০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘোষণা
খুলনায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
- খুলনা প্রতিনিধি।।
- প্রকাশিত সময় : ০১:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
- ৩৫ পড়েছেন
### খুলনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়। ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে সার্কিট হাউজ মাঠে স্থাপিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কেএমপি, রেঞ্জ ডিআইজি’র দপ্তর, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে সার্কিট হাউজ ময়দান পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। পরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রাজধানী ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। একই স্থানে আলোচনা সভা, কেক কাটা, শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সাহসী নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধুর সন্তান। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অবদান রাখতে পারতেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও চক্রান্তকারীদের ঘৃণ্য চক্রান্তে শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে নির্মমভাবে নিহত হন। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সন্তানকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানানো পিতামাতার দায়িত্ব। শিশুদের বিকৃত ইতিহাস শেখাবেন না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক একজন, তিনি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। শিশুদের জানাতে হবে কেন আমরা পরাধীন ছিলাম, কিভাবে আমরা স্বাধীন হলাম এবং কিভাবে বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছেন বলেই এদেশের শিশুরা আজ নিশ্চিন্তে খেলতে পারছে, হাসতে পারছে ও পড়াশুনা করতে পারছে। বিভাগীয় কমিশনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীনসহ স্বাধীনতার ইতিহাস বিষয়ক বই পড়তে হবে। সত্যকে চিনবার চেষ্টা করবে, কারণ সত্যকে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। দেশের জন্য স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের চরম আত্মত্যাগকে বিশ্বাস করে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বেঁচে থাকবে তাঁর পরিবারসহ শিশু রাসেলের আত্মত্যাগের মাধ্যমে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হবার সকল অপপ্রয়াস রুখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
Tag :
জনপ্রিয়