১০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্মি জাহাজের দ্বিতীয় প্রকৌশলী খুলনার তৌফিকুল ইসলামের পরিবারে এখন ঈদের আনন্দ

####

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির খবরে জাহাজের দ্বিতীয় প্রকৌশলী খুলনার তৌফিকুল ইসলামের পরিবারে এখন ঈদের আনন্দ। গত ১মাস ২দিন দস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার পর সোমবার ভোররাতে জিম্মি থাকা ২৩নাবিক ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হওয়ার পর ফোন করে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি পরিবারকে নিজেই জানিয়েছেন তৌফিক। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে নাবিকসহ জাহাজটি আরব আমিরাতে আসছে। তারপর সেখান থেকে দেশে ফিরবেন মুক্ত নাবিকরা। এরপরই তৌফিকের পরিবারের সদস্যদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার, খুশিতে আত্মহারা তারা। তিনি খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ২০/১ করিমনগর এলাকার মো. ইকবাল এবং দিল আফরোজ দম্পতির ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

মঙ্গলবার সকালে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ২০/১ করিমনগর এলাকার বাড়ীতে তৌফিকের মা দিল আফরোজ জানান, গত ২৫নভেম্বর বাড়ী থেকে জাহাজে গিয়েছিল ছোট ছেলে তৌফিকুল ইসলাম। গত ১মাস ২ দিন চরম দুশ্চিন্তায় কেটেছে তাদের। তাদের সেই দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। এখন অপেক্ষায় রয়েছেন তৌফিকের ফেরার। একটা মাস প্রতিক্ষার পরে এই আনন্দটা ঈদের আনন্দের মতোই। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। সরকার এবং জাহাজ মালিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এতো তাড়াতাড়ি তারা কাজ করে আমাদের ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসছে। আমাদের তো আনন্দের শেষ নেই বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।

তৌফিকের স্ত্রী জোবাইদা নোমান বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৫টার পর তার সাথে ফোনে কথা হয়েছে। বলেছে চিন্তা করো না, আলহামদুলিল্লাহ আমরা মুক্তি পেয়েছি। তারা এখন ব্যস্ত রয়েছে, বেশি কথা হয়নি। শুধু জানালে ভালো আছি, দোয়া করো। আমরা আরও সুরক্ষিত স্থানে গিয়ে কথা বলবো। তারা দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন৷ সেখানে পৌছে দেশে রওনার দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।

মুক্ত হওয়ার খবরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন। গত একটা মাস আমাদের উপর দিয়ে যে অবস্থা গিয়েছে তা ভাষায় বলার নয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ায় আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। তিনি সরকার ও জাহাজ মালিকপক্ষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তৌফিকুল ইসলামের ভাই খালেদুল ইসলাম খালেদ বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং সকলের দোয়া ছিল। সরকার ও মালিক পক্ষের প্রচেষ্টায় আমার ভাই মুক্ত হয়েছে। আমরা সকলের কাছে চীর কৃতজ্ঞ। এখন আমরা তার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। এই কয়দিন খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম, এখন স্বস্তিতে আছি। আমরা এখন আনন্দিত, খুশি।

গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

জিম্মি জাহাজের দ্বিতীয় প্রকৌশলী খুলনার তৌফিকুল ইসলামের পরিবারে এখন ঈদের আনন্দ

প্রকাশিত সময় : ০৩:০৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

####

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির খবরে জাহাজের দ্বিতীয় প্রকৌশলী খুলনার তৌফিকুল ইসলামের পরিবারে এখন ঈদের আনন্দ। গত ১মাস ২দিন দস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার পর সোমবার ভোররাতে জিম্মি থাকা ২৩নাবিক ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হওয়ার পর ফোন করে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি পরিবারকে নিজেই জানিয়েছেন তৌফিক। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে নাবিকসহ জাহাজটি আরব আমিরাতে আসছে। তারপর সেখান থেকে দেশে ফিরবেন মুক্ত নাবিকরা। এরপরই তৌফিকের পরিবারের সদস্যদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার, খুশিতে আত্মহারা তারা। তিনি খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ২০/১ করিমনগর এলাকার মো. ইকবাল এবং দিল আফরোজ দম্পতির ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

মঙ্গলবার সকালে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ২০/১ করিমনগর এলাকার বাড়ীতে তৌফিকের মা দিল আফরোজ জানান, গত ২৫নভেম্বর বাড়ী থেকে জাহাজে গিয়েছিল ছোট ছেলে তৌফিকুল ইসলাম। গত ১মাস ২ দিন চরম দুশ্চিন্তায় কেটেছে তাদের। তাদের সেই দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। এখন অপেক্ষায় রয়েছেন তৌফিকের ফেরার। একটা মাস প্রতিক্ষার পরে এই আনন্দটা ঈদের আনন্দের মতোই। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। সরকার এবং জাহাজ মালিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এতো তাড়াতাড়ি তারা কাজ করে আমাদের ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসছে। আমাদের তো আনন্দের শেষ নেই বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।

তৌফিকের স্ত্রী জোবাইদা নোমান বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৫টার পর তার সাথে ফোনে কথা হয়েছে। বলেছে চিন্তা করো না, আলহামদুলিল্লাহ আমরা মুক্তি পেয়েছি। তারা এখন ব্যস্ত রয়েছে, বেশি কথা হয়নি। শুধু জানালে ভালো আছি, দোয়া করো। আমরা আরও সুরক্ষিত স্থানে গিয়ে কথা বলবো। তারা দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন৷ সেখানে পৌছে দেশে রওনার দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।

মুক্ত হওয়ার খবরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন। গত একটা মাস আমাদের উপর দিয়ে যে অবস্থা গিয়েছে তা ভাষায় বলার নয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ায় আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। তিনি সরকার ও জাহাজ মালিকপক্ষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তৌফিকুল ইসলামের ভাই খালেদুল ইসলাম খালেদ বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং সকলের দোয়া ছিল। সরকার ও মালিক পক্ষের প্রচেষ্টায় আমার ভাই মুক্ত হয়েছে। আমরা সকলের কাছে চীর কৃতজ্ঞ। এখন আমরা তার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। এই কয়দিন খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম, এখন স্বস্তিতে আছি। আমরা এখন আনন্দিত, খুশি।

গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ##