১০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কেডিএ’র উদ্যোগে বিশ্ববসতি দিবস পালিত :

৬২বছরেও কেডিএ’র মাষ্টার প্লান বাস্তবায়নে কাযর্কর উদ্যোগ নেয়া হয়নি : সিটি মেয়র

####

খুলনায় স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি-প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে খুলনা উন্নয়ণ কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) আয়োজনে নগরীর বিজয়গাথা কমিউনিটি সেন্টারের বিশ্ব বসতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।এ সময় তিনি বলেন, ১৯৬১সালে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ) স্থাপিত হলেও বিগত ৬২বছরে মহানগরীতে পরিবেশ বান্ধব, টেকসই ও বাসযোগ্য বসতি গড়ে তোলার কোন কাযর্ক্রম করতে পারেনি। এমনকি কেডিএ’র একটি মাষ্টার প্লান থাকলেও সেটিও বাস্তবায়নে কাযর্করী কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ৪৫.৬৫কিলোমিটারের নগরব্যাপীই অপরিকল্পিত, বসবাসের অযোগ্য ও নীতিমালা বর্হিভূতভাবে ভবন ও প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। কেডিএ’র জনবল ও সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও কেডিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এরসাথে জড়িতদের অণৈতিক কাজ ও অনিয়মের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীতে মানুষের সেবাদানের ৩৫টি দপ্তর থাকলেও তাদের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। যে কারনে সাধারন মানুষ চরম হয়রানি ও দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নগরবাসী এখন কেডিএকে নগরীর উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় বলে মনে করছে। পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও বাসবযোগ্য নগরায়নের জন্য কেডিএকেই প্রধান ভুমিকা নিতে হবে। এজন্য কঠোরভাবে কেডিএ’র আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা দরকার। এজন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে তিনি আহবান জানান।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, বিশ্ব বসতি দিবসের উদ্দেশ্য হল পরিকল্পিত নগরায়ন সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, পরিকল্পিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল নগর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান তুষার কান্তি রায়।

কেডিএ’র পরিকল্পনা অফিসার মো: তানভীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাঈদুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, রিহ্যাবের প্রতিনিধি আজগর বিশ্বাস তারা, খুলনা উন্নয়ণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ-জামান, কেডিএর সদস্য অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার, আবুল কালাম আজাদ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু ও শবনম শাবা, খুলনা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জোনাল প্রকৌশলী মো: আসলাম আলী, কেডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী মো: সাবিরুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শামীম জেহাদ, অথরাইজড অফিসার মো: মাসুদুর রহমান, খুলনা মহানগর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী জাহিদ হোসেন, নগর সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এম এ নাসিম, সহসভাপতি ড. সাঈদুর রহমান, নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক গৌতম লষ্কর,যুবলীগ নেতা মাসুম উর রশীদসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপকবৃন্দ, কুয়েটের অধ্যাপকবৃন্দ, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন পযার্য়ের নেতৃবৃন্দ। এরআগে কেডিএ ভবনে সপ্তাহব্যাপী সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। ##

 

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের সোনার মুকুট চোরকে দ্রুত গ্রেপ্তারসহ মুকুট উদ্ধারের দাবী

কেডিএ’র উদ্যোগে বিশ্ববসতি দিবস পালিত :

৬২বছরেও কেডিএ’র মাষ্টার প্লান বাস্তবায়নে কাযর্কর উদ্যোগ নেয়া হয়নি : সিটি মেয়র

প্রকাশিত সময় : ০৮:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

####

খুলনায় স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি-প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে খুলনা উন্নয়ণ কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) আয়োজনে নগরীর বিজয়গাথা কমিউনিটি সেন্টারের বিশ্ব বসতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।এ সময় তিনি বলেন, ১৯৬১সালে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ) স্থাপিত হলেও বিগত ৬২বছরে মহানগরীতে পরিবেশ বান্ধব, টেকসই ও বাসযোগ্য বসতি গড়ে তোলার কোন কাযর্ক্রম করতে পারেনি। এমনকি কেডিএ’র একটি মাষ্টার প্লান থাকলেও সেটিও বাস্তবায়নে কাযর্করী কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ৪৫.৬৫কিলোমিটারের নগরব্যাপীই অপরিকল্পিত, বসবাসের অযোগ্য ও নীতিমালা বর্হিভূতভাবে ভবন ও প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। কেডিএ’র জনবল ও সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও কেডিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এরসাথে জড়িতদের অণৈতিক কাজ ও অনিয়মের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীতে মানুষের সেবাদানের ৩৫টি দপ্তর থাকলেও তাদের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। যে কারনে সাধারন মানুষ চরম হয়রানি ও দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নগরবাসী এখন কেডিএকে নগরীর উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় বলে মনে করছে। পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও বাসবযোগ্য নগরায়নের জন্য কেডিএকেই প্রধান ভুমিকা নিতে হবে। এজন্য কঠোরভাবে কেডিএ’র আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা দরকার। এজন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে তিনি আহবান জানান।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, বিশ্ব বসতি দিবসের উদ্দেশ্য হল পরিকল্পিত নগরায়ন সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, পরিকল্পিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল নগর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান তুষার কান্তি রায়।

কেডিএ’র পরিকল্পনা অফিসার মো: তানভীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাঈদুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, রিহ্যাবের প্রতিনিধি আজগর বিশ্বাস তারা, খুলনা উন্নয়ণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ-জামান, কেডিএর সদস্য অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার, আবুল কালাম আজাদ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু ও শবনম শাবা, খুলনা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জোনাল প্রকৌশলী মো: আসলাম আলী, কেডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী মো: সাবিরুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শামীম জেহাদ, অথরাইজড অফিসার মো: মাসুদুর রহমান, খুলনা মহানগর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী জাহিদ হোসেন, নগর সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এম এ নাসিম, সহসভাপতি ড. সাঈদুর রহমান, নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক গৌতম লষ্কর,যুবলীগ নেতা মাসুম উর রশীদসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপকবৃন্দ, কুয়েটের অধ্যাপকবৃন্দ, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন পযার্য়ের নেতৃবৃন্দ। এরআগে কেডিএ ভবনে সপ্তাহব্যাপী সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। ##