০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেরখাদায় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে শিক্ষকদের নাস্তার টাকা কর্মকর্তার পকেটে

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৯:১১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৮০ পড়েছেন

তেরখাদা (খুলনা) প্রতিনিধি : তেরখাদা উপজেলায় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে নাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষাকদের অভিযোগ, প্রতিজনের জন্য নাস্তায় ৮০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও নাম মাত্র নাস্তা দিয়ে বাকি টাকা পকেটে ভরছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। শিক্ষাকদের অভিযোগ অনুযায়ী এ কর্মকর্তা দিনে নাস্তার অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
তথ্যমতে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে গত শুক্রবার । উপজেলা সদরের সরকারি ইখড়ি কাটেংগা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা পর্যায়ের ৪৬৮ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ২৭ জন প্রশিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন। গত শুক্র ও শনিবার এ দুদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আগামী শুক্র, শনি ও রবিবার এ প্রশিক্ষণ চলবে। প্রতিদিন অংশগ্রহণকারীদের জন্য ৮০ টাকা করে নাস্তার টাকা বরাদ্দ আছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুনেছি আমাদের নাস্তার জন্য মাথাপিছু ৮০ টাকা বরাদ্দ আছে। শুক্রবার সকালে নাস্তাায় আমাদের একটা করে ৫ টাকার সিংগাড়া, ১০ টাকার একটি মিষ্টি, ১০ টাকার ড্রাইকেট, ১০ টাকার বিস্কুট ও ১৫ টাকার ১টি পানি দিয়েছে। শনিবার ও সমমূল্যের একই নাস্তা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অনেক শিক্ষকরা সমালোচনা করলে শিক্ষা কর্মকর্তা সামনের প্রশিক্ষণে ভালো নাস্তা দেওয়ার কথা বলেন।
হিসেব করে দেখা গেছে, তেরখাদায় প্রতিদিন ৪৬৮ জন শিক্ষক ও ২৭ জন প্রশিক্ষকের নাস্তা বাবদ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১০ শতাংশ ভ্যাট বাদ দিয়ে যা দাঁড়ায় ৩৫৬৪০ টাকা। শিক্ষকদের অভিযোগ অনুযায়ী প্রতিদিন তাঁদের নাস্তা বাবদ ২৪৭৫০ টাকা ব্যয় করছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর। সে হিসেবে ভ্যাট বাদে দিনে ১০ হাজার ৮৯০ টাকা পকেটে ভরছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তেরখাদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের ব্যবহৃত (০১৭০১৭০০০০০) মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খো:রুহুল আমিন বলেন, এটা চালাচ্ছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

তেরখাদায় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে শিক্ষকদের নাস্তার টাকা কর্মকর্তার পকেটে

প্রকাশিত সময় : ০৯:১১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

তেরখাদা (খুলনা) প্রতিনিধি : তেরখাদা উপজেলায় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে নাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষাকদের অভিযোগ, প্রতিজনের জন্য নাস্তায় ৮০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও নাম মাত্র নাস্তা দিয়ে বাকি টাকা পকেটে ভরছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। শিক্ষাকদের অভিযোগ অনুযায়ী এ কর্মকর্তা দিনে নাস্তার অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
তথ্যমতে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে গত শুক্রবার । উপজেলা সদরের সরকারি ইখড়ি কাটেংগা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা পর্যায়ের ৪৬৮ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ২৭ জন প্রশিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন। গত শুক্র ও শনিবার এ দুদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আগামী শুক্র, শনি ও রবিবার এ প্রশিক্ষণ চলবে। প্রতিদিন অংশগ্রহণকারীদের জন্য ৮০ টাকা করে নাস্তার টাকা বরাদ্দ আছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুনেছি আমাদের নাস্তার জন্য মাথাপিছু ৮০ টাকা বরাদ্দ আছে। শুক্রবার সকালে নাস্তাায় আমাদের একটা করে ৫ টাকার সিংগাড়া, ১০ টাকার একটি মিষ্টি, ১০ টাকার ড্রাইকেট, ১০ টাকার বিস্কুট ও ১৫ টাকার ১টি পানি দিয়েছে। শনিবার ও সমমূল্যের একই নাস্তা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অনেক শিক্ষকরা সমালোচনা করলে শিক্ষা কর্মকর্তা সামনের প্রশিক্ষণে ভালো নাস্তা দেওয়ার কথা বলেন।
হিসেব করে দেখা গেছে, তেরখাদায় প্রতিদিন ৪৬৮ জন শিক্ষক ও ২৭ জন প্রশিক্ষকের নাস্তা বাবদ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১০ শতাংশ ভ্যাট বাদ দিয়ে যা দাঁড়ায় ৩৫৬৪০ টাকা। শিক্ষকদের অভিযোগ অনুযায়ী প্রতিদিন তাঁদের নাস্তা বাবদ ২৪৭৫০ টাকা ব্যয় করছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর। সে হিসেবে ভ্যাট বাদে দিনে ১০ হাজার ৮৯০ টাকা পকেটে ভরছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তেরখাদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের ব্যবহৃত (০১৭০১৭০০০০০) মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খো:রুহুল আমিন বলেন, এটা চালাচ্ছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।