১০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়া-ফুলতলা থেকে গুন্ডা-হোন্ডা বাহিনী মুক্ত করেছি : এমপি নারায়ন চন্দ

####

খুলনা-৬(ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতা নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, পাকিস্থান আমল থেকেই আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিবুর রজমানের আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত। নানান ঘাত-প্রতিঘাতের পরেও সেখান থেকে একবিন্দুও বিচ্যুত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শেকে ধারন করে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কয়েকবার সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে এক সময়ের সন্ত্রাসের জনপদ ডুমুরিয়া-ফুলতলা থেকে নকশাল, সবর্হারা এবং গুন্ডা-হোন্ডা বাহিনীকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি। এখন এলাকার কোথাও কোন সন্ত্রাস, জঙ্গি ও চাদাবাজি নেই। সাধারন মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে ডুমুরিয়া-ফুলতরার কৃষি ও মৎস্য চাষ দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কার্লভাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এবং মন্দির-মসজিদের ব্যাপক উন্নয়ণ হয়েছে। যা আর কখনও হয়নি। প্রধানমন্ত্রী একান্ত বিবেচনায় খুলনা-৫ আসনে বার বার মনোনয়ন পেয়েছেন এবং তিনি বিজয়ী হয়ে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন। কিছু মানুষ এলাকায় গিয়ে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারন এলাকাবাসীকে বিভ্রান্ত করছে। কিন্তু সেগুলো কখনও সফল হবে না। তিনি বলেন, খুলনা-৫ আসনে অনেকেই আগামী সংসদ নিবার্চনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী।গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমি সেটাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু সেটা হতে হবে দলের নিয়মনীতির মধ্যে থেকেই। কিছু কিছু মনোনয়ন প্রত্যাশী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে।  যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আমি ছ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি যেসব রটনা করা হচ্ছে তা সবই মিথ্যা। আমার অপ্রকাশ্য কোন সম্পদ ও টাকা নেই। যদি কেউ এটা প্রমান করতে পারে তবে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। রবিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন,রাজনীতিতে উচ্চাকাঙ্খা সবারই থাকতে পারে। তবে মনোনয়ন দেবেন একমাত্র দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামী নিবার্চনে আমিও মনোনয়ন চাই দলের। কিন্তু দলের সভানেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন আমি তারপক্ষেই কাজ করবো। আমি মনে করি গত ২০বছরে শিক্ষক হিসেবে মানুষের সাথে মযার্দা বজয় রেখে চলেছি। কেউ কোন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয় কতা বলতে পারেনি। অনেকেই নাম ব্যবহার করে বা ভিন্নভাবে চাকুরী ও কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতারনা করতে চেয়েছে। আমার নলেজে আসার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিয়েছি। এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ও এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করেছি তার সুফল আমি পাবো। তাই এই উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে আগামীতেও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকেই বিজয়ী করতে এলাকার মানুষ বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, গত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে আমাকে অভিযুক্ত করছেন। যা মোটেই সত্য নয়। মনোনয়ন দেয় ইউনিয়ন কমিটি তারপর সেটা উপজেলা জেলা কমিটি হয়ে কেন্দ্রে যায়। সেখান থেকে অনেকেই ভিন্নভাবে কৌশল করে মনোনয়ন নিয়ে এলেও এলাকার মানুষ তাকে গ্রহন করেনি। সেকারনে অনেক জায়গায় নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি। এটা শুধুমাত্র সংসদ সদস্য বা সভাপতির দোষ হতে পারে না। এটা আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা। সেটা থেকে শিক্সা নিয়ে ভবিষ্যতে আমরা সঠিক প্রার্থী বাছাই করে এগিয়ে যাবো বলেও তিনি জানান। তিনি সাংবাদিকদের সাথে দুরত্ব থাকার বিসয়ে স্বীকার করে আগামীতে এটাকে কমিয়ে এনে সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলামের সবাপতিত্বে ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজার পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান ও এস এম জাহিদ হোসেন, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী, ক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুবু আলম সোহাগ, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, কোষাধ্যক্ষ এস এম কামাল হোসেন, ক্লাব সদস্য শেখ দিদারুল আলম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, ক্লাব সদস্য বিমল সাহা, দিলীপ কুমার বর্মন প্রমুখ।  মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক সুনীল কুমার দাস, নির্বাহী সদস্য সোহরাব হোসেন ও শেখ মো: সেলিম, ক্লাব সদস্য মোঃ হুমায়ুন কবীর, শেখ আল এহসান, আলমগীর হান্নান, ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, কাজী শামীম আহমেদ, মো: আমিরুল ইসলাম, শেখ কামরুল আহসান, বাপ্পী খান, দেবব্রত রায়, হারুন-অর-রশীদ, গাজী মনিরুজ্জামান, শেখ আব্দুল হামিদ, মোঃ মাহফুজুল আলম (সুমন), ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য মোঃ বেল্লাল হোসেন সজল, তিতাস চক্রবর্তী, আল মাহমুদ প্রিন্স, হাসান আল মামুন, রাজু সাহা বিপ্লব, মোঃ সোহেল রানা, খান মোহাম্মদ আজরফ হোসেন (মামুন খান), মিলন হোসেন, তুফান গাইন, মোঃ আবু সাঈদ, পলাশ চন্দ্র ঢালী, মোঃ আতিয়ার রহমান তরফদারসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

ডুমুরিয়া-ফুলতলা থেকে গুন্ডা-হোন্ডা বাহিনী মুক্ত করেছি : এমপি নারায়ন চন্দ

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

####

খুলনা-৬(ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতা নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, পাকিস্থান আমল থেকেই আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিবুর রজমানের আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত। নানান ঘাত-প্রতিঘাতের পরেও সেখান থেকে একবিন্দুও বিচ্যুত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শেকে ধারন করে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কয়েকবার সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে এক সময়ের সন্ত্রাসের জনপদ ডুমুরিয়া-ফুলতলা থেকে নকশাল, সবর্হারা এবং গুন্ডা-হোন্ডা বাহিনীকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি। এখন এলাকার কোথাও কোন সন্ত্রাস, জঙ্গি ও চাদাবাজি নেই। সাধারন মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে ডুমুরিয়া-ফুলতরার কৃষি ও মৎস্য চাষ দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কার্লভাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এবং মন্দির-মসজিদের ব্যাপক উন্নয়ণ হয়েছে। যা আর কখনও হয়নি। প্রধানমন্ত্রী একান্ত বিবেচনায় খুলনা-৫ আসনে বার বার মনোনয়ন পেয়েছেন এবং তিনি বিজয়ী হয়ে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন। কিছু মানুষ এলাকায় গিয়ে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারন এলাকাবাসীকে বিভ্রান্ত করছে। কিন্তু সেগুলো কখনও সফল হবে না। তিনি বলেন, খুলনা-৫ আসনে অনেকেই আগামী সংসদ নিবার্চনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী।গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমি সেটাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু সেটা হতে হবে দলের নিয়মনীতির মধ্যে থেকেই। কিছু কিছু মনোনয়ন প্রত্যাশী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে।  যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আমি ছ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি যেসব রটনা করা হচ্ছে তা সবই মিথ্যা। আমার অপ্রকাশ্য কোন সম্পদ ও টাকা নেই। যদি কেউ এটা প্রমান করতে পারে তবে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। রবিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন,রাজনীতিতে উচ্চাকাঙ্খা সবারই থাকতে পারে। তবে মনোনয়ন দেবেন একমাত্র দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামী নিবার্চনে আমিও মনোনয়ন চাই দলের। কিন্তু দলের সভানেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন আমি তারপক্ষেই কাজ করবো। আমি মনে করি গত ২০বছরে শিক্ষক হিসেবে মানুষের সাথে মযার্দা বজয় রেখে চলেছি। কেউ কোন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয় কতা বলতে পারেনি। অনেকেই নাম ব্যবহার করে বা ভিন্নভাবে চাকুরী ও কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতারনা করতে চেয়েছে। আমার নলেজে আসার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিয়েছি। এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ও এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করেছি তার সুফল আমি পাবো। তাই এই উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে আগামীতেও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকেই বিজয়ী করতে এলাকার মানুষ বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, গত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে আমাকে অভিযুক্ত করছেন। যা মোটেই সত্য নয়। মনোনয়ন দেয় ইউনিয়ন কমিটি তারপর সেটা উপজেলা জেলা কমিটি হয়ে কেন্দ্রে যায়। সেখান থেকে অনেকেই ভিন্নভাবে কৌশল করে মনোনয়ন নিয়ে এলেও এলাকার মানুষ তাকে গ্রহন করেনি। সেকারনে অনেক জায়গায় নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি। এটা শুধুমাত্র সংসদ সদস্য বা সভাপতির দোষ হতে পারে না। এটা আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা। সেটা থেকে শিক্সা নিয়ে ভবিষ্যতে আমরা সঠিক প্রার্থী বাছাই করে এগিয়ে যাবো বলেও তিনি জানান। তিনি সাংবাদিকদের সাথে দুরত্ব থাকার বিসয়ে স্বীকার করে আগামীতে এটাকে কমিয়ে এনে সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলামের সবাপতিত্বে ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজার পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান ও এস এম জাহিদ হোসেন, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী, ক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুবু আলম সোহাগ, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, কোষাধ্যক্ষ এস এম কামাল হোসেন, ক্লাব সদস্য শেখ দিদারুল আলম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, ক্লাব সদস্য বিমল সাহা, দিলীপ কুমার বর্মন প্রমুখ।  মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক সুনীল কুমার দাস, নির্বাহী সদস্য সোহরাব হোসেন ও শেখ মো: সেলিম, ক্লাব সদস্য মোঃ হুমায়ুন কবীর, শেখ আল এহসান, আলমগীর হান্নান, ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, কাজী শামীম আহমেদ, মো: আমিরুল ইসলাম, শেখ কামরুল আহসান, বাপ্পী খান, দেবব্রত রায়, হারুন-অর-রশীদ, গাজী মনিরুজ্জামান, শেখ আব্দুল হামিদ, মোঃ মাহফুজুল আলম (সুমন), ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য মোঃ বেল্লাল হোসেন সজল, তিতাস চক্রবর্তী, আল মাহমুদ প্রিন্স, হাসান আল মামুন, রাজু সাহা বিপ্লব, মোঃ সোহেল রানা, খান মোহাম্মদ আজরফ হোসেন (মামুন খান), মিলন হোসেন, তুফান গাইন, মোঃ আবু সাঈদ, পলাশ চন্দ্র ঢালী, মোঃ আতিয়ার রহমান তরফদারসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। ##