####
বাগেরহাটে দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতেই পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। শহরের প্রানকেন্দ্র খানজাহান আলী রোড, সাধনার মোড়, রাহাতের মোড়, শহরের শালতলা, পিটিআই মোড়, খারদার স্কুল রোড়, হাসপাতাল সড়ক, পোস্ট অফিসের সামনে, পুরাতন কোর্টসহ জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়।এসব এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ শহরের প্রধান কাঁচা বাজার, মাছ বাজারেও পানিতে প্লাবিত হয়।জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েন শহরবাসী। রবিবার (৩০ জুন ) বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
দুপুরে বাগেরহাট শহর ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ীতে ঘরের সামনে হাঁটু পানি জমে থাকায় উৎকণ্ঠায় পড়েছে শহরবাসী।শহরের এসব পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।
পথচারী হারুন মল্লিক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পানি জমে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় এমন সৃষ্টি হয়েছে। সামনে আরো বৃষ্টি হবে, তাই দ্রুতই পৌর কর্তৃপক্ষকে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
রিকশাচালক খালেক আকন বলেন, শহরের রাস্তাগুলো ভাঙাচুড়া।একদিনে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা-ঘাট বেহাল, অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে থাকে হাঁটু পানি। ইনকাম করতে কষ্ট হয়। বৃষ্টিতে মটর নষ্ট হয়ে যায়। ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল করতে কষ্ট হয়। বৃষ্টির পানির সাথে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
বাগেরহাট পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু জাফর আলী ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিক না থাকার কারণে এমন পানিবদ্ধতার তৈরি হয়েছে। হাঁটু সমান পানির মধ্যেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। আমরা দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান চাই।
বাগেরহাট পৌরসভা সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল হক রিজভী বলেন, শহরে ৫ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। ড্রেনের কাজ শেষে ৫টি খাল খনন কাজ শুরু করা হবে। খালের কাজ শেষ হলে পৌরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। ##