০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় পিবিআই পরিদর্শক মাসুদের বিরুদ্ধে মামলায় বাদি পক্ষের আপিল আদালতে খারিজ

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৬:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৫৭৫ পড়েছেন

খুলনা অফিসঃ খুলনার আলোচিত পিবিআই পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদির নারাজি খারিজ করেছে আদালত। খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এটা খারিজ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কথিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাটি ছিল মিথ্যা। মামলার বাদী ডুমুরিয়ার বাসিন্দা আমজাদ শেখ এবং কেএমপির খুলনা থানায় তৎকালীন এবং বর্তমানে খালিশপুর থানায় কর্মরত এএসআই মো: মিরান শেখ পরষ্পর যোগসাজসে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলাটি দায়ের করেছেন বলে মামলাটির চুড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসাথে এএসআই মিরানের কাছে পিবিআই পরিদর্শক মাসুদের পাওনা ১৬ লাখ টাকা না দেয়ার লক্ষ্যেই এজাহারে বর্ণিত ঘটনা সাজিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয় বলেও তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মানের কথা উল্লেখ করা হয়। কেএমপির খুলনা থানার এসআই লতিফা রহমান পপি ও এসআই নান্নু মন্ডল বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নান্নু মন্ডল গত ১২ অক্টোবর স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদন জমা দেয় আদালতে। সেই রিপোর্টেও বিষয়ে আদালতে নারাজি দেয় বাদি। গতকাল শুনানী শেষে বাদীর নারাজি খারিজ করে দেয় আদালত।

আদালতে দেয়া চুড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খুলনা থানার গত বছরের ১৫ মে’র ১৫ নম্বর মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর উক্ত দু’তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গোপনে ও প্রকাশ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। মামলার বাদী ও সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ, ভিকটিমের জবানবন্দি, ডাক্তারী পরীক্ষার প্রতিবেদন, ডিএনএ টেষ্ট ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভিকটিমের দেয়া বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তাছাড়া গত পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ভিকটিম পারভীন খাতুনের সাথে এএসআই মো: মিরান শেখের সাথে মোট দু’হাজার ছয় বার মোবাইলে কথা হয়েছে। এছাড়া মামলার আগের তিনটি দিন তারা দু’জন নগরীর দৌলতপুরের একটি বাসায় রাতে অবস্থান করেন এমনও প্রমান মেলে।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

ডুমুরিয়ায় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

খুলনায় পিবিআই পরিদর্শক মাসুদের বিরুদ্ধে মামলায় বাদি পক্ষের আপিল আদালতে খারিজ

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

খুলনা অফিসঃ খুলনার আলোচিত পিবিআই পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদির নারাজি খারিজ করেছে আদালত। খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এটা খারিজ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কথিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাটি ছিল মিথ্যা। মামলার বাদী ডুমুরিয়ার বাসিন্দা আমজাদ শেখ এবং কেএমপির খুলনা থানায় তৎকালীন এবং বর্তমানে খালিশপুর থানায় কর্মরত এএসআই মো: মিরান শেখ পরষ্পর যোগসাজসে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলাটি দায়ের করেছেন বলে মামলাটির চুড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসাথে এএসআই মিরানের কাছে পিবিআই পরিদর্শক মাসুদের পাওনা ১৬ লাখ টাকা না দেয়ার লক্ষ্যেই এজাহারে বর্ণিত ঘটনা সাজিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয় বলেও তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মানের কথা উল্লেখ করা হয়। কেএমপির খুলনা থানার এসআই লতিফা রহমান পপি ও এসআই নান্নু মন্ডল বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নান্নু মন্ডল গত ১২ অক্টোবর স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদন জমা দেয় আদালতে। সেই রিপোর্টেও বিষয়ে আদালতে নারাজি দেয় বাদি। গতকাল শুনানী শেষে বাদীর নারাজি খারিজ করে দেয় আদালত।

আদালতে দেয়া চুড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খুলনা থানার গত বছরের ১৫ মে’র ১৫ নম্বর মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর উক্ত দু’তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গোপনে ও প্রকাশ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। মামলার বাদী ও সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ, ভিকটিমের জবানবন্দি, ডাক্তারী পরীক্ষার প্রতিবেদন, ডিএনএ টেষ্ট ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভিকটিমের দেয়া বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তাছাড়া গত পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ভিকটিম পারভীন খাতুনের সাথে এএসআই মো: মিরান শেখের সাথে মোট দু’হাজার ছয় বার মোবাইলে কথা হয়েছে। এছাড়া মামলার আগের তিনটি দিন তারা দু’জন নগরীর দৌলতপুরের একটি বাসায় রাতে অবস্থান করেন এমনও প্রমান মেলে।##