
####
খুলনায় মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনাসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদী মশারী মিছিল কর্মসূচী পালন করেছে খুলনা সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। শনিবার দুপুরে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে প্রতিবাদী মশারী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদী মিছিলটি পিকচার প্যালেস মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আ.ফ.ম মহসীনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাডঃ মোঃ বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ-জামান, গণ সংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, নাগরিক নেতা মিনা আজিজুর রহমান, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, নিরাপদ সড়ক চাই(নিসচা)র মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, জাসদ নেতা রেজাউল করিম, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, সিপিবি নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, কবি ও সাংবাদিক আবু আসলাম বাবু, কবি ও গবেষক সৈয়দ আলী হাকিম, কবি নুরুন নাহার হীরা, কবি তৈফুন নাহার, সমাজ সেবক মীর কবির হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা টিইউসি নেতা এস এম চন্দন, কেএইচ ফাউন্ডেশনের খ.ম শাহীন হোসেন, এ্যাড মেহেদী হাসান, সাংবাদিক সংগঠক মোসলেহ উদ্দীন তুহিন, চিত্র শিল্পী মিলন বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ, মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা মহানগরীর মশা নিধনে খুলনা সিটি কর্পোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মশার উপদ্রব স্থায়ীরূপ লাভ করলেও সাম্প্রতিক সময়ে এ সঙ্কট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। যে কারণে দিনে-রাতে সবসময় মশার উপদ্রবে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়াসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কিছুদিন আগেও ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া খুলনায় বলা চলে মহামারী আকার ধারণ করে। ফলশ্রæতিতে অনেক মানুষই মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্তরা একটি স্থায়ী অসুস্থ জীবন যাপন করছেন। মাঝে মধ্যে নগরীর সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশে পাশে কিছু ঔষধ ছিটালেও মহানগরীর বিস্তির্ণ এলাকা এর আওতায় আসেনি। বর্তমানে এ কার্যক্রমও সম্পূর্ণ বন্ধ বলেই আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। প্রয়োজন ড্রেন, খাল, পুকুর, ডোবা, জলাশয়, নর্দমা, ঝোঁপ-ঝাঁড় ইত্যাদি নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মানসম্মত ভেজাল বিহীন কীটনাশক পরিকল্পিত উপায়ে ছিটানো। এক্ষেত্রে মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণপূর্বক উহা ধ্বংস করা এবং লার্ভা বিনষ্টে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় নগরবাসীকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেয়া হয় সমাবেশ থেকে। ##