০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ০৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা

####

খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ০৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এছাড়া জ্ঞাত আয়বর্হিভূত এক কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। মিজানুর রহমান জামিনে ছিলেন। তবে ২৩ জানুয়ারি আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন রায় ঘোষণার আগে তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, আসামির দাবি, শেখ পরিবারের রোষানলে তাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে মাইনাস করতেই এ মামলা করা হয়েছে। তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাত্র এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাব।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ০৬আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

sunil Dhash

জনপ্রিয়

নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ০৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা

আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

####

খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ০৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এছাড়া জ্ঞাত আয়বর্হিভূত এক কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। মিজানুর রহমান জামিনে ছিলেন। তবে ২৩ জানুয়ারি আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন রায় ঘোষণার আগে তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, আসামির দাবি, শেখ পরিবারের রোষানলে তাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে মাইনাস করতেই এ মামলা করা হয়েছে। তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাত্র এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাব।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ০৬আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।