####
খুলনা জেলা সরকারীভাবে মাছ উৎপাদনে উদ্বৃত্ত হিসেবে চিহ্নিত হলেও গত বছরে(২০২৩-২৪) চিংড়ীসহ মাছ রপ্তানী কমেছে ৬৭৭ কোটি টাকা। খুলনা থেকে গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দুই হাজার ১৪৬ কোটি টাকার চিংড়ীসহ মাছ ও মাছজাত দ্রব্য বিদেশে রফতানি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানির মাধ্যমে এক হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা এবং ২৫ হাজার মেট্রিক টন অন্যান্য মাছ রফতানির মাধ্যমে আয় হয় চারশত কোটি টাকার অধিক। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। সোমবার দুপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়বেদ পাল এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, খুলনায় ইলিশ আহরণের পাশাপাশি বাগদা ও গলদা চিংড়িসহ ব্যাপকভাবে তেলাপিয়া, কাঁকড়া ও কুচিয়ারও চাষ হয়। তবে কি কারনে মাছ রপ্তানী কমেছে সে বিষয়ে তিনি সঠিক কারন জানাননি।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও জানানো হয়, খুলনায় ২৬ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে মোট মাছের উৎপাদন এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের চাহিদা ৫০ গ্রাম হিসেবে মোট মাছের চাহিদা ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে খুলনায় মাছ উদ্বৃত্ত থেকে যায় ৬৮ মেট্রিক টনের অধিক। কিন্তু এ উদ্বৃত্ত মাছের এক-তৃতীয়াংশ রপ্তানীর বাইরে থেকে যাচ্ছে।
এদিকে, আগামী ৩০জুলাই ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হলেও খুলনায় ৩১ জুলাই সকাল নয়টায় নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া সাড়ে নয়টায় হাদিস পার্ক থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি এবং পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, সফল মৎস্য চাষি, ব্যক্তি, উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।