####
রামপালে বিনা পরোয়ানায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোল্লা তারিকুল ইসলাম শোভন কে আটক করেছে পু্লিশ এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও শোভনসহ সকল নেতৃবৃন্দের নিঃশ্বর্ত মুক্তির দাবী করে বিবৃতি দিয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৬ টায় উপজেলার ফয়লাহাট এলাকা থেকে শোভনকে আটক করে রামপাল থানা পু্লিশ। আটককৃত ছাত্রনেতা শোভন কে পুরাতন একটি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, দুই মাস পরেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হবে। নির্বাচনের লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরী হলে আমাকে বিএনপি থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে এবং উপর মহলের নির্দেশে রামপালের অতি উৎসাহী পু্লিশ বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়ীতে গিয়ে হানা দিচ্ছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর খু্লনায় বিএনপির বিভাগীয় কর্মসূচী পালন করে বাড়ীতে ফিরলে রাত সাড়ে ১০ টায় ফয়লায় বাস থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। ওই সময় আকবর হোসেন আকো ও ছাত্রদল নেতা সাবরাহান হোসেন তানজিদ কে আটক করে পু্লিশ। এরপরে প্রতিদিন রুটিন করে পু্লিশ বিএনপি নেতাদের বাড়ীতে অভিযান চালাচ্ছে। এমনকি বাড়ীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা ডক্টর ফরিদ। এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইন-চার্জ এস, এম আশরাফুল আলম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির কোন নেতার বাড়ীতে পু্লিশ যাচ্ছে না বা কোন হয়রানী করছে না। সুনিদৃষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই কেবলমাত্র আটক বা গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।#