১০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দশমিনায় মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রত্যরনার মামলা

####

পটুয়াখালীর দশমিনায় মাদ্রাসার এক সহকারি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দপ্তরি চাকরি দেয়ার অভিযোগে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজমিস্ত্রি মোঃ ছালাম  বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানতা দাবি করেন বহরমপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যক্ষ মোঃ হানিফ। মামলার বাদী মোঃ ছালাম  ঐ বিদ্যালয়ের রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ কারায় বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা দাবিদার মোঃ হানিফের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ছালাম মৃধার দ্বিতীয় ছেলেকে বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকরি দেবার কথা বলে উপজেলার বহরমপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যক্ষ মোঃ হানিফ তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। দপ্তরি চাকরির জন্য ২০২১ সালে মোঃ ছালাম মৃধা  দুই লক্ষ টাকা দেন মোঃ হানিফকে। সেই কারনে বাদীর ছেলে মোঃ রবিউল মৃধা ২০২১ সল থেকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে কাজ করে আসছেন। গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আরিফ নামে আরেক জনকে দিয়ে দপ্তরির কাজ শুরুর পর মোঃ রবিউল মৃধাকে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন মোঃ হানিফ। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা হানিফের বিরুদ্ধে মিছিল করে। দপ্তরি পদে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্নসাত ও প্রতারণার অবিযোগে রবিউলের বাবা ছালাম মৃধা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৬ফেব্রুয়ারি) দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতে প্রত্যরনার মামলা করেন। আদলতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা কোর্ট  পুলিশ পরিদর্শককে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার বাদি মোঃ ছালাম মৃধা বলেন, আমি সহজ সরল মানুষ। ঐ বিদ্যালয়ের কাজ করার সুবাদে হানিফের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আমার ছেলেকে চাকরি দেয়ার নাম করে তিনলক্ষ পঞ্চাশ হাজার দাবি করলে আমি প্রাথমিক ভাবে দুই লক্ষ টাকা দেই। নিয়োগপত্র ও যোগদান দেবার পর বাকী এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেবার কথা। ২০২১ সালে থেকে আমাকে আজ কাল বলে ঘুরায়।  আমার কাছে পূনরায় টাকা দাবি করায় নিয়োগ যোগদান চাইলে অন্য একটি ছেলেকে দিয়ে কাজ করায়। আমি মহামান্য আদালতের দারস্থ হয়েছি ন্যায় বিচারের জন্য।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

দশমিনায় মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রত্যরনার মামলা

প্রকাশিত সময় : ১২:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

####

পটুয়াখালীর দশমিনায় মাদ্রাসার এক সহকারি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দপ্তরি চাকরি দেয়ার অভিযোগে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজমিস্ত্রি মোঃ ছালাম  বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানতা দাবি করেন বহরমপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যক্ষ মোঃ হানিফ। মামলার বাদী মোঃ ছালাম  ঐ বিদ্যালয়ের রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ কারায় বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা দাবিদার মোঃ হানিফের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ছালাম মৃধার দ্বিতীয় ছেলেকে বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকরি দেবার কথা বলে উপজেলার বহরমপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যক্ষ মোঃ হানিফ তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। দপ্তরি চাকরির জন্য ২০২১ সালে মোঃ ছালাম মৃধা  দুই লক্ষ টাকা দেন মোঃ হানিফকে। সেই কারনে বাদীর ছেলে মোঃ রবিউল মৃধা ২০২১ সল থেকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে কাজ করে আসছেন। গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আরিফ নামে আরেক জনকে দিয়ে দপ্তরির কাজ শুরুর পর মোঃ রবিউল মৃধাকে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন মোঃ হানিফ। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা হানিফের বিরুদ্ধে মিছিল করে। দপ্তরি পদে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্নসাত ও প্রতারণার অবিযোগে রবিউলের বাবা ছালাম মৃধা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৬ফেব্রুয়ারি) দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতে প্রত্যরনার মামলা করেন। আদলতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা কোর্ট  পুলিশ পরিদর্শককে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার বাদি মোঃ ছালাম মৃধা বলেন, আমি সহজ সরল মানুষ। ঐ বিদ্যালয়ের কাজ করার সুবাদে হানিফের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আমার ছেলেকে চাকরি দেয়ার নাম করে তিনলক্ষ পঞ্চাশ হাজার দাবি করলে আমি প্রাথমিক ভাবে দুই লক্ষ টাকা দেই। নিয়োগপত্র ও যোগদান দেবার পর বাকী এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেবার কথা। ২০২১ সালে থেকে আমাকে আজ কাল বলে ঘুরায়।  আমার কাছে পূনরায় টাকা দাবি করায় নিয়োগ যোগদান চাইলে অন্য একটি ছেলেকে দিয়ে কাজ করায়। আমি মহামান্য আদালতের দারস্থ হয়েছি ন্যায় বিচারের জন্য।