০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিতলমারীতে দৃষ্টি নন্দন সরিষার ক্ষেত

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৩:২২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১২৭ পড়েছেন

শান্তনু রানা , চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: 

বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখন সবুজের মাঝে হলুদের হাত ছানি। মৌমাছির গুণগুণ শব্দে সরব হয়ে উঠেছে সরিষার ক্ষেত। সময় এবং খরচ কম হওয়ায়, বাগেরহাট চিতলমারী উপজেলায় সরিষার চাষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধুমতি নদের বেড়িবাঁধ বেষ্টিত এলাকার পরানপুর, হাড়িয়ার ঘোপ, ঘোলা ও মচন্দপুর গ্রাম এলাকার মাঠ গুলোতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।

সরেজমিনে চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৮ থেকে ১০ মণ সরিষার উৎপাদন হবে। পরান পুর গ্রামের রফিক মোল্লা জানান, ২০২৩ সালে উৎপাদিত সরিষার চেয়ে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ১০ মন ফলন আসবে ।

অনুরুপ বক্তব্য দেন, একই গ্রামের চাষী এব্রাহিম মোল্লা। তিনি বলেন, বিগত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে সরিষার আবাদ হবে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মন। সরিষা একটি লাভজনক ফসল সে কারনে সরিষা চাষে অনেক চাষীর আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়ে ছিলো ২৯০ হেক্টর জমি। তা অতিক্রম করে দাঁড়িয়েছে ৩১০ হেক্টরে।

কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সিফাত আল মারুফ জানান,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলায় ৫৮০জন কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে সরকারি প্রণোদনা হিসাবে সরিষার বীজ দেয়া হয়েছে।

এখানে বারি সরিষা ১৪, বারি সরিষা-১৭,বারি সরিষা-১৮, বিনা সরিষা-৯ সহ স্থানীয় জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

চিতলমারীতে দৃষ্টি নন্দন সরিষার ক্ষেত

প্রকাশিত সময় : ০৩:২২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

শান্তনু রানা , চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: 

বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখন সবুজের মাঝে হলুদের হাত ছানি। মৌমাছির গুণগুণ শব্দে সরব হয়ে উঠেছে সরিষার ক্ষেত। সময় এবং খরচ কম হওয়ায়, বাগেরহাট চিতলমারী উপজেলায় সরিষার চাষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধুমতি নদের বেড়িবাঁধ বেষ্টিত এলাকার পরানপুর, হাড়িয়ার ঘোপ, ঘোলা ও মচন্দপুর গ্রাম এলাকার মাঠ গুলোতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।

সরেজমিনে চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৮ থেকে ১০ মণ সরিষার উৎপাদন হবে। পরান পুর গ্রামের রফিক মোল্লা জানান, ২০২৩ সালে উৎপাদিত সরিষার চেয়ে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ১০ মন ফলন আসবে ।

অনুরুপ বক্তব্য দেন, একই গ্রামের চাষী এব্রাহিম মোল্লা। তিনি বলেন, বিগত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে সরিষার আবাদ হবে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মন। সরিষা একটি লাভজনক ফসল সে কারনে সরিষা চাষে অনেক চাষীর আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়ে ছিলো ২৯০ হেক্টর জমি। তা অতিক্রম করে দাঁড়িয়েছে ৩১০ হেক্টরে।

কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সিফাত আল মারুফ জানান,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলায় ৫৮০জন কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে সরকারি প্রণোদনা হিসাবে সরিষার বীজ দেয়া হয়েছে।

এখানে বারি সরিষা ১৪, বারি সরিষা-১৭,বারি সরিষা-১৮, বিনা সরিষা-৯ সহ স্থানীয় জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।