০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিরব ভূমিকায় নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অফিস। 

বেড়জাল ও কারেন্টজাল  দিয়ে অবৈধ মৎস্য  নিধন 

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০২:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৩৭ পড়েছেন
মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবাধে চলছে চাপিলা ইলিশ ও বেড়জালের মহাউৎসবে মৎস্য নিধন। নদী শাসনে নৌ-পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য অফিস দায়িত্বে থাকলেও নেই কোন চোখে পরার মতো অভিযান। জানা যায় মা ইলিশ প্রজনন সময় কাল শেষ হবার পর ১২ মাস নদীতে অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে মৎস্য স্বীকার সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।  কিন্তুু দশমিনায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অহরহ দেখা যায় কারেন্টজালের ব্যবহার। নদীতে প্রচুর পরিমানে ইলিশের পোনা ধরছে অসাধু জেলেরা। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির যোগসাজশে অসাধু জেলেরা টনকে টন চাপিলা ইলিশ ধ্বংস করছে এমন অভিযোগ নৌপুলিশ দশমিনা ফাঁড়ির বিরুদ্ধে। এতে করে দেশের আগামীর ইলিশের প্রজন্ম ধ্বংস করা হচ্ছে। দশমিনা সদর বাজার, আরোজবেগী, আউলিয়াপুর, গছানী সহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে চাপিলা ইলিশ ও জাটকা । দশমিনা উপজেলার গোলখালী, বাঁশবাড়িয়া, আউলিপুর, চরঘুনি,  ঢনঢনিয়া, কেদিরহাট সহ বিভিন্ন মৎস্যগদিতে চাপিলা ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। নদীনির্ভর জেলেদের মাঝে আছে নানা প্রশ্ন। কেউ বলছে নৌ-পুলিশের যোগসাজশে অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে ইলিশের আগামীর প্রজন্ম ধ্বংশ করছে অসাধু জেলেরা এবং এর নেপথ্যে কাজ করছে মৎস্য ব্যবসয়ীগদির মালিক। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সঠিক তদারকি না থাকায় এবং নৌ-পুলিশের নিরাবতাই এ সকল অসাধু জেলেরা কারেন্টজাল দিয়ে চাপিলা ইলিশ ধ্বংশ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মৎস্য জেলেরা বলেন তেঁতুলিয়া নদীতে অবাধে চাপিলা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ ধ্বংশ করা হচ্ছে এতে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অফিসের লোক জন জড়িত তাদের যোগসাজশে  জেলরা মাছ স্বীকার করছে। তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর বিভিন্ন চরে বেড়জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের মাছের বংশ ধ্বংস করা হচ্ছে। নদীতে বেড়জাল বিকেলে ফেলে পরের দিন ভোর ভোর সময়ে তুলি। নৌ-পুলিশকে খবর দিলে তারা সকাল ১০ টা কিংবা ১১ টায় যায়। যাদের সাথে কথা থাকে তাদের জ্বাল এরিয়ে চলে যায় তারা। দশমিনা নৌঘাট থেকে অভিযানে নৌ-পুলিশ যাওয়ার আগেই খবর পেয়ে যায় জেলেরা। এক সময় তেঁতুলিয়া নদীছিলো ইলিশ সহ নানা প্রকারের মাছে সমৃদ্ধি আজ আর নদীতে বড় মাছ দেখা যায়না। বেড়জাল আর কারেন্টজাল দিয়ে নদীর আগামীর মৎস্য প্রজন্ম ধ্বংসের পথে। চরবোরহান ইউনিয়নের চরবেড়াজাল মালিক সাইফুল বলেন, এ জ্বাল অবৈধ জানি। মহাজনদের থেকে দাদন নেয়া আছে দাদননপরিষদের জন্য এই কাজ করতে হয়। এ চর আমরা টাকা দিয়ে কিনছি। নৌ-পুলিশকে আমরা টাকা দিই  প্রতি মাসে। আমাদের কোন ভয় নাই। দশমিনার গোলখালী এলাকার ইব্রাহীম নামের এক ব্যক্তি গোলখালী এলাকায় প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল বিক্রি করছে। চরবেড় জেলে এসকান্দার বলেন সকলে বেড়জাল দিয়ে মাছ ধরছে আমরাও ধরি। নৌ-পুলিশের একটি অত্যাধুনিক নৌজান,  একটি ট্রলার এবং মৎস্য অফিসের ২ টি ট্রলার থাকার পরও এ সকল অসাধু জেলেরা তাদের অসাধুব্যবসা রমরমা চালিয়ে যাচ্ছে। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অত্যাধুনিক নৌযান থাকলেও তার ব্যবহার নেই। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  (এসআই) আল মামুন শনিবার সকালে  বলেন, নদীতে দৈনিক অভিযান পরিচালনা করি।  তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর বিভিন্ন চরবেড় দিয়ে চলছে অবৈধ মৎস্য স্বীকার। চরবেড় জ্বাল দিয়ে লক্ষ লক্ষ মাছের রেনু ধ্বংসের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন আমার জানা নেই আপনি উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম কে একাধিকবার মোবাইল করলে রিসিভ করেনি।
Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

নিরব ভূমিকায় নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অফিস। 

বেড়জাল ও কারেন্টজাল  দিয়ে অবৈধ মৎস্য  নিধন 

প্রকাশিত সময় : ০২:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবাধে চলছে চাপিলা ইলিশ ও বেড়জালের মহাউৎসবে মৎস্য নিধন। নদী শাসনে নৌ-পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য অফিস দায়িত্বে থাকলেও নেই কোন চোখে পরার মতো অভিযান। জানা যায় মা ইলিশ প্রজনন সময় কাল শেষ হবার পর ১২ মাস নদীতে অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে মৎস্য স্বীকার সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।  কিন্তুু দশমিনায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অহরহ দেখা যায় কারেন্টজালের ব্যবহার। নদীতে প্রচুর পরিমানে ইলিশের পোনা ধরছে অসাধু জেলেরা। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির যোগসাজশে অসাধু জেলেরা টনকে টন চাপিলা ইলিশ ধ্বংস করছে এমন অভিযোগ নৌপুলিশ দশমিনা ফাঁড়ির বিরুদ্ধে। এতে করে দেশের আগামীর ইলিশের প্রজন্ম ধ্বংস করা হচ্ছে। দশমিনা সদর বাজার, আরোজবেগী, আউলিয়াপুর, গছানী সহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে চাপিলা ইলিশ ও জাটকা । দশমিনা উপজেলার গোলখালী, বাঁশবাড়িয়া, আউলিপুর, চরঘুনি,  ঢনঢনিয়া, কেদিরহাট সহ বিভিন্ন মৎস্যগদিতে চাপিলা ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। নদীনির্ভর জেলেদের মাঝে আছে নানা প্রশ্ন। কেউ বলছে নৌ-পুলিশের যোগসাজশে অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে ইলিশের আগামীর প্রজন্ম ধ্বংশ করছে অসাধু জেলেরা এবং এর নেপথ্যে কাজ করছে মৎস্য ব্যবসয়ীগদির মালিক। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সঠিক তদারকি না থাকায় এবং নৌ-পুলিশের নিরাবতাই এ সকল অসাধু জেলেরা কারেন্টজাল দিয়ে চাপিলা ইলিশ ধ্বংশ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মৎস্য জেলেরা বলেন তেঁতুলিয়া নদীতে অবাধে চাপিলা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ ধ্বংশ করা হচ্ছে এতে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অফিসের লোক জন জড়িত তাদের যোগসাজশে  জেলরা মাছ স্বীকার করছে। তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর বিভিন্ন চরে বেড়জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের মাছের বংশ ধ্বংস করা হচ্ছে। নদীতে বেড়জাল বিকেলে ফেলে পরের দিন ভোর ভোর সময়ে তুলি। নৌ-পুলিশকে খবর দিলে তারা সকাল ১০ টা কিংবা ১১ টায় যায়। যাদের সাথে কথা থাকে তাদের জ্বাল এরিয়ে চলে যায় তারা। দশমিনা নৌঘাট থেকে অভিযানে নৌ-পুলিশ যাওয়ার আগেই খবর পেয়ে যায় জেলেরা। এক সময় তেঁতুলিয়া নদীছিলো ইলিশ সহ নানা প্রকারের মাছে সমৃদ্ধি আজ আর নদীতে বড় মাছ দেখা যায়না। বেড়জাল আর কারেন্টজাল দিয়ে নদীর আগামীর মৎস্য প্রজন্ম ধ্বংসের পথে। চরবোরহান ইউনিয়নের চরবেড়াজাল মালিক সাইফুল বলেন, এ জ্বাল অবৈধ জানি। মহাজনদের থেকে দাদন নেয়া আছে দাদননপরিষদের জন্য এই কাজ করতে হয়। এ চর আমরা টাকা দিয়ে কিনছি। নৌ-পুলিশকে আমরা টাকা দিই  প্রতি মাসে। আমাদের কোন ভয় নাই। দশমিনার গোলখালী এলাকার ইব্রাহীম নামের এক ব্যক্তি গোলখালী এলাকায় প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল বিক্রি করছে। চরবেড় জেলে এসকান্দার বলেন সকলে বেড়জাল দিয়ে মাছ ধরছে আমরাও ধরি। নৌ-পুলিশের একটি অত্যাধুনিক নৌজান,  একটি ট্রলার এবং মৎস্য অফিসের ২ টি ট্রলার থাকার পরও এ সকল অসাধু জেলেরা তাদের অসাধুব্যবসা রমরমা চালিয়ে যাচ্ছে। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অত্যাধুনিক নৌযান থাকলেও তার ব্যবহার নেই। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  (এসআই) আল মামুন শনিবার সকালে  বলেন, নদীতে দৈনিক অভিযান পরিচালনা করি।  তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর বিভিন্ন চরবেড় দিয়ে চলছে অবৈধ মৎস্য স্বীকার। চরবেড় জ্বাল দিয়ে লক্ষ লক্ষ মাছের রেনু ধ্বংসের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন আমার জানা নেই আপনি উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম কে একাধিকবার মোবাইল করলে রিসিভ করেনি।