১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশে ৩টি ভারতীয় প্রকল্পের উদ্বোধন :  

অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উন্নত দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিই যৌথ সমৃদ্ধির চাবিকাঠি

####

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ০১ নভেম্বর ভারতের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। প্রকল্পগুলি হলো-আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেলসংযোগ, খুলনা–মোংলা বন্দর রেললাইন ও রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করে দুই প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ সময় তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উন্নত দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিই যৌথ সমৃদ্ধির চাবিকাঠি বলে মন্তব্য করেন।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পগুলির মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার অধীনে বাংলাদেশকে প্রদত্ত ভারতীয় ৩৯২.৫২ কোটি রুপি ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনকে ভারতের ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের সাথে যুক্ত করে। বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়াল গেজ ও ত্রিপুরায় ৫.৪৬ কিলোমিটার রেললাইনসহ এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এই রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ষষ্ঠ আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ এবং ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম রেল সংযোগ। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে উত্তর-পূর্ব ভারতের কানেক্টিভিটিকে সহজতর করবে।

এছাড়া খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিট-এর অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির নির্মাণে অন্তর্ভুক্ত ছিল পাইলিং-এর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং খুলনা অঞ্চলের ব-দ্বীপ মাটির বিশেষ প্রকৃতিকে মোকাবিলা করা। এই রেল সংযোগ বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর, মোংলা বন্দর, প্রথমবারের মতো রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে। এই রেল সংযোগের মাধ্যমে মোংলা বন্দরই বাংলাদেশের একমাত্র বন্দর যা ব্রডগেজ নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো।

অন্যদিকে, ভারতীয় কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের আওতায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হলো বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত একটি ১৩২০ মেগাওয়াট(২X৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ারপ্ল্যান্ট(এমএসটিপিপি)। প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের(বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০:৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। কম নির্গমনের জন্য প্রকল্পটিতে অত্যাধুনিক আলট্রা সুপার-ক্রিটিকাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং বায়ু ও পানিদূষণসহ পরিবেশগত প্রভাবসমূহ প্রশমিত করার জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ উন্মোচন করেন। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করবে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

বাংলাদেশে ৩টি ভারতীয় প্রকল্পের উদ্বোধন :  

অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উন্নত দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিই যৌথ সমৃদ্ধির চাবিকাঠি

প্রকাশিত সময় : ০৭:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

####

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ০১ নভেম্বর ভারতের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। প্রকল্পগুলি হলো-আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেলসংযোগ, খুলনা–মোংলা বন্দর রেললাইন ও রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করে দুই প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ সময় তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উন্নত দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিই যৌথ সমৃদ্ধির চাবিকাঠি বলে মন্তব্য করেন।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পগুলির মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার অধীনে বাংলাদেশকে প্রদত্ত ভারতীয় ৩৯২.৫২ কোটি রুপি ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনকে ভারতের ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের সাথে যুক্ত করে। বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়াল গেজ ও ত্রিপুরায় ৫.৪৬ কিলোমিটার রেললাইনসহ এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এই রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ষষ্ঠ আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ এবং ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম রেল সংযোগ। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে উত্তর-পূর্ব ভারতের কানেক্টিভিটিকে সহজতর করবে।

এছাড়া খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিট-এর অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির নির্মাণে অন্তর্ভুক্ত ছিল পাইলিং-এর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং খুলনা অঞ্চলের ব-দ্বীপ মাটির বিশেষ প্রকৃতিকে মোকাবিলা করা। এই রেল সংযোগ বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর, মোংলা বন্দর, প্রথমবারের মতো রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে। এই রেল সংযোগের মাধ্যমে মোংলা বন্দরই বাংলাদেশের একমাত্র বন্দর যা ব্রডগেজ নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো।

অন্যদিকে, ভারতীয় কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের আওতায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হলো বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত একটি ১৩২০ মেগাওয়াট(২X৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ারপ্ল্যান্ট(এমএসটিপিপি)। প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের(বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০:৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। কম নির্গমনের জন্য প্রকল্পটিতে অত্যাধুনিক আলট্রা সুপার-ক্রিটিকাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং বায়ু ও পানিদূষণসহ পরিবেশগত প্রভাবসমূহ প্রশমিত করার জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ উন্মোচন করেন। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করবে। ##