১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাসার দুর্নীতিকে আড়াল করতে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি সুপারের

####

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড়া আঃ গনিমহিলা দাখিল মাদ্রাসায় সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতির অবৈধ যোগসাজসে এবতেদায়ী প্রধানকে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবি পদে পদেন্নিতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পদায়নকারি আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাই এবতেদায়ী প্রধান হিসাবে ১৯৮৮ সালের ০১ফেব্রুয়ারী যোগদান করেন(ইনডেক্স নং-০৭৬৭১৬)। এবং ২০০৬ সনে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবী পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, একই মাদ্রাসায় দাখিল শাখার জুনিয়ার মৌলবী পদে হাসিনা বেগম ছিলেন(ইনডেক্স নং-৩৫১৬৩৫) এবং আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাই এবতেদায়ী প্রধান ছিলেন। সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতি মনগড়া রেজুলেশন করে আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাই কে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবী করায় হাসিনা বেগম পটুয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতে ২০০৫ সনে মামলা দায়ের করেন(নং-৬৭/২০০৫)। ওই মামলা দোতরফা খারিজ করে যার যার অবস্থানে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। আদলতের আদেশ অমান্য করে সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতি লোভের ও লাভের বশবর্তী হয়ে আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাইকে পদোন্নতি দেয়। এতে করে মাদ্রাসার সকল নীতিমালা লংঘন করে দীর্ঘদিন সরকারের তহবিল থেকে অবৈধ ভাবে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবীপদে উচ্চ বেতন ও ২০২২ সালে টাইমস্কেল গ্রহন করেন। যাহা সম্পূর্ন বেসরকারি নীতিমালার লংঘন।

আরো জানা যায়, ওই মাদ্রাসায় এবতেদায়ী শাখায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ঠিক থাকলেও ১ম-৫ম শ্রেনী পর্যন্ত কাম্য সংখ্যক কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই। প্রতিদিন কাগজে কলমে প্রতিটি ক্লাশের হাজিরা কাগজে কলমে ঠিক রেখে মাসকে মাস বছর সরকারের বেতন ভোগ করে আসছে। দুই বছর মেয়াদি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ১৪৫নং চর বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তারিকুল ইসলাম সাহিদকে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীর অগোচরে- গোপনে সভাপতি অনুমোদন করে আনেন সেখানে ওই সভাপতির মেজো ছেলে মাদ্রাসার ২য় শ্রেনীর ছাত্র দেখানো হয় এবং ওই ছেলে  মাদ্রসার পাশে দক্ষিন দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র এবং উপবৃত্তি পায়। ওই সভাপতি বিভিন্ন চাপে সভাপতি থেকে অব্যহতি দিয়ে তার সহধর্মীনি মোসাঃ লাইজু বেগমকে পূনরায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারি বা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে না জানিয়ে গোপনে তথ্য গোপন করে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে সভাপতি করে কমিটি অনুমোধন করে আনেন। তাতে দেখা যায় লাইজু বেগমের মেঝো ছেলে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষরত আছে এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উপবৃত্তি পায়। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই স্বামী ও স্ত্রীকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানিয়েছেন সুপারিন্টেন্ডেট। জ্যেষ্টতার ভিত্তিতে  সুপারিন্টেন্ডেটর অনুপস্থিতে  দায়িত্ব দেয়ার কথা থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২০২১ সালের পরিপত্র অনুসারে তা অমান্য করে সুপারিন্টেন্ডেট এবতেদায়ী শাকা থেকে অবৈধ ভাবে ভুয়া রেজুলেশন এর মাধ্যমে সহকারি মৌলভী শাখায় পদোন্নতি দিয়ে তার মাধ্যমে মাদ্রাসার সহকারি সুপারিন্টেন্ডেট এর দায়িত্ব পালন করিয়ে থাকেন বলে শিক্ষক প্রতিনিধিগন জানান।

ওই মাদ্রসার দাখিল শাখার জুনিয়র মৌলবী মোসাঃ হাসিনা বেগম  বলেন, আমি দাখিল শাখায় সহকারি জুনিয়র মৌলবি পদে কর্মরত আছি সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতি আবৈধ ভাবে আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাই কে ভুয়া রেজুলেশন করে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবি পদোন্নতি দিয়েছে যাহা সম্পূর্ন অবৈধ। আমি আমার যোগ্যতাকে প্রমান করার জন্য মামলা করেছি মামলা আমার পক্ষে রায় হয়েছে তারপরও সুপার ও সভাপতি আমাকে পদোন্নতি না দিয়ে তাকে দিছে। দীর্ঘদিন ভুয়া পদোন্নতির অনুবলে সরকারের টাকা আতœসাৎ করে আসছেন তিনি। কিছু বললে সুপারিন্টেন্ডেট বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে থাকে। আবদুল খায়ের মোহাম্মাদ হাই জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতি সব জানেন। কাগজ পত্র তাদের কাছে আছে। তাদের সাথে কথা বলেন।

মাদ্রসার তৎকালীন সভাপতি খোকন খাঁন বলেন, অনেক পুরান কথা। আপনারা সুপারিন্টেন্ডেট সাহেবের সাথে কথা বলেন। সুপারিন্টেন্ডেট তথ্য দিচ্ছে না বললে তিনি বলেন তথ্য চাইলে তা তো দেবার কথা এতে গোপন করার কি আছে। কেন দেয়নি তা জানি না। পদোন্নতির বিষয় আমার মনে নেই।

মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এবতেদায়ী শাখায় কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই কারন প্রাথমিকে উপবৃত্তি দেয় তাই। তারিকুল ইসলাম সাহিদ একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষক তার মেঝো ছেলে মাদ্রাসায় ও একই সাথে প্রাথমিকে পড়াশুনা করে এবং প্রাথমিক থেকে উপবৃত্তি পায় । তিনি বা তার সহধর্মীনি সভাপতি হতে পারেন কিনা তা জানিনা । সুপারিন্টেন্ডেট আমাদের সাথে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কোন কিছুই জানান না। মাদ্রসা বোর্ড থেকে সভাপতির অনুমোদন এনে তড়িৎ চতুর্থ শ্রেনীর একজনকে নিয়োগও দেন। আবার দেখি সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছে। দিন ৫-৬ যেতে না যেতেই তার সহধর্মীনি মোসাঃ লাইজু বেগমকে সভাপতি হিসাবে সুপারিন্টেন্ডেট পরিচয় করিয়ে দেন। সুপারিন্টেন্ডেট সাহেবকে মাদ্রসার সকল কাজের দায়বর নিতে হবে কারন আমরা নামে শিক্ষক তিনি কোন কিছুই আমাদের জানান না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া জানান, ওই মাদ্রাসার সভাপতি কে কখন হয়, কি ভাবে হয় তা আমার জানা নেই। সুপারিন্টেন্ডেট আমাকে ওই মাদ্রাসার নিয়োগ, ম্যানেজিং কমিটি সম্পার্কে কিছুই জানান নি। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা।  মাদ্রসার সুপারিন্টেন্ডেট কাজী আলতাফ হোসেন শনিবার( ২০ জানুয়ারি)  এবতেদায়ী থেকে দাখিলে সহকারি মৌলবী পদে কোন পরিপত্র অনুবলে আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাইকে পদোন্নতি এবং কিসের ভিত্তিতে তারিকুল ইসলাম সাহিদ ও মোসাঃ লাইজু বেগমকে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে অনুমোধন প্রাপ্তি হলেন এই মর্মের কোন কাগজ দিতে পারবে না বলে সাব জানিয়ে দেয়।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মাদ্রাসার দুর্নীতিকে আড়াল করতে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি সুপারের

প্রকাশিত সময় : ০১:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

####

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড়া আঃ গনিমহিলা দাখিল মাদ্রাসায় সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতির অবৈধ যোগসাজসে এবতেদায়ী প্রধানকে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবি পদে পদেন্নিতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পদায়নকারি আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাই এবতেদায়ী প্রধান হিসাবে ১৯৮৮ সালের ০১ফেব্রুয়ারী যোগদান করেন(ইনডেক্স নং-০৭৬৭১৬)। এবং ২০০৬ সনে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবী পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, একই মাদ্রাসায় দাখিল শাখার জুনিয়ার মৌলবী পদে হাসিনা বেগম ছিলেন(ইনডেক্স নং-৩৫১৬৩৫) এবং আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাই এবতেদায়ী প্রধান ছিলেন। সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতি মনগড়া রেজুলেশন করে আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাই কে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবী করায় হাসিনা বেগম পটুয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতে ২০০৫ সনে মামলা দায়ের করেন(নং-৬৭/২০০৫)। ওই মামলা দোতরফা খারিজ করে যার যার অবস্থানে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। আদলতের আদেশ অমান্য করে সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতি লোভের ও লাভের বশবর্তী হয়ে আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাইকে পদোন্নতি দেয়। এতে করে মাদ্রাসার সকল নীতিমালা লংঘন করে দীর্ঘদিন সরকারের তহবিল থেকে অবৈধ ভাবে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবীপদে উচ্চ বেতন ও ২০২২ সালে টাইমস্কেল গ্রহন করেন। যাহা সম্পূর্ন বেসরকারি নীতিমালার লংঘন।

আরো জানা যায়, ওই মাদ্রাসায় এবতেদায়ী শাখায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ঠিক থাকলেও ১ম-৫ম শ্রেনী পর্যন্ত কাম্য সংখ্যক কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই। প্রতিদিন কাগজে কলমে প্রতিটি ক্লাশের হাজিরা কাগজে কলমে ঠিক রেখে মাসকে মাস বছর সরকারের বেতন ভোগ করে আসছে। দুই বছর মেয়াদি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ১৪৫নং চর বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তারিকুল ইসলাম সাহিদকে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীর অগোচরে- গোপনে সভাপতি অনুমোদন করে আনেন সেখানে ওই সভাপতির মেজো ছেলে মাদ্রাসার ২য় শ্রেনীর ছাত্র দেখানো হয় এবং ওই ছেলে  মাদ্রসার পাশে দক্ষিন দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র এবং উপবৃত্তি পায়। ওই সভাপতি বিভিন্ন চাপে সভাপতি থেকে অব্যহতি দিয়ে তার সহধর্মীনি মোসাঃ লাইজু বেগমকে পূনরায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারি বা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে না জানিয়ে গোপনে তথ্য গোপন করে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে সভাপতি করে কমিটি অনুমোধন করে আনেন। তাতে দেখা যায় লাইজু বেগমের মেঝো ছেলে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষরত আছে এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উপবৃত্তি পায়। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই স্বামী ও স্ত্রীকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানিয়েছেন সুপারিন্টেন্ডেট। জ্যেষ্টতার ভিত্তিতে  সুপারিন্টেন্ডেটর অনুপস্থিতে  দায়িত্ব দেয়ার কথা থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২০২১ সালের পরিপত্র অনুসারে তা অমান্য করে সুপারিন্টেন্ডেট এবতেদায়ী শাকা থেকে অবৈধ ভাবে ভুয়া রেজুলেশন এর মাধ্যমে সহকারি মৌলভী শাখায় পদোন্নতি দিয়ে তার মাধ্যমে মাদ্রাসার সহকারি সুপারিন্টেন্ডেট এর দায়িত্ব পালন করিয়ে থাকেন বলে শিক্ষক প্রতিনিধিগন জানান।

ওই মাদ্রসার দাখিল শাখার জুনিয়র মৌলবী মোসাঃ হাসিনা বেগম  বলেন, আমি দাখিল শাখায় সহকারি জুনিয়র মৌলবি পদে কর্মরত আছি সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতি আবৈধ ভাবে আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাই কে ভুয়া রেজুলেশন করে দাখিল শাখায় সহকারি মৌলবি পদোন্নতি দিয়েছে যাহা সম্পূর্ন অবৈধ। আমি আমার যোগ্যতাকে প্রমান করার জন্য মামলা করেছি মামলা আমার পক্ষে রায় হয়েছে তারপরও সুপার ও সভাপতি আমাকে পদোন্নতি না দিয়ে তাকে দিছে। দীর্ঘদিন ভুয়া পদোন্নতির অনুবলে সরকারের টাকা আতœসাৎ করে আসছেন তিনি। কিছু বললে সুপারিন্টেন্ডেট বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে থাকে। আবদুল খায়ের মোহাম্মাদ হাই জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সুপারিন্টেন্ডেট ও সভাপতি সব জানেন। কাগজ পত্র তাদের কাছে আছে। তাদের সাথে কথা বলেন।

মাদ্রসার তৎকালীন সভাপতি খোকন খাঁন বলেন, অনেক পুরান কথা। আপনারা সুপারিন্টেন্ডেট সাহেবের সাথে কথা বলেন। সুপারিন্টেন্ডেট তথ্য দিচ্ছে না বললে তিনি বলেন তথ্য চাইলে তা তো দেবার কথা এতে গোপন করার কি আছে। কেন দেয়নি তা জানি না। পদোন্নতির বিষয় আমার মনে নেই।

মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এবতেদায়ী শাখায় কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই কারন প্রাথমিকে উপবৃত্তি দেয় তাই। তারিকুল ইসলাম সাহিদ একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষক তার মেঝো ছেলে মাদ্রাসায় ও একই সাথে প্রাথমিকে পড়াশুনা করে এবং প্রাথমিক থেকে উপবৃত্তি পায় । তিনি বা তার সহধর্মীনি সভাপতি হতে পারেন কিনা তা জানিনা । সুপারিন্টেন্ডেট আমাদের সাথে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কোন কিছুই জানান না। মাদ্রসা বোর্ড থেকে সভাপতির অনুমোদন এনে তড়িৎ চতুর্থ শ্রেনীর একজনকে নিয়োগও দেন। আবার দেখি সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছে। দিন ৫-৬ যেতে না যেতেই তার সহধর্মীনি মোসাঃ লাইজু বেগমকে সভাপতি হিসাবে সুপারিন্টেন্ডেট পরিচয় করিয়ে দেন। সুপারিন্টেন্ডেট সাহেবকে মাদ্রসার সকল কাজের দায়বর নিতে হবে কারন আমরা নামে শিক্ষক তিনি কোন কিছুই আমাদের জানান না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া জানান, ওই মাদ্রাসার সভাপতি কে কখন হয়, কি ভাবে হয় তা আমার জানা নেই। সুপারিন্টেন্ডেট আমাকে ওই মাদ্রাসার নিয়োগ, ম্যানেজিং কমিটি সম্পার্কে কিছুই জানান নি। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা।  মাদ্রসার সুপারিন্টেন্ডেট কাজী আলতাফ হোসেন শনিবার( ২০ জানুয়ারি)  এবতেদায়ী থেকে দাখিলে সহকারি মৌলবী পদে কোন পরিপত্র অনুবলে আবদুল খায়ের মোহাম্মদ হাইকে পদোন্নতি এবং কিসের ভিত্তিতে তারিকুল ইসলাম সাহিদ ও মোসাঃ লাইজু বেগমকে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে অনুমোধন প্রাপ্তি হলেন এই মর্মের কোন কাগজ দিতে পারবে না বলে সাব জানিয়ে দেয়।##