১০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার দাকোপে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামত করলো গ্রামবাসী

####

খুলনার দাকোপ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ পুন:র্নিমান করলো গ্রামবাসী। শনিবার থেকে শুরু করে রবিবার পানি ‍উন্নয়ন র্বোড ও দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ বাঁধ পুন:র্নিমান সম্ভব হয়েছে। ফলে বাঁধ বেঙ্গে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার দুইদিন পর শংকামুক্ত হয়েছে গ্রামবাসী। এরআগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খোনা গ্রাম তলিয়ে যায়।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পাউবো’র ৩১ নম্বর পোল্ডারের আওতায় দাকোপ উপজেলার খোনা গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে গত শুক্রবার সকাল থেকে বাঁধের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে গ্রামবাসির সহায়তায় মেরামতের কিচুটা কাজ শুরু হয়। তবে দুপুরের জোয়ারে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে হু হু করে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ভেসে যায় আমন ফসল ও মাছ। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারনে বাঁধ ভেঙে গেছে।

স্থানীয় পানখালী ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদ জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বাঁধে ধ্বস দেখে ওই বাঁধ রক্ষার্থে কাজ চলছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢাকী নদীর পানি ঢুকে পড়ে। এ সময় পুরো খোনা গ্রাম প্লাবিত হয়। ভেসে যায় প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির আমন ফসল এবং পুকুর ও ঘেরের মাছ।অনেকের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। ভাটায় বাঁধ আটকানো না গেলে রাতের জোয়ারে আবারও পানি ঢুকবে এবং ভাঙা অংশ বড় হয়ে যাবে। এতে গ্রামবাসির মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরো জানান, শনিবার সকাল থেকে চেষ্টা করার পরেও পানি আটকানো সম্ভব হয়নি। পরে বিকালে ভাটার সময় এলাকাবাসী যৌথভাবে কাজ করে বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী গোপাল কুমার দত্ত জনান, নদীতে ভাটা নামলে বাঁশ ও জিও টিউবের মাধ্যমে পাইলিং করে মাটি দিয়ে বাঁধ আটকানোর কাজ করা হয়। রবিবার ভোরের পরবর্তী জোয়ারে আগে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়েছে।

খোনা গ্রামের বাসিন্দা মো. বাচু ফকির, আকরাম শেখ, মো. হাসান শেখ বলেন, কয়েকদিন ধরে ঢাকী নদীতে ধসে যাওয়া খোনা গ্রামের বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানিতে শুক্রবার দুপুরে মোল্লা বাড়ির সামনে থেকে ভেঙে গিয়ে পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়। ২ দিন পর এখন বাঁধা হয়েছে এবং পানিও কমতে শুরু করেছে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, উচ্চ জোয়ারের কারণে ঢাকী নদীর পাশে খোনা গ্রামের উপকূল রক্ষার বেড়িবাঁধের প্রায় ৩০ মিটার মতো বাঁধ ভেঙে ওই এলাকা প্লাবিত হয়। তবে জোয়ার-ভাটার কারণে ধীরে ধীরে ভাঙা অংশ বড় হচ্ছিলো।  গত সোমবার হঠাৎ ধস নামলে বাঁধ রক্ষার্থে তাৎক্ষনিক মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে মাটি ও জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। তবে জোয়ারের পানিবৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বাঁধটি রক্ষা করা যায়নি। পরে ভাটার সময় গ্রামবাসীর সহযোগীতায় পুরোদমে কাজ করে বাঁধ বাধা হয়েছে। এখন বাঁধ মোটামুটি আশংকামুক্ত অবস্থায় আছে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনার দাকোপে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামত করলো গ্রামবাসী

প্রকাশিত সময় : ১১:৪১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

খুলনার দাকোপ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ পুন:র্নিমান করলো গ্রামবাসী। শনিবার থেকে শুরু করে রবিবার পানি ‍উন্নয়ন র্বোড ও দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ বাঁধ পুন:র্নিমান সম্ভব হয়েছে। ফলে বাঁধ বেঙ্গে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার দুইদিন পর শংকামুক্ত হয়েছে গ্রামবাসী। এরআগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খোনা গ্রাম তলিয়ে যায়।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পাউবো’র ৩১ নম্বর পোল্ডারের আওতায় দাকোপ উপজেলার খোনা গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে গত শুক্রবার সকাল থেকে বাঁধের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে গ্রামবাসির সহায়তায় মেরামতের কিচুটা কাজ শুরু হয়। তবে দুপুরের জোয়ারে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে হু হু করে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ভেসে যায় আমন ফসল ও মাছ। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারনে বাঁধ ভেঙে গেছে।

স্থানীয় পানখালী ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদ জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বাঁধে ধ্বস দেখে ওই বাঁধ রক্ষার্থে কাজ চলছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢাকী নদীর পানি ঢুকে পড়ে। এ সময় পুরো খোনা গ্রাম প্লাবিত হয়। ভেসে যায় প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির আমন ফসল এবং পুকুর ও ঘেরের মাছ।অনেকের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। ভাটায় বাঁধ আটকানো না গেলে রাতের জোয়ারে আবারও পানি ঢুকবে এবং ভাঙা অংশ বড় হয়ে যাবে। এতে গ্রামবাসির মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরো জানান, শনিবার সকাল থেকে চেষ্টা করার পরেও পানি আটকানো সম্ভব হয়নি। পরে বিকালে ভাটার সময় এলাকাবাসী যৌথভাবে কাজ করে বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী গোপাল কুমার দত্ত জনান, নদীতে ভাটা নামলে বাঁশ ও জিও টিউবের মাধ্যমে পাইলিং করে মাটি দিয়ে বাঁধ আটকানোর কাজ করা হয়। রবিবার ভোরের পরবর্তী জোয়ারে আগে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়েছে।

খোনা গ্রামের বাসিন্দা মো. বাচু ফকির, আকরাম শেখ, মো. হাসান শেখ বলেন, কয়েকদিন ধরে ঢাকী নদীতে ধসে যাওয়া খোনা গ্রামের বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানিতে শুক্রবার দুপুরে মোল্লা বাড়ির সামনে থেকে ভেঙে গিয়ে পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়। ২ দিন পর এখন বাঁধা হয়েছে এবং পানিও কমতে শুরু করেছে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, উচ্চ জোয়ারের কারণে ঢাকী নদীর পাশে খোনা গ্রামের উপকূল রক্ষার বেড়িবাঁধের প্রায় ৩০ মিটার মতো বাঁধ ভেঙে ওই এলাকা প্লাবিত হয়। তবে জোয়ার-ভাটার কারণে ধীরে ধীরে ভাঙা অংশ বড় হচ্ছিলো।  গত সোমবার হঠাৎ ধস নামলে বাঁধ রক্ষার্থে তাৎক্ষনিক মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে মাটি ও জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। তবে জোয়ারের পানিবৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বাঁধটি রক্ষা করা যায়নি। পরে ভাটার সময় গ্রামবাসীর সহযোগীতায় পুরোদমে কাজ করে বাঁধ বাধা হয়েছে। এখন বাঁধ মোটামুটি আশংকামুক্ত অবস্থায় আছে। ##