১০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীর খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজায় কেডিএ-এর ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা বাতিলের দাবী

###   খুলনায় নিরালা-২ নামে নগরীর খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজায় কেডিএ একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার প্রতিবাদে ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবী জানিয়েছে ওই এলাকার জমির মালিকরা। শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজায় কেডিএ-এর উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জনভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরে ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ এ দাবী জানান।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজার ভূমিরক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী, ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সেলিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। ভূমি রক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী বলেন, বিগত ২৪ আগস্ট অনলাইন পত্রিকা খুলনা গেজেট ও ২৫আগস্ট দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি উল্লেখিত মৌজা সমূহে কেডিএ কর্তৃক নিরালা-২ নামে একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে। কেডিএ’র ওয়েবসাইট অনুযায়ী সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা ১ম পর্যায় ১৯৬৭-১৯৭৯ সনে, সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা ২য় পর্যায় ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৪ সনে, সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা(স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য) ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সনে, নিরালা আবাসিক এলাকা ১৯৯৪-১৯৯৭ সনে, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা ১৯৬৬-১৯৮২ সনে, শিরোমণি আবাসিক এলাকা(স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য) ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সনে, মিরেরডাঙ্গা আবাসিক এলাকা ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সনে, নিবিড় আবাসিক এলাকা ২০০৪ থেকে ২০০৭ সনে, দৌলতপুর আবাসিক এলাকা ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সনে এবং অতি সম্প্রতি শেষ হওয়া ময়ুরী আবাসিক এলাকা ২০১৮ থেকে ২০২২সালে গড়ে তোলা হয়েছে। উপরোক্ত আবাসিক এলাকা সমূহের মধ্যে সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা ১ম পর্যায়ে গড়ে উঠতে ১৩ বছর, সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা ২য় পর্যায় গড়ে উঠতে ৮ বছর ও মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা গড়ে উঠতে ১৭বছর সময় লেগেছে। আবাসিক এলাকা সমূহের মধ্যে সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা(স্বপ্ল আয়ের লোকদের জন্য) প্রকল্পে প্রায় ৪০ শতাংশ, নিরালা আবাসিক এলাকা প্রকল্পে প্রায় ২৫শতাংশ, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা প্রকল্পে প্রায় ৩০ শতাংশ, এছাড়া শিরোমণি, নিবিড়, দৌলতপুর ও মিরের ডাঙা আবাসিক এলাকা সমূহে প্রায় ৫০শতাংশের বেশি প্লট ফাঁকা পড়ে আছে। আরও উল্লেখ্য যে, ময়ূরী আবাসিক এলাকা প্রকল্পে একটি বাড়িও নির্মিত হয় নাই। যা থেকে ধারণা পাওয়া যায় খুলনা শহরে আবাসন সংকট প্রকট নয়। এর পরেও কেডিএ কর্তৃক খোলাবাড়িয়া, ডুবি ও হরিণটানা মৌজায় নিরালা আবাসিক এলাকা-২ নামে একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা অত্র মৌজা সমূহে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষদের গৃহহীন করারই নামান্তর। অত্র এলাকায় আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হলে এ অঞ্চলে বসবাসরত ২/৩ ও ৪ কাঠা জমির মালিকগণ প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের অর্থে বর্তমানে বিদ্যমান পরিবেশে আর কোন মাথা গোঁজার ঠাঁই গড়তে না পেরে গৃহহীন হয়ে পড়বে। যার একটি ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব অত্র এলাকার সমাজ জীবনে পড়তে বাধ্য হবে। সেকারণে কেডিএ-এর এই উদ্যোগকে কেবলমাত্র নিজস্ব ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া সেবামূলক বা অন্য কোন বিষয় হিসাবে গন্য করা যায় না বলে জানান খোলা বাড়িয়া ও ডুবি মৌজার ভূমিরক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী। তারা দ্রুত কেডিএ-এর মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার এ উদ্যোগ বাতিল করার দাবীও জানান। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

নগরীর খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজায় কেডিএ-এর ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা বাতিলের দাবী

প্রকাশিত সময় : ০২:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

###   খুলনায় নিরালা-২ নামে নগরীর খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজায় কেডিএ একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার প্রতিবাদে ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবী জানিয়েছে ওই এলাকার জমির মালিকরা। শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজায় কেডিএ-এর উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জনভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরে ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ এ দাবী জানান।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজার ভূমিরক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী, ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সেলিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। ভূমি রক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী বলেন, বিগত ২৪ আগস্ট অনলাইন পত্রিকা খুলনা গেজেট ও ২৫আগস্ট দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি উল্লেখিত মৌজা সমূহে কেডিএ কর্তৃক নিরালা-২ নামে একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে। কেডিএ’র ওয়েবসাইট অনুযায়ী সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা ১ম পর্যায় ১৯৬৭-১৯৭৯ সনে, সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা ২য় পর্যায় ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৪ সনে, সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা(স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য) ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সনে, নিরালা আবাসিক এলাকা ১৯৯৪-১৯৯৭ সনে, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা ১৯৬৬-১৯৮২ সনে, শিরোমণি আবাসিক এলাকা(স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য) ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সনে, মিরেরডাঙ্গা আবাসিক এলাকা ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সনে, নিবিড় আবাসিক এলাকা ২০০৪ থেকে ২০০৭ সনে, দৌলতপুর আবাসিক এলাকা ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সনে এবং অতি সম্প্রতি শেষ হওয়া ময়ুরী আবাসিক এলাকা ২০১৮ থেকে ২০২২সালে গড়ে তোলা হয়েছে। উপরোক্ত আবাসিক এলাকা সমূহের মধ্যে সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা ১ম পর্যায়ে গড়ে উঠতে ১৩ বছর, সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা ২য় পর্যায় গড়ে উঠতে ৮ বছর ও মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা গড়ে উঠতে ১৭বছর সময় লেগেছে। আবাসিক এলাকা সমূহের মধ্যে সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা(স্বপ্ল আয়ের লোকদের জন্য) প্রকল্পে প্রায় ৪০ শতাংশ, নিরালা আবাসিক এলাকা প্রকল্পে প্রায় ২৫শতাংশ, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা প্রকল্পে প্রায় ৩০ শতাংশ, এছাড়া শিরোমণি, নিবিড়, দৌলতপুর ও মিরের ডাঙা আবাসিক এলাকা সমূহে প্রায় ৫০শতাংশের বেশি প্লট ফাঁকা পড়ে আছে। আরও উল্লেখ্য যে, ময়ূরী আবাসিক এলাকা প্রকল্পে একটি বাড়িও নির্মিত হয় নাই। যা থেকে ধারণা পাওয়া যায় খুলনা শহরে আবাসন সংকট প্রকট নয়। এর পরেও কেডিএ কর্তৃক খোলাবাড়িয়া, ডুবি ও হরিণটানা মৌজায় নিরালা আবাসিক এলাকা-২ নামে একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা অত্র মৌজা সমূহে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষদের গৃহহীন করারই নামান্তর। অত্র এলাকায় আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হলে এ অঞ্চলে বসবাসরত ২/৩ ও ৪ কাঠা জমির মালিকগণ প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের অর্থে বর্তমানে বিদ্যমান পরিবেশে আর কোন মাথা গোঁজার ঠাঁই গড়তে না পেরে গৃহহীন হয়ে পড়বে। যার একটি ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব অত্র এলাকার সমাজ জীবনে পড়তে বাধ্য হবে। সেকারণে কেডিএ-এর এই উদ্যোগকে কেবলমাত্র নিজস্ব ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া সেবামূলক বা অন্য কোন বিষয় হিসাবে গন্য করা যায় না বলে জানান খোলা বাড়িয়া ও ডুবি মৌজার ভূমিরক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদী। তারা দ্রুত কেডিএ-এর মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার এ উদ্যোগ বাতিল করার দাবীও জানান। ##