাখা হয়।

সূত্র বলছে, এবার মনোনয়নপত্র বাছাই ও আপিলের জন্য তফসিলে বেশি সময় রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, আপিল শুনানির জন্য সাধারণত যে সময় রাখা হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এবার সময় বেশি রাখার চিন্তা করছে ইসি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, তফসিলে সাধারণত যে সময় দেওয়া হয়, এবার তা থেকে বেরিয়ে আসার আলোচনা চলছে। বিশেষ করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সব কর্মকাণ্ড, প্রশিক্ষণ এবং প্রার্থীদের আপিল শুনানিতে তাড়াহুড়া না করে যুক্তিযুক্ত সময় দেওয়া এবং বাস্তবতার নিরিখে কাজ সম্পন্ন করতে যে সময় লাগবে, তা নির্ধারণ করে তফসিল চূড়ান্ত করবে কমিশন।

এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলে ৪৫ দিন সময় রেখে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটগ্রহণের মধ্যে সময় ছিল ৪০ দিন। তার আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৭ দিন পর ভোটের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ ১০ দিন পেছানো হয়।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

গলাচিপায় বিভিন্ন দাবীতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন

তফসিলে দুই মাস সময় রাখতে চায় ইসি

প্রকাশিত সময় : ০১:১৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।

নির্বাচনের তফসিলে সাধারণত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটগ্রহণের তারিখ উল্লেখ থাকে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে যদি কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়, তাহলে তিনি চাইলে আপিল করতে পারেন। এই আপিল নিষ্পত্তির জন্যও সাধারণত তিন-চার দিন সময় রাখা হয়।

সূত্র বলছে, এবার মনোনয়নপত্র বাছাই ও আপিলের জন্য তফসিলে বেশি সময় রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, আপিল শুনানির জন্য সাধারণত যে সময় রাখা হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এবার সময় বেশি রাখার চিন্তা করছে ইসি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, তফসিলে সাধারণত যে সময় দেওয়া হয়, এবার তা থেকে বেরিয়ে আসার আলোচনা চলছে। বিশেষ করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সব কর্মকাণ্ড, প্রশিক্ষণ এবং প্রার্থীদের আপিল শুনানিতে তাড়াহুড়া না করে যুক্তিযুক্ত সময় দেওয়া এবং বাস্তবতার নিরিখে কাজ সম্পন্ন করতে যে সময় লাগবে, তা নির্ধারণ করে তফসিল চূড়ান্ত করবে কমিশন।

এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলে ৪৫ দিন সময় রেখে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটগ্রহণের মধ্যে সময় ছিল ৪০ দিন। তার আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৭ দিন পর ভোটের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ ১০ দিন পেছানো হয়।