১০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দশমিনায় জমিজমা বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা করে মা ও চাচা

####

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের রামভালক গ্রামে গত শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভীটা থেকে ৮বছরের মরিয়মের রক্তাক্ত মরদেহ  উদ্ধার করে দশমিনা থানা পুলিশ। মরিয়মকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারি মরিয়মের মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু। বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের রামভল্লব গ্রামে মরিয়মকে হত্যার স্থানে সংবাদকর্মীদের প্রেসব্রিফেং এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, মরিয়কে হত্যার ঘটনায় মরিয়মের বাবা মোঃ মকবুল হোসেন মৃধা বাদি হয়ে দশমিনা থানায় অঞ্জাত ৫জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন। মরিয়মের হত্যার পর দশমিনা থানা পুলিশ ও স্পেশাল পুলিশ পটুয়াখালী বিভিন্ন ভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করেন। মরিয়মের চাচা সেন্টুকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিঞ্জাসা বাদ করলে হত্য করার কথা স্বীকার করে পরে মহামান্য আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবারবন্দি দেয়। মরিয়মের মায়ের সাথে আত্নীয়দের দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলমান। তাদের ফাঁসানোর জন্য অনেক দিন থেকে চাচা ও মা পরিকল্পনা করে আসছে। প্রথম পরিকল্পনা ছিলো মেঝো মেয়েকে ধর্ষন করাবে কিন্তু ধর্ষন মামলা দিলে বিবাহ দিতে পরবে না তাই ওই পরিকল্পনা বাদ দেয়। দ্ধিতীয় পরিকল্পনা ছোট মেয়ে মরিয়মকে হত্যা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাবে। দ্ধিতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে  গত বৃহস্পতিবার (১ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ছোট মেয়ে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করে মরিয়মের মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু। ওই হত্যা বিরোধীয়দের উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য পরিকল্পানা মোতাবেক (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আলালের ঘর থেকে মরিয়ম বের হবার পর মা মাঝ পথ থেকে বাড়ির উত্তর পাশের  নির্জন ভিটায় নিয়ে যায় সেখানে সেন্টু আগে থেকে উপস্থিত ছিলো। মরিয়মকে নিয়ে যাবার পর সেন্টু প্রথমে লাঠিদিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মরিয়ম চিৎকার করাতে না পারে সে কারনে মা রিনা বেগম মুখের মধ্যে ওরনা দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। সেন্টুর স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি মূলে ওই লাঠি মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় এবং মরিয়মের মা রিনা বেগমকে আটক করা হয়। সেন্টুকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং মরিয়মকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে সেখানে মরিয়মের মা  রিনা বেগমকে সাথে করে নিয়ে এসেছি ঘটনার বিবরন জানা জন্য। মরিয়মের হত্যার সাথে আরো কেহ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রেস ব্রিফিং এর সময় উপস্থিত ছিলেন দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার, পটুয়াখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন, দশমিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) অনুপ দাস, বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু সহ উপজেলা ও জেলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

দশমিনায় জমিজমা বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা করে মা ও চাচা

প্রকাশিত সময় : ০১:৫১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

####

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের রামভালক গ্রামে গত শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভীটা থেকে ৮বছরের মরিয়মের রক্তাক্ত মরদেহ  উদ্ধার করে দশমিনা থানা পুলিশ। মরিয়মকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারি মরিয়মের মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু। বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের রামভল্লব গ্রামে মরিয়মকে হত্যার স্থানে সংবাদকর্মীদের প্রেসব্রিফেং এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, মরিয়কে হত্যার ঘটনায় মরিয়মের বাবা মোঃ মকবুল হোসেন মৃধা বাদি হয়ে দশমিনা থানায় অঞ্জাত ৫জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন। মরিয়মের হত্যার পর দশমিনা থানা পুলিশ ও স্পেশাল পুলিশ পটুয়াখালী বিভিন্ন ভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করেন। মরিয়মের চাচা সেন্টুকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিঞ্জাসা বাদ করলে হত্য করার কথা স্বীকার করে পরে মহামান্য আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবারবন্দি দেয়। মরিয়মের মায়ের সাথে আত্নীয়দের দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলমান। তাদের ফাঁসানোর জন্য অনেক দিন থেকে চাচা ও মা পরিকল্পনা করে আসছে। প্রথম পরিকল্পনা ছিলো মেঝো মেয়েকে ধর্ষন করাবে কিন্তু ধর্ষন মামলা দিলে বিবাহ দিতে পরবে না তাই ওই পরিকল্পনা বাদ দেয়। দ্ধিতীয় পরিকল্পনা ছোট মেয়ে মরিয়মকে হত্যা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাবে। দ্ধিতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে  গত বৃহস্পতিবার (১ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ছোট মেয়ে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করে মরিয়মের মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু। ওই হত্যা বিরোধীয়দের উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য পরিকল্পানা মোতাবেক (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আলালের ঘর থেকে মরিয়ম বের হবার পর মা মাঝ পথ থেকে বাড়ির উত্তর পাশের  নির্জন ভিটায় নিয়ে যায় সেখানে সেন্টু আগে থেকে উপস্থিত ছিলো। মরিয়মকে নিয়ে যাবার পর সেন্টু প্রথমে লাঠিদিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মরিয়ম চিৎকার করাতে না পারে সে কারনে মা রিনা বেগম মুখের মধ্যে ওরনা দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। সেন্টুর স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি মূলে ওই লাঠি মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় এবং মরিয়মের মা রিনা বেগমকে আটক করা হয়। সেন্টুকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং মরিয়মকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে সেখানে মরিয়মের মা  রিনা বেগমকে সাথে করে নিয়ে এসেছি ঘটনার বিবরন জানা জন্য। মরিয়মের হত্যার সাথে আরো কেহ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রেস ব্রিফিং এর সময় উপস্থিত ছিলেন দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার, পটুয়াখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন, দশমিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) অনুপ দাস, বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু সহ উপজেলা ও জেলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী।