০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামপালে জালিয়াতির অভিযোগে সাবরেজিস্টার নাহিদ জাহানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল 

####

বাগেরহাটের রামপালে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রেশন করার অভিযোগে সাবরেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই। ভুয়া দাতা সাজিয়ে মৃত রণজিৎ কুমার পালের জমি রেজিষ্ট্রেশন করে নেওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাগেরহাটের পিবিআই ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বাগেরহাট জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।  বাগেরহাটের পিবিআই ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের মৃত রণজিৎ কুমার পালের জমি উপজেলার গিলাতলা গ্রামের দীনেশ চন্দ্র পালের নামে ০.৬০ একর জমি রেজিস্ট্রি করা হয়। গত ইংরেজি ০৭-০২-২০২৩ তারিখ রামপাল সাব-রেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা ভুয়া দাতার মাধ্যমে জমিটি রেজিষ্ট্রেশন করেন, যার দলিল নম্বর ৩৪৪। বিষয়টি জানতে পেরে জমির মালিক রণজিৎ কুমার পালের ছেলে বিশ্বজিৎ পাল গত ইংরেজি ২৯-০৩-২০২৩ তারিখ বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালত (রামপাল) -২ এ পিটিশন মামলা নং ২৫/২০২৩ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সাব-রেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা ওই ভুয়া দাতা জগদীশ চন্দ্র মন্ডলকে ডেকে এনে প্রকৃত জমির মালিক রণজিৎ কুমার পালের নামে আরও একটি ফেরত দলিল রেজিষ্ট্রেশন করেন। যার দলিল নম্বর ৯৩৪/২০২৩, তারিখ ০৪-০৪-২০২৩। এতে প্রমাণিত হয় সাবরেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত রয়েছেন পিবিআই এর তদন্তের উঠে এসেছে।

পিবিআই বাগেরহাটের ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাব-রেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা, ভুয়া দাতা জগদীশ চন্দ্র মন্ডল, ইউপি সচিব রতন কুমার পাল, তার পিতা দীনেশ চন্দ্র পাল, রীতা রানী পাল, দলিল লেখক সবুজ মন্ডল, সৈয়দ গালিব হোসেন ও রথীন কুমার পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সাবরেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়টি তিনি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। জাল জালিয়াতির বিষয়টি জানার পরেও পুনরায় একই ভুয়া দাতা জগদীশ চন্দ্র মন্ডলকে দিয়ে কেন জমি রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে ? এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি।

অপরদিকে মামলার বাদী বিশ্বজিৎ পালের আইনজীবি আলী আকবর ও নিমাই চন্দ্র বাগেরহাটের আদালতে পিবিআই এর প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী বিশ্বজিৎ পাল মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।#

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

রামপালে জালিয়াতির অভিযোগে সাবরেজিস্টার নাহিদ জাহানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল 

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

####

বাগেরহাটের রামপালে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রেশন করার অভিযোগে সাবরেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই। ভুয়া দাতা সাজিয়ে মৃত রণজিৎ কুমার পালের জমি রেজিষ্ট্রেশন করে নেওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাগেরহাটের পিবিআই ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বাগেরহাট জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।  বাগেরহাটের পিবিআই ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের মৃত রণজিৎ কুমার পালের জমি উপজেলার গিলাতলা গ্রামের দীনেশ চন্দ্র পালের নামে ০.৬০ একর জমি রেজিস্ট্রি করা হয়। গত ইংরেজি ০৭-০২-২০২৩ তারিখ রামপাল সাব-রেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা ভুয়া দাতার মাধ্যমে জমিটি রেজিষ্ট্রেশন করেন, যার দলিল নম্বর ৩৪৪। বিষয়টি জানতে পেরে জমির মালিক রণজিৎ কুমার পালের ছেলে বিশ্বজিৎ পাল গত ইংরেজি ২৯-০৩-২০২৩ তারিখ বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালত (রামপাল) -২ এ পিটিশন মামলা নং ২৫/২০২৩ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সাব-রেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা ওই ভুয়া দাতা জগদীশ চন্দ্র মন্ডলকে ডেকে এনে প্রকৃত জমির মালিক রণজিৎ কুমার পালের নামে আরও একটি ফেরত দলিল রেজিষ্ট্রেশন করেন। যার দলিল নম্বর ৯৩৪/২০২৩, তারিখ ০৪-০৪-২০২৩। এতে প্রমাণিত হয় সাবরেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত রয়েছেন পিবিআই এর তদন্তের উঠে এসেছে।

পিবিআই বাগেরহাটের ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাব-রেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা, ভুয়া দাতা জগদীশ চন্দ্র মন্ডল, ইউপি সচিব রতন কুমার পাল, তার পিতা দীনেশ চন্দ্র পাল, রীতা রানী পাল, দলিল লেখক সবুজ মন্ডল, সৈয়দ গালিব হোসেন ও রথীন কুমার পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সাবরেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়টি তিনি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। জাল জালিয়াতির বিষয়টি জানার পরেও পুনরায় একই ভুয়া দাতা জগদীশ চন্দ্র মন্ডলকে দিয়ে কেন জমি রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে ? এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি।

অপরদিকে মামলার বাদী বিশ্বজিৎ পালের আইনজীবি আলী আকবর ও নিমাই চন্দ্র বাগেরহাটের আদালতে পিবিআই এর প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী বিশ্বজিৎ পাল মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।#