১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাগল মালিককে মধ্যযুগয়ি কায়দায় গাছের সাথে হাত—পা বেঁধে বেঁধে প্রহর

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৪:১৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৭ পড়েছেন

 

মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ছাগলে মরিচ চারা খাওয়ায় মালিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে প্রহর কারার ঘটনা ঘটে।
উপজেলার আরোজবেগী গ্রামের গুচ্ছগ্রামে শুক্রবার সকাল ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের আরোজবেগী ০৭ নং ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হাকিম ফকিরের ছেলে মোঃ মোস্তফা ফকিরের ঘরের পিছনের ক্ষেতে প্রতিবেশি আমির আলী সরদারের ছেলে মোঃ খোকন সরদারের পালিত ছাগলে গত কাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মরিচ ক্ষেতে ডুকে মরিচ চারা খায় । সে কারনে মোস্তফা ছাগল নিয়ে বেঁধে রাখে। খোকন শুক্রবার সকালে ছাগল চাইতে গেলে মোস্তাফা, তার স্ত্রী এবং পুত্রবধূ খোকনকে আটকিয়ে গাছের সাথে বেেঁধ মধ্যযুগিয় কায়দায় মারধর করে। খোকনের স্ত্রী স্বামীকে রাঁচাতে গেলে তাকে মারধর ও পরনের কাপরচোপর টানাহেচরা করে ছিড়ে ফেলে, শিশু দুই সন্তানকে মারধর করে। খোকনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা খোকনকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়।
আহত খোকন সরদার বলেন, মোস্তফা আর আমি গ্রচ্ছপ্রামের পাশাপাশি ঘরে বসবাস করি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাগলে নাকি মোস্তফার ক্ষেতের মরিচ চারা খায় । মোস্তফা ছাগল নিয়ে বেধে রাখে। আমি সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্যর কাছে গিয়ে বালি তিনি আমাকে ছাগল চাইতে বলেন। আমি সকালে ছাগল চাইতে গেলে আমাকে মোস্তফা, তার স্ত্রী ও পুত্রবধূ মারধর করে হাত—পা বেঁধে ঘরের সামনে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে এহেন কাজের জন্য বিচার দাবি করি।
খোকনের স্ত্রী বলেন, আমাদের ছোট একটি ছাগলের বাচ্ছা নাকি মোস্তফার ক্ষেতের মরিচজ চারা খাইছে। আমার স্বামী সকালে ছাগল চাইতে গেলে আমাকে মারধরকরে, আমার ছোট শিশু সন্তানকে মারে এবং আমার স্বামীকে মারধর করে টানাহেচরা করে নিয়ে তার ঘরের সামনে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিকদার দেলোয়ার বলেন, বিষয়টি জানান পর আমি ছাগল আনতে পাঠিয়েছি তার পর কি হইছে জাননি। সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম হাতপা বেঁধে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় খোকন। এটা একটি দুঃখ জনক ঘটনা।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঘটনার বিষয় আপানর মাধ্যমে শুনলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

ছাগল মালিককে মধ্যযুগয়ি কায়দায় গাছের সাথে হাত—পা বেঁধে বেঁধে প্রহর

প্রকাশিত সময় : ০৪:১৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ছাগলে মরিচ চারা খাওয়ায় মালিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে প্রহর কারার ঘটনা ঘটে।
উপজেলার আরোজবেগী গ্রামের গুচ্ছগ্রামে শুক্রবার সকাল ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের আরোজবেগী ০৭ নং ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হাকিম ফকিরের ছেলে মোঃ মোস্তফা ফকিরের ঘরের পিছনের ক্ষেতে প্রতিবেশি আমির আলী সরদারের ছেলে মোঃ খোকন সরদারের পালিত ছাগলে গত কাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মরিচ ক্ষেতে ডুকে মরিচ চারা খায় । সে কারনে মোস্তফা ছাগল নিয়ে বেঁধে রাখে। খোকন শুক্রবার সকালে ছাগল চাইতে গেলে মোস্তাফা, তার স্ত্রী এবং পুত্রবধূ খোকনকে আটকিয়ে গাছের সাথে বেেঁধ মধ্যযুগিয় কায়দায় মারধর করে। খোকনের স্ত্রী স্বামীকে রাঁচাতে গেলে তাকে মারধর ও পরনের কাপরচোপর টানাহেচরা করে ছিড়ে ফেলে, শিশু দুই সন্তানকে মারধর করে। খোকনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা খোকনকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়।
আহত খোকন সরদার বলেন, মোস্তফা আর আমি গ্রচ্ছপ্রামের পাশাপাশি ঘরে বসবাস করি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাগলে নাকি মোস্তফার ক্ষেতের মরিচ চারা খায় । মোস্তফা ছাগল নিয়ে বেধে রাখে। আমি সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্যর কাছে গিয়ে বালি তিনি আমাকে ছাগল চাইতে বলেন। আমি সকালে ছাগল চাইতে গেলে আমাকে মোস্তফা, তার স্ত্রী ও পুত্রবধূ মারধর করে হাত—পা বেঁধে ঘরের সামনে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে এহেন কাজের জন্য বিচার দাবি করি।
খোকনের স্ত্রী বলেন, আমাদের ছোট একটি ছাগলের বাচ্ছা নাকি মোস্তফার ক্ষেতের মরিচজ চারা খাইছে। আমার স্বামী সকালে ছাগল চাইতে গেলে আমাকে মারধরকরে, আমার ছোট শিশু সন্তানকে মারে এবং আমার স্বামীকে মারধর করে টানাহেচরা করে নিয়ে তার ঘরের সামনে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিকদার দেলোয়ার বলেন, বিষয়টি জানান পর আমি ছাগল আনতে পাঠিয়েছি তার পর কি হইছে জাননি। সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম হাতপা বেঁধে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় খোকন। এটা একটি দুঃখ জনক ঘটনা।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঘটনার বিষয় আপানর মাধ্যমে শুনলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।