####
খুলনা অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্টান ও মন্দিরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। মঙ্গলবার রাতে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের কাছে তাার স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক স্মারকলিপি গ্রহন করে খুলনার সকল স¤প্রদায়কে স¤প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আহবান জানিয়ে দু®কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস্ত করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের ন্যায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় বসবাসরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যুগযুগ ধরে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে পারষ্পারিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কয়েকঘন্টা পরেই ১০টি জেলার বিভিন্ন মন্দিরে হামলা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারছি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিজয়ের পর সুযোগ সন্ধানী কিছু চিহিৃত সন্ত্রাসী ও দূর্বৃত্তরা চারিদিকে লুটপাট করে বিজয়কে কুলষিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিশেষ করে খুলনাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের উপর ও তাদের মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। সব সামাজিক দুর্বৃত্বরা যে কোনো সময় সংখ্যালঘু এলাকায় হামলা চালাতে পারে। সংখ্যালঘুদের সার্বিক নিরাপত্তায় সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট খুলনা জেলার আহবায়ক ডাঃ প্রদীপ দেবনাথ, মহানগর আহবায়ক শিক্ষক নিত্যানন্দ মন্ডল, তপন কুমার ঘোষ, সুজনা জলি, কৌশল্যা রায়, পরিতোষ রায়, অমিত মলিক, রাজু দাস, মধাব পাল, শংকর দে লখাই, রতন মলিক, অমিত কুমার দাস, শিব শংকর পাল, গৌর বিশ্বাস, মিঠুন বৈদ্য, দ্বিপজয় নারায়ন, দেবাশিষ দাস ও কমলেশ ঘরামী প্রমুখ। ##