০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামপালে বরেণ্য ৩ গুণীজনের স্মরণ সভা ও পুরস্কার বিতরণ

####

রামপালে বরেণ্য চিত্রশিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদুল হক, শ্রদ্ধেয় নূরুল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. জলিলের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রবিবার (২১ জানুয়ারী) সকাল ১০ টা শ্রীফলতলা আমাদের গ্রাম প্রকল্প কার্যালয় মিলনায়তনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে রামপাল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীফলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ঝনঝনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আমাদের গ্রাম প্রকল্পের পরিচালক রেজা সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় গ্রাম ভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের গ্রাম প্রকল্পের স্মৃতি তর্পণ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বরেণ্য তিন গুণিজনের সাফল্যগাথা তুলে ধরে বলেন, তিন গুণিজন স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখে গেছেন। রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলার মত অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম নিয়েও তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্থান করে নিয়েছেন। বরেণ্য চিত্রশিল্পী মাহমুদুল হক তার তুলির আঁচড়ে সমাজের নানান চিত্র তুলে এনে বাঙালী সাংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন, সমাজের নানান অসংগতি তার সৃজনশীল চিত্র কর্মে স্থান করে নিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষকতার সুবাদে শিক্ষার্থীদের মাঝে তার জ্ঞানগর্ব সাংস্কৃতিক তুলে ধরে সমৃদ্ধ করেছেন।  রামপালের অপর কৃতি সন্তান শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নূরুল হক এই এলাকার শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে তথ্যসমৃদ্ধ করতে আজীবন আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। অন্য গুণীজন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং রাজনীতিবিদ শেখ আ. জলিল ছিলেন স্বমহিমায় ভাস্বর। তিনি গিলাতলা হাজি আরিফ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করতেন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিপরীতে শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধ। মুজিব বাহিনী গঠন করতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তি বাহিনী বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন। বৃহত্তর দক্ষিণ খুলনা ও বাগেরহাটের রামপাল এবং মোংলাকে শত্রুমুক্ত করেন। যুদ্ধ শেষে সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। রামপাল উপজেলার প্রথম উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন।

আমাদের গ্রাম প্রকল্পের সমন্বয়কারী শেখ সাদীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন মাহমুদুল হকের সহধর্মিণী শিখা মাহমুদ, রামপাল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) শেখ সালাউদ্দিন দিপু, রামপাল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহিম, মাহমুদুল হকের পুত্রবধু নাহিদা পারভীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সুলতান আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান, ৭১ টিভির সাংবাদিক রকিব উদ্দিন পান্নু, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরাফাত হোসেন কচি, প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদারসহ আমাদের গ্রাম ক্যন্সার কেয়ার প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।#

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

রামপালে বরেণ্য ৩ গুণীজনের স্মরণ সভা ও পুরস্কার বিতরণ

প্রকাশিত সময় : ০১:১৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

####

রামপালে বরেণ্য চিত্রশিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদুল হক, শ্রদ্ধেয় নূরুল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. জলিলের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রবিবার (২১ জানুয়ারী) সকাল ১০ টা শ্রীফলতলা আমাদের গ্রাম প্রকল্প কার্যালয় মিলনায়তনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে রামপাল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীফলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ঝনঝনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আমাদের গ্রাম প্রকল্পের পরিচালক রেজা সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় গ্রাম ভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের গ্রাম প্রকল্পের স্মৃতি তর্পণ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বরেণ্য তিন গুণিজনের সাফল্যগাথা তুলে ধরে বলেন, তিন গুণিজন স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখে গেছেন। রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলার মত অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম নিয়েও তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্থান করে নিয়েছেন। বরেণ্য চিত্রশিল্পী মাহমুদুল হক তার তুলির আঁচড়ে সমাজের নানান চিত্র তুলে এনে বাঙালী সাংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন, সমাজের নানান অসংগতি তার সৃজনশীল চিত্র কর্মে স্থান করে নিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষকতার সুবাদে শিক্ষার্থীদের মাঝে তার জ্ঞানগর্ব সাংস্কৃতিক তুলে ধরে সমৃদ্ধ করেছেন।  রামপালের অপর কৃতি সন্তান শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নূরুল হক এই এলাকার শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে তথ্যসমৃদ্ধ করতে আজীবন আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। অন্য গুণীজন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং রাজনীতিবিদ শেখ আ. জলিল ছিলেন স্বমহিমায় ভাস্বর। তিনি গিলাতলা হাজি আরিফ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করতেন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিপরীতে শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধ। মুজিব বাহিনী গঠন করতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তি বাহিনী বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন। বৃহত্তর দক্ষিণ খুলনা ও বাগেরহাটের রামপাল এবং মোংলাকে শত্রুমুক্ত করেন। যুদ্ধ শেষে সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। রামপাল উপজেলার প্রথম উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন।

আমাদের গ্রাম প্রকল্পের সমন্বয়কারী শেখ সাদীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন মাহমুদুল হকের সহধর্মিণী শিখা মাহমুদ, রামপাল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) শেখ সালাউদ্দিন দিপু, রামপাল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহিম, মাহমুদুল হকের পুত্রবধু নাহিদা পারভীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সুলতান আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান, ৭১ টিভির সাংবাদিক রকিব উদ্দিন পান্নু, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরাফাত হোসেন কচি, প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদারসহ আমাদের গ্রাম ক্যন্সার কেয়ার প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।#