১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ

####

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন পদত্যাগ করেছেন। ২০ আগস্ট(মঙ্গলবার) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির সচিব এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এরআগে দুপুরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভিসি’র সাথে একই সময়ে উপ-উপার্চায্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরীও পদত্যাগ করেছেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ৫টি হলের প্রভোস্টবৃন্দ, সিন্ডিকেটের দুইজন সদস্য, শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকও একই দিনে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগী ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এসব পদত্যাগের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, এদিন সকালে জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোঃ মঈনুল হোসেন, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মোঃ হাসানুজ্জামানসহ ১৩ কর্মকর্তাকে তাদের কর্মস্থল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দপ্তরে বদলীর আদেশ জারি করা হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চাযের এই পদত্যাগকে কোনভাবেই মানতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত এবং সাবেক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর, সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ, আল শাহরিয়ারসহ অন্যরা জানান,  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্যসহ অনেকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীদের বিক্ষোভ-শ্লোগান, অবরুদ্ধ করে রাখা, কার্যালয়ে তালা দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একমাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো ব্যতিক্রম। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও কাজের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা, শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াতে সবাই অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিল। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ককর্চারী ও শির্ক্ষাথীরাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের চোখে ভিসি ছিলেন ক্লিন ইমেজের। তাঁর সাথে উপ-উপার্চায্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারও ছিলেন পরিচ্ছন্ন ইমেজের। তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। বরং উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যেন পদত্যাগ না করেন সেজন্য গত রবিবার(১৮আগষ্ট) শির্ক্ষাথীরা কয়েক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও উপার্চায্য ভবন ঘেরাও করে রাখা হয়। ভিসিসহ উর্ধ্বতন প্রশাসনের কারনেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ বজায় ছিল। তারা উপার্চায্যের পদত্যাগের খবরে মর্মাহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার উপার্চায্যের  পদত্যাগের খবর শুনে অশ্রুসিক্তভাবে বলেন, আমি তো ভাবতেই পরছি না ভিসি স্যার পদত্যাগ করেছেন। ভিসি স্যার ওরিয়েন্টেশনের দিনে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা আমার জীবনে বড় পাওয়া। তাঁর মোটিভেশনাল স্পিচ আমার জীবনের অনেক মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। স্যার ভিসি হয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকলেও ক্লাস নিতেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারহানা ইয়াসমিন আশা বলেন, ভিসি স্যারের পদত্যাগের খবরে আমি মর্মাহত। কারণ, স্যার কোটা আন্দোলনের সময়টা খুবই সুন্দরভাবে শামলিয়েছেন। তিনি ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করতে দেননি। তিনি যা করেছেন তা আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে পারেনি। তিনি সারাদেশে ভিসিদের মধ্যে উদাহরণ। তিনি খুবই ভালো শিক্ষক ও গবেষক। তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি আমি মেনেই নিতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুদ্দিন শাহ্ বলেন, উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। দেশের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম ওবিই কারিকুলা প্রবর্তন, পিএইচডি গবেষণায় গুরুত্ব প্রদানে আমার কর্মমেয়াদে যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তিনি সেক্ষেত্রে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছেন। আইকিউএসিকে অত্যন্ত শক্তিশালী করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়ে গেছেন। আমি তার পদত্যাগ প্রত্যাশা করি না।

তিনি মনে করেন, উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টারই ফসল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মানুষের সীমাহীন আস্থার সৃষ্টি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী ও পরে পরিবর্তীত পরিস্থিতিতেও একমাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসই সুরক্ষিত রয়েছে, যেখানে একটি ঢিলও ছোড়েনি কেউ।

উল্লেখ্য, ২০২১সালের ২৫মে চার বছরের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এ ছাড়া প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর উপ-উপার্চায্য হিসেবে এবং ট্রেজারার হিসেবে প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট যোগদান করেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ

প্রকাশিত সময় : ০৫:১০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

####

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন পদত্যাগ করেছেন। ২০ আগস্ট(মঙ্গলবার) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির সচিব এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এরআগে দুপুরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভিসি’র সাথে একই সময়ে উপ-উপার্চায্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরীও পদত্যাগ করেছেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ৫টি হলের প্রভোস্টবৃন্দ, সিন্ডিকেটের দুইজন সদস্য, শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকও একই দিনে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগী ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এসব পদত্যাগের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, এদিন সকালে জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোঃ মঈনুল হোসেন, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মোঃ হাসানুজ্জামানসহ ১৩ কর্মকর্তাকে তাদের কর্মস্থল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দপ্তরে বদলীর আদেশ জারি করা হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চাযের এই পদত্যাগকে কোনভাবেই মানতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত এবং সাবেক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর, সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ, আল শাহরিয়ারসহ অন্যরা জানান,  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্যসহ অনেকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীদের বিক্ষোভ-শ্লোগান, অবরুদ্ধ করে রাখা, কার্যালয়ে তালা দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একমাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো ব্যতিক্রম। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও কাজের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা, শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াতে সবাই অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিল। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ককর্চারী ও শির্ক্ষাথীরাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের চোখে ভিসি ছিলেন ক্লিন ইমেজের। তাঁর সাথে উপ-উপার্চায্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারও ছিলেন পরিচ্ছন্ন ইমেজের। তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। বরং উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যেন পদত্যাগ না করেন সেজন্য গত রবিবার(১৮আগষ্ট) শির্ক্ষাথীরা কয়েক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও উপার্চায্য ভবন ঘেরাও করে রাখা হয়। ভিসিসহ উর্ধ্বতন প্রশাসনের কারনেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ বজায় ছিল। তারা উপার্চায্যের পদত্যাগের খবরে মর্মাহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার উপার্চায্যের  পদত্যাগের খবর শুনে অশ্রুসিক্তভাবে বলেন, আমি তো ভাবতেই পরছি না ভিসি স্যার পদত্যাগ করেছেন। ভিসি স্যার ওরিয়েন্টেশনের দিনে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা আমার জীবনে বড় পাওয়া। তাঁর মোটিভেশনাল স্পিচ আমার জীবনের অনেক মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। স্যার ভিসি হয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকলেও ক্লাস নিতেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারহানা ইয়াসমিন আশা বলেন, ভিসি স্যারের পদত্যাগের খবরে আমি মর্মাহত। কারণ, স্যার কোটা আন্দোলনের সময়টা খুবই সুন্দরভাবে শামলিয়েছেন। তিনি ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করতে দেননি। তিনি যা করেছেন তা আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে পারেনি। তিনি সারাদেশে ভিসিদের মধ্যে উদাহরণ। তিনি খুবই ভালো শিক্ষক ও গবেষক। তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি আমি মেনেই নিতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুদ্দিন শাহ্ বলেন, উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। দেশের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম ওবিই কারিকুলা প্রবর্তন, পিএইচডি গবেষণায় গুরুত্ব প্রদানে আমার কর্মমেয়াদে যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তিনি সেক্ষেত্রে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছেন। আইকিউএসিকে অত্যন্ত শক্তিশালী করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়ে গেছেন। আমি তার পদত্যাগ প্রত্যাশা করি না।

তিনি মনে করেন, উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টারই ফসল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মানুষের সীমাহীন আস্থার সৃষ্টি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী ও পরে পরিবর্তীত পরিস্থিতিতেও একমাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসই সুরক্ষিত রয়েছে, যেখানে একটি ঢিলও ছোড়েনি কেউ।

উল্লেখ্য, ২০২১সালের ২৫মে চার বছরের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এ ছাড়া প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর উপ-উপার্চায্য হিসেবে এবং ট্রেজারার হিসেবে প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট যোগদান করেন। ##