১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ নেতাদের অভিযোগ :

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাদের মীরজাফর িও রাজাকার বলে প্রকাশ্যে গালি এবং অত্যাচার-নির্যাতন করছেন সংসদ সদস্য সালাম মুর্শিদী

  • অফিস ডেক্স।।
  • প্রকাশিত সময় : ০১:২৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৪১ পড়েছেন

####

খুলনা-৪(রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনের এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী আওয়ামীলীগের ত্যাগী, প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয় উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর, কুকুর ও রাজাকার বলে প্রকাশ্যে গালি দিয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আওয়ামীলীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদেরকে এসব গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীল বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সবাপতি মো: কামাল উদ্দিন বাদশা। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগের ত্যাগী, নিবেদিত প্রান-নিষ্ঠাবান ও প্রতিষ্ঠিত নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হেয় প্রতিপন্নকারী কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য ও হুমকী-ধামকির বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা ও নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার প্রয়াসে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বিঘ্নে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের সভাপতি নেতাকর্মীদের সুযোগ দেয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংসদের ৩০০আসনের মধ্যে ৬২জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে সংসদকে অলংকৃত করছেন। যেহেতু বিএনপি, জামাত ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রতিহত ও বিতর্কীত করতে চেয়েছিল। সে কারনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারাভিযানে নির্বাচনে জনগণ ভোটে অংশ গ্রহণ করে তার পছন্দ মত প্রার্থীকে ভোট দেয়। খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক হুইপ খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জননন্দিত জননেতা এস,এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই এস,এম মোর্তজা রশিদী দারা প্রায় ৬১,০০০ ভোট পায়। নৌকার প্রার্থী সালাম মূর্শেদী ভোটের ফলাফলে বিজয়ী হওয়ার পরপরই তার প্রত্যক্ষ নির্দেশে খুলনা-৪ আসনের ভিন্নস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থানকারী আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, রক্তাক্ত জখম করে তাদের সম্পদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট ও দখল করা হয়। বর্তমানে এমপি সালাম মূর্শেদী খুলনা-৪ আসনের রূপসা, তেরখাদা এবং দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫,১৬,১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারী তার অনুসারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসব মতবিনিময় সভায় প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামীলীগের যে সমস্ত নেতা কর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় হুমকী দিয়েছেন। এমপি সালাম মূর্শেদী উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর, কুকুর ইত্যাদি বলে গালি দিয়েছেন। রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান ও রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন বাদশাকে প্রকাশ্য সভায় রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমপি সালাম মূর্শেদীর এ ধরনের উক্তি স্বাধীনতার মহান সৈনিকদের শুধু অপমানিত করেননি তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিতকির্ত করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এমপি সালাম মূর্শেদী মূলত: স্বাধীনতার বিপক্ষের একজন মানুষ। বর্তমানে তার নির্দেশে রূপসা উপজেলার আওয়ামীলীগের নিবেদিত ও ত্যাগী অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের উপর ২০০১ সালের বিএনপি-জামাতের হিংস্র হায়নার মত নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমনকি তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারীকে মীরজাফর বলে হুমকী দিয়েছেন। তাহলে আমরা কি ধরে নেব, এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকেও ক্ষমতা ধর। তিনি যা খুশি বলতে পারবেন, যা খুশি করতে পারবেন, যেভাবে খুশি ইচ্ছেমত প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা জুলুম নির্যাতন ভোগকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আজ বড় দুর্দিন ভোগ করছি, আমরা আমাদের সম্মান নিয়ে চলতে পারছি না, কথা বলতে পারছি না। এদেশের সংগঠনের যে আতংক, আমরা মুজিব সৈনিক, শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়েও নিষিদ্ধ জঙ্গীদের থেকে বেশি আতংকে আছি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যভস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে আইচগাতি ইউনিযনের চেয়ারম্যান মো: আশরাফুজ্জামান বাবুল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীড়ের সাধারন সম্পাদক মো: আরিফুজ্জামান লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জগলু শিকদার, সন্তোষ ভক্ত ও আ: শহীদ জম্দ্দারসহ আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

বাগেরহাটে এ্যাডভোকেট নয়নের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ নেতাদের অভিযোগ :

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাদের মীরজাফর িও রাজাকার বলে প্রকাশ্যে গালি এবং অত্যাচার-নির্যাতন করছেন সংসদ সদস্য সালাম মুর্শিদী

প্রকাশিত সময় : ০১:২৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

####

খুলনা-৪(রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনের এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী আওয়ামীলীগের ত্যাগী, প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয় উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর, কুকুর ও রাজাকার বলে প্রকাশ্যে গালি দিয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আওয়ামীলীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদেরকে এসব গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীল বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সবাপতি মো: কামাল উদ্দিন বাদশা। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগের ত্যাগী, নিবেদিত প্রান-নিষ্ঠাবান ও প্রতিষ্ঠিত নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হেয় প্রতিপন্নকারী কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য ও হুমকী-ধামকির বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা ও নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার প্রয়াসে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বিঘ্নে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের সভাপতি নেতাকর্মীদের সুযোগ দেয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংসদের ৩০০আসনের মধ্যে ৬২জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে সংসদকে অলংকৃত করছেন। যেহেতু বিএনপি, জামাত ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রতিহত ও বিতর্কীত করতে চেয়েছিল। সে কারনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারাভিযানে নির্বাচনে জনগণ ভোটে অংশ গ্রহণ করে তার পছন্দ মত প্রার্থীকে ভোট দেয়। খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক হুইপ খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জননন্দিত জননেতা এস,এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই এস,এম মোর্তজা রশিদী দারা প্রায় ৬১,০০০ ভোট পায়। নৌকার প্রার্থী সালাম মূর্শেদী ভোটের ফলাফলে বিজয়ী হওয়ার পরপরই তার প্রত্যক্ষ নির্দেশে খুলনা-৪ আসনের ভিন্নস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থানকারী আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, রক্তাক্ত জখম করে তাদের সম্পদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট ও দখল করা হয়। বর্তমানে এমপি সালাম মূর্শেদী খুলনা-৪ আসনের রূপসা, তেরখাদা এবং দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫,১৬,১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারী তার অনুসারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসব মতবিনিময় সভায় প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামীলীগের যে সমস্ত নেতা কর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় হুমকী দিয়েছেন। এমপি সালাম মূর্শেদী উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর, কুকুর ইত্যাদি বলে গালি দিয়েছেন। রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান ও রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন বাদশাকে প্রকাশ্য সভায় রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমপি সালাম মূর্শেদীর এ ধরনের উক্তি স্বাধীনতার মহান সৈনিকদের শুধু অপমানিত করেননি তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিতকির্ত করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এমপি সালাম মূর্শেদী মূলত: স্বাধীনতার বিপক্ষের একজন মানুষ। বর্তমানে তার নির্দেশে রূপসা উপজেলার আওয়ামীলীগের নিবেদিত ও ত্যাগী অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের উপর ২০০১ সালের বিএনপি-জামাতের হিংস্র হায়নার মত নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমনকি তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারীকে মীরজাফর বলে হুমকী দিয়েছেন। তাহলে আমরা কি ধরে নেব, এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকেও ক্ষমতা ধর। তিনি যা খুশি বলতে পারবেন, যা খুশি করতে পারবেন, যেভাবে খুশি ইচ্ছেমত প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা জুলুম নির্যাতন ভোগকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আজ বড় দুর্দিন ভোগ করছি, আমরা আমাদের সম্মান নিয়ে চলতে পারছি না, কথা বলতে পারছি না। এদেশের সংগঠনের যে আতংক, আমরা মুজিব সৈনিক, শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়েও নিষিদ্ধ জঙ্গীদের থেকে বেশি আতংকে আছি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যভস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে আইচগাতি ইউনিযনের চেয়ারম্যান মো: আশরাফুজ্জামান বাবুল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীড়ের সাধারন সম্পাদক মো: আরিফুজ্জামান লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জগলু শিকদার, সন্তোষ ভক্ত ও আ: শহীদ জম্দ্দারসহ আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ##