১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মানছে না নূণ্যতম নীতিমালা;

পটুয়াখলীতে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালীদের অর্ধশতাধিক অবৈধ ইটভাটা : পুড়ছে সুবজ বনায়ন-বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুকি

###    পটুয়াখালীতে গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন শাহসহ প্রভাবশালীদের অর্ধশতাধিক অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা সবুজ বেষ্টনী। এসব ইট ভাটাগুলোতে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে লাইসেন্স বিহীন একাধিক ড্রাম চুল্লী দিয়ে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই চলতি মৌসুমে এ সকল ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন মালিক কতৃপক্ষ। উচ্চ আদালত, জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কয়লা পোড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও অধিকাংশ ভাটায় বন উজার করে গাছ কেটে কাঠের স্তুপে পরিনত হয়েছে এসব ইটভাটায়। বেশিরভাগ ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী জেলার সংস্থা গুলো।আবার জেলা প্রশাসনের এলআর ফান্ডে আর্থিক দন্ড দিয়েও র্নিদ্বিধায় নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করছেন মালিক পক্ষরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাঠ পোড়ানো প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে জেলার অর্ধ শতাধিক ইট ভাটায়। এ বিষয়ে পটুয়াখালী নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন-চলতি মৌসুমে পটুয়াখালীর কোনো ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হবেনা জেলা প্রশাসন থেকে মালিকদের এমন নিদের্শনা ইতিমধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সুত্রে বলছে, জেলায় বৈধ-অবৈধ অন্তত ৭৪ টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্য ২৩ টি ইটভাটা অনুমোদিত এবং ১৬টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন-জেলায় ৭২টি বৈধ-অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৪৬টি ইটভাটাকে ছারপত্র দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। এদিকে নির্ভরযোগ্য সুত্র বলছে, ছোট-বড় এবং বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে অন্তত শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসকল ইটভাটা র্নিমানের প্রথমধাপে মানা হয় না নূণ্যতম নীতিমালা। কৃষি জমি বিনষ্ট ও ক্ষমতা বানদের কাছে নিরিহদের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা গুলো। আবার যত্রতত্র বসত-বাড়ী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে রয়েছে এমন অনেক ইটভাটার রমরমা বাণিজ্য। ইটভাটার অধিকাংশ মালিক সরকার দলীয় এবং প্রভাবশালীর দখলে থাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলো ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন অনেক ভুক্তভোগীরা বলেন-২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনাললের “ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইনের” সিকিভাগও মানছেনা ভাটার মালিকরা। এদিকে প্রতিবছর জেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ ভাটার মালিকরা আর্থিক দন্ড দিচ্ছেন। অভিযুক্ত ও নিষিদ্ধ ইটভাটার নাম পরিবর্তন করে প্রতিবছর চালু করা হচ্ছে এসব ইটভাটা।

অভিযোগ ও সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার লাউকাঠি ও লোহালিয়া, সদর কালিকাপুর ইউনিয়ন, ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন, মাটিভাংঙ্গা, বাউফল, গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী, গলাচিপা উপজেলার, গজালিয়া ইউনিয়ন, কলাপাড়া, দশমিনা, মরিচবুনিয়া, ছাড়াও ঈসাদি গ্রামের ড্রাম চুম্বনি দিয়ে নদীর তীরে গড়ে ওঠা একাধিক ইটভাটায় কোনো কয়লার নামগন্ধ পর্যন্ত নেই এসব ইটভাটায়। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রলার যোগে বন উজার করে কাঠ এনে স্তুপ করছেন ইট ভাটা গুলোতে।এসব এলাকায় এলটিএন ব্রীকস্, ব্রিকস,সুচনা ব্রিকস,বিএন ব্রিকস,রুপালী ব্রিকস,এফখান ব্রিকস,বুশরা ব্রিকস,খাঁন ব্রীকস,মায়ের দোয়া ব্রীকস্ গুলোতে রয়েছে কাঠের স্তুপ। ইতোমধ্য এলটিএন ও সুচনা ইট ভাটা কাঠ দিয়ে পোড়ানো শুরু করেছে। এছাড়াও পাকার মাথা শারিক খালী মুন ব্রিকস, ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের রয়েছে রুশদা ব্রিকস এবং গলাচিপা উপজেলার নলুয়া বাগী ইউনিয়নে মায়ের দোয়া ব্রীকস্ ইতিমধ্যে সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অত্র এলাকার স্কুল প্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন এ ইটভাটায় ড্রাম চিমনি প্রস্তুত করে ইট প্রস্তুতের ব্যবস্থা চলছে।এমনকি কলাপাড়া উপজেলার একটি ইটভাটায় ড্রাম চুম্নী ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা চালু হয়েছে ইতিমধ্যে যাদের বৈধ কোন কাগজ পত্র নেই এমনটাই দেখা যায়।

ইটভাটা নিয়ে বিভিন্ন স্থানের ভুক্তভোগীরা বলেন, বাউফল উপজেলার বগাবন্দরের ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন লোকালয়ের স্থাপন করা হাওলাদার ব্রিকসের নাম পরিবর্তন করে এ মৌসুমে আবিদ আমীন নামে চালু করেছেন এবং তারই পাশে এমবিসি নামে আরো একটি অবৈধ ইটভাটা তৈরি করে কাঠ দ্বারা পোড়াচ্ছেন। এছাড়াও আদাবাড়িয়া মহাশ্রাদ্ধি গ্রামে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে রয়েছে এইচ.বি.সি ও এমবিবি ব্রিকস নামে আরো দুটি অবৈধ ইটভাটা বন উজার করে পোড়ানো হচ্ছে ইট। দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে অস্থায়ীভাবে ভাইভাই নামে একটি ইটভাটা প্রতিবছর ইটমৌসুমে অবৈধ বাণিজ্য করছেন তারা। পাশাপাশি দশমিনা উপজেলার তেতুলিয়া নদীর পাড়ে অবৈধ ভাবে আরো একটি ইটভাটা এয়েছে।এদিকে দুমকী উপজেলায় অবৈধ জয়েন্ট ব্রিকস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ বছর নাম পরিবর্তন করে দুমকী ব্রিকস নামে চালু করেছেন। ইতিমধ্যে সরেজমিন ঘুড়ে দেখা মেলে কাঠের স্তুপ তৈরি করে পোড়ানো হচ্ছে ইট।

এলটিএন ব্রিকসের মালিক সফিকুর রহমান চানসহ একাধিক ইটভাটার মালিক জানান, কোনো মালিক স্বেচ্ছায় কাঠ ব্যবহার করছে না। এককভাবে কাঠ নয় কয়লাও ব্যবহার হচ্ছে। তাছারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কয়লা এবং ডলারে যথেষ্ট ঘাটতি দেখা দিয়েছে কয়লার দাম বেড়েছে টন প্রতি দিগুণ যথাসময় পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান একাধিক ইটভাটার মালিকপক্ষ।

এ ব্যপারে গলাচিপা উপজেলার নলুয়া বাগী ইউনিয়নের ঢালীবাড়ী স্কুল সংলগ্ন ইটভাটা মায়ের দোয়া ব্রীকসের মালিক মো,বশির তালুকদারের মুঠোফোন( ০১৭৪৬-৬৫৪৩৬১)এ ফোন করলে তিনি জানান, এ বছর গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন শাহ ইটভাটাটি পরিচালনা করছে। কাঠ পোড়ানোর বিষয় জানতে চাইলে শাহীন শাহ জানান, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে কাগজ পত্র জমা দিয়েছি ইতিমধ্য। বর্তমানে কয়লার দাম বৃদ্ধি তাই কাঠ পোড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। ##

 

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মানছে না নূণ্যতম নীতিমালা;

পটুয়াখলীতে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালীদের অর্ধশতাধিক অবৈধ ইটভাটা : পুড়ছে সুবজ বনায়ন-বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুকি

প্রকাশিত সময় : ০৭:০৯:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

###    পটুয়াখালীতে গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন শাহসহ প্রভাবশালীদের অর্ধশতাধিক অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা সবুজ বেষ্টনী। এসব ইট ভাটাগুলোতে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে লাইসেন্স বিহীন একাধিক ড্রাম চুল্লী দিয়ে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই চলতি মৌসুমে এ সকল ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন মালিক কতৃপক্ষ। উচ্চ আদালত, জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কয়লা পোড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও অধিকাংশ ভাটায় বন উজার করে গাছ কেটে কাঠের স্তুপে পরিনত হয়েছে এসব ইটভাটায়। বেশিরভাগ ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী জেলার সংস্থা গুলো।আবার জেলা প্রশাসনের এলআর ফান্ডে আর্থিক দন্ড দিয়েও র্নিদ্বিধায় নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করছেন মালিক পক্ষরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাঠ পোড়ানো প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে জেলার অর্ধ শতাধিক ইট ভাটায়। এ বিষয়ে পটুয়াখালী নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন-চলতি মৌসুমে পটুয়াখালীর কোনো ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হবেনা জেলা প্রশাসন থেকে মালিকদের এমন নিদের্শনা ইতিমধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সুত্রে বলছে, জেলায় বৈধ-অবৈধ অন্তত ৭৪ টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্য ২৩ টি ইটভাটা অনুমোদিত এবং ১৬টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন-জেলায় ৭২টি বৈধ-অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৪৬টি ইটভাটাকে ছারপত্র দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। এদিকে নির্ভরযোগ্য সুত্র বলছে, ছোট-বড় এবং বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে অন্তত শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসকল ইটভাটা র্নিমানের প্রথমধাপে মানা হয় না নূণ্যতম নীতিমালা। কৃষি জমি বিনষ্ট ও ক্ষমতা বানদের কাছে নিরিহদের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা গুলো। আবার যত্রতত্র বসত-বাড়ী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে রয়েছে এমন অনেক ইটভাটার রমরমা বাণিজ্য। ইটভাটার অধিকাংশ মালিক সরকার দলীয় এবং প্রভাবশালীর দখলে থাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলো ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন অনেক ভুক্তভোগীরা বলেন-২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনাললের “ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইনের” সিকিভাগও মানছেনা ভাটার মালিকরা। এদিকে প্রতিবছর জেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ ভাটার মালিকরা আর্থিক দন্ড দিচ্ছেন। অভিযুক্ত ও নিষিদ্ধ ইটভাটার নাম পরিবর্তন করে প্রতিবছর চালু করা হচ্ছে এসব ইটভাটা।

অভিযোগ ও সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার লাউকাঠি ও লোহালিয়া, সদর কালিকাপুর ইউনিয়ন, ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন, মাটিভাংঙ্গা, বাউফল, গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী, গলাচিপা উপজেলার, গজালিয়া ইউনিয়ন, কলাপাড়া, দশমিনা, মরিচবুনিয়া, ছাড়াও ঈসাদি গ্রামের ড্রাম চুম্বনি দিয়ে নদীর তীরে গড়ে ওঠা একাধিক ইটভাটায় কোনো কয়লার নামগন্ধ পর্যন্ত নেই এসব ইটভাটায়। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রলার যোগে বন উজার করে কাঠ এনে স্তুপ করছেন ইট ভাটা গুলোতে।এসব এলাকায় এলটিএন ব্রীকস্, ব্রিকস,সুচনা ব্রিকস,বিএন ব্রিকস,রুপালী ব্রিকস,এফখান ব্রিকস,বুশরা ব্রিকস,খাঁন ব্রীকস,মায়ের দোয়া ব্রীকস্ গুলোতে রয়েছে কাঠের স্তুপ। ইতোমধ্য এলটিএন ও সুচনা ইট ভাটা কাঠ দিয়ে পোড়ানো শুরু করেছে। এছাড়াও পাকার মাথা শারিক খালী মুন ব্রিকস, ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের রয়েছে রুশদা ব্রিকস এবং গলাচিপা উপজেলার নলুয়া বাগী ইউনিয়নে মায়ের দোয়া ব্রীকস্ ইতিমধ্যে সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অত্র এলাকার স্কুল প্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন এ ইটভাটায় ড্রাম চিমনি প্রস্তুত করে ইট প্রস্তুতের ব্যবস্থা চলছে।এমনকি কলাপাড়া উপজেলার একটি ইটভাটায় ড্রাম চুম্নী ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা চালু হয়েছে ইতিমধ্যে যাদের বৈধ কোন কাগজ পত্র নেই এমনটাই দেখা যায়।

ইটভাটা নিয়ে বিভিন্ন স্থানের ভুক্তভোগীরা বলেন, বাউফল উপজেলার বগাবন্দরের ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন লোকালয়ের স্থাপন করা হাওলাদার ব্রিকসের নাম পরিবর্তন করে এ মৌসুমে আবিদ আমীন নামে চালু করেছেন এবং তারই পাশে এমবিসি নামে আরো একটি অবৈধ ইটভাটা তৈরি করে কাঠ দ্বারা পোড়াচ্ছেন। এছাড়াও আদাবাড়িয়া মহাশ্রাদ্ধি গ্রামে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে রয়েছে এইচ.বি.সি ও এমবিবি ব্রিকস নামে আরো দুটি অবৈধ ইটভাটা বন উজার করে পোড়ানো হচ্ছে ইট। দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে অস্থায়ীভাবে ভাইভাই নামে একটি ইটভাটা প্রতিবছর ইটমৌসুমে অবৈধ বাণিজ্য করছেন তারা। পাশাপাশি দশমিনা উপজেলার তেতুলিয়া নদীর পাড়ে অবৈধ ভাবে আরো একটি ইটভাটা এয়েছে।এদিকে দুমকী উপজেলায় অবৈধ জয়েন্ট ব্রিকস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ বছর নাম পরিবর্তন করে দুমকী ব্রিকস নামে চালু করেছেন। ইতিমধ্যে সরেজমিন ঘুড়ে দেখা মেলে কাঠের স্তুপ তৈরি করে পোড়ানো হচ্ছে ইট।

এলটিএন ব্রিকসের মালিক সফিকুর রহমান চানসহ একাধিক ইটভাটার মালিক জানান, কোনো মালিক স্বেচ্ছায় কাঠ ব্যবহার করছে না। এককভাবে কাঠ নয় কয়লাও ব্যবহার হচ্ছে। তাছারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কয়লা এবং ডলারে যথেষ্ট ঘাটতি দেখা দিয়েছে কয়লার দাম বেড়েছে টন প্রতি দিগুণ যথাসময় পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান একাধিক ইটভাটার মালিকপক্ষ।

এ ব্যপারে গলাচিপা উপজেলার নলুয়া বাগী ইউনিয়নের ঢালীবাড়ী স্কুল সংলগ্ন ইটভাটা মায়ের দোয়া ব্রীকসের মালিক মো,বশির তালুকদারের মুঠোফোন( ০১৭৪৬-৬৫৪৩৬১)এ ফোন করলে তিনি জানান, এ বছর গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন শাহ ইটভাটাটি পরিচালনা করছে। কাঠ পোড়ানোর বিষয় জানতে চাইলে শাহীন শাহ জানান, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে কাগজ পত্র জমা দিয়েছি ইতিমধ্য। বর্তমানে কয়লার দাম বৃদ্ধি তাই কাঠ পোড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। ##