মোঃ আবু বকর সিদ্দিক মোংলা বাগেরহাট :
দেশের অন্যতম সমুদ্র বন্দর মোংলার অনেক ভবিষ্যৎ আছে, কিন্তু সেই ভবিষ্যতের জন্য এই বন্দরকে বিগত দিনে যেভাবে তৈরি করার কথা ছিলো সেভাবে তৈরি করা হয়নি উল্লেখ করে নৌ পরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন-এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নেই।চায়না ও ভারতের অর্থায়নে জি টু জি’র আওতায় মোংলা বন্দরের সাথে হওয়া চুক্তি বাস্তবায়ন এবং প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে এই বন্দরের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা আরো বলেন,এ বান্দরকে আধুনিক এবং স্মার্ট বন্দর করা সম্ভব । এখানে রয়েছে অপার সম্ভাবনা । যা কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরো গতিশীল ও শক্তিশালী করা সম্ভব ।
মোংলা বন্দরে প্রথম বারের মতো পরিদর্শনে এসে বুধবার ৬ নভেম্বর (২০২৪) সকাল ১১টায় মোংলা বন্দর জেটিতে উপদেষ্টা ড.এম সাখায়াত হোসেন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
একই সাথে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে কন্টেইনার টার্মিনাল ও ইয়ার্ডসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে।এর ফলে চট্রগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমবে এবং মানসম্মত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভারত, নেপাল ও ভূটানের জন্য এই বন্দরটি ব্যবহারের উপযোগী হবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা এ সময় খুলনা ও যশোরের বন্ধ ৫টি পাটকল চালুর জন্য চায়না ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ইজারা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
এর আগে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহিন রহমানের সভাপতিত্বে বন্দরের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই আলোচনা সভায় নৌ পরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সহ বন্দরের সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং কর্মকর্তাদের সাথে বন্দরের ড্রেজিং ও উন্নয়ন প্রকল্প, জাহাজ, কন্টেইনার এবং গাড়ি আমদানির বাৎষরিক হিসাব নিয়ে মত বিনিময় করেন । মতবিনিময় শেষে তিনি বন্দরের পশুর চ্যানেল ও জেটি এলাকা পরিদর্শন করেন । #